পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- - --- ഷ -- Sማ8 * তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ויוש 3 ג0ל 9ל - - --س - ـیـ ------------------ যেন স্পষ্টরূপে সময় রক্ষণ করিয়া হাতে তাল দিতেছে ; পঞ্চমের হস্তে একপ্রকার দু-নলা বঁাশী । ইহা অনেকটা আজ কালকার ক্লারি ওনেটের মত লম্বা ও সরু, দুটা নল সমান দীর্ঘ। এবং ষষ্ঠের হস্তে একটা তাম্বুরিন । ইহা একপ্রকার ক্ষুদ্র ঢঙ্কা বিশেষ। এই ষষ্ঠেতেই নটীদলের শেষ হইয়াছে। এই নটীদিগের ভোগবিলাসপূর্ণ হাবভাব পৰ্য্যন্ত চিত্রে চিত্রিত হইয়াছে। সেই সমাধিগৃহের আর এক স্থানে হাপবাদক দুইটী পুরুষ এবং একটা গিটারবাদকের আকৃতি রহিয়াছে। তাহাদের হার্পগুলি পূর্বোক্ত নটদিগের হাপ অপেক্ষা ছোট ; ইহাঙ্গের নয়ট করিয়া তাত । এই নয়তন্ত্রী হাপ পুরুষদ্বয়ের প্রত্যেকে বাজাইতেছে ; একজন একাকী বাজাইতেছে,আর এক জন গিটারবাদকের সঙ্গে বাজাইতেছে । পুরুষ দুটর খালি মাথা খালি পা, ঝোল্লা কাপড়, দাড়ি গোফ সব মুণ্ডিত,দেখিতে অনেকটা আমাদের উদাসীন বৈরাগীদিগের মত। এদেশে যেমন উদাসীন ধৰ্ম্মানুরক্ত জনদিগের দ্বারা কত সময়ে সঙ্গীত বিদ্যার রীতিমত উন্নতি হইয়াছে ; বোধ হয় সেইরূপ কতকটা মিসরেও হইয়াছে। সকল দেশেই প্রায় ধৰ্ম্মগত-প্রাণ ব্যক্তিগণের দ্বারা সঙ্গীতের উন্নতির পথ পরিষ্কার হইয়া গিয়াছে । সঙ্গীত সকলকে তাহার মধুর মন্ত্রেীচ্চারণ সহকারে নিমন্ত্রণ করিতেছে, তাহার নিমন্ত্রণ কাহারো উপেক্ষা করিতে সাধ যায় না। সঙ্গীতের কাছে সভ্যাসভ্য চরাচর সব যেন দ্রবীভূত । “অজ্ঞাতবিষয়াস্বাদে বালঃ পৰ্য্যঙ্কিকাতলে । রুদন গীতামৃতং পীত্ব হর্ষোৎকৰ্ষং প্ৰপদ্যতে। বনের স্ত,ণtহায়শ্চিত্রে মৃগশিশু: পশু। लू८क शूकरु नत्रैौ८ङ ौटङ पछाडि चौबिउ१ ।” সার উইলিয়ম জোন্স বলেন, তিনি একজন বিশ্বস্ত, স্বচক্ষে প্রত্যক্ষকারী লোকের নিকট শুনিয়াছেন—নবাব সিরাজউদ্দৌলা যে স্থানে বসিয়া তৃপ্তচিত্তে ঐক্যতানিক সঙ্গীত সেবন করিতেন, সেই স্থানে দুইটী বন্য মৃগ প্রায় বন হইতে আসিত । এইরূপ একদিন সেই স্থানে আসিয়া হৃষ্টমনে সঙ্গীত শুনিতেছে এমন সময়ে নবাব তাহাদিগের একটকে বাণবিদ্ধ করেন । এদেশের একজন বিদ্বান ব্যক্তি জোন্স মহোদয়কে বলিয়াছিলেন যে, তিনি বারবার দেখিয়াছেন যে বিষধর ক্র র সপ সকল o বঁাশীর স্বর শুনিবা মাত্র গর্ত হইতে বহিগত হইত। একজন বুদ্ধিমান পারস্যবাসী তাহাকে বারম্বার একটী গল্প বলিয়াছিলেন এবং তাহা লিখিয়া লইতেও অনুমতি করেন । গল্পট এই—যখন প্রসিদ্ধ বীণবাদক বুল বুল উপাধিধারী মির্জামহম্মদ সিরাজের সমীপস্থ কোন নিকুঞ্জে বসিয়া বৃহৎ শ্রোতৃমণ্ডলীর মধ্যে বীণ বাজাইতেছিলেন সেই সময়ে তিনি স্পষ্টরূপে দেখিয়াছিলেন যে বুলবুল পক্ষীগণ বাদকের নিকটে আসিবার জন্য চেষ্টা করিতেছিল, কখনো গাছের উপর হৃষ্টমনে ডাকিতেছিল, কখনো ডাল হইতে ডালে নৃত্য করিতেছিল যেন তাহীদের বড় সাধ বাদ্য যন্ত্রটার কাছে যায়, কখনো বা মহা উল্লাসে তুমিতে টপ করিয়া পড়িতেছিল । উল্লিখিত পারস্যবাসী জোন্স মহোদয়কে বিশেষ রূপে কহিয়াছেন যে তাহাদের এই ভাব রাগের পরিবর্তন মাত্রে পরিবর্তিত হইয়া গেল। এইরূপ আরো নানা গল্প আছে । আমরাও পক্ষীদিগের এই ভাব স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করিয়াছি। ঠিন্থ পিয়ানো বাজাইয়া গাইতে বসিবার সময় ছুএকটা চড়াই পার্থীকে জানালার উপর