পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९०8 هصيصطفsصد مكا তত্ত্ববোধিনী পত্রিক >9夺顿,》西怡 ভূত পূজা আর কোন ধৰ্ম্ম বা মূর্তিপূজার আদেশ করে । এই সকল ধৰ্ম্ম, পুস্তকাদি দ্বারা সীমাবদ্ধ হইয়াছে, প্রকৃত সত্য সকল মনুষ্যপূজা প্রভৃতি কুসংস্কারের দ্বারা আচ্ছাদিত কষ্টয়া উপধৰ্ম্মে পরিণত হইয়াছে । কিন্তু ব্রাহ্মধৰ্ম্মের সহিত জ্ঞানের বিরোধ নাই। ব্রাহ্মধৰ্ম্মের পুস্তক ঈশ্বরের | রচিত এই সুবিশাল ব্রহ্মাণ্ড ও মানবাত্মা । ' বিশ্বকার্য। পর্য্যালোচনা করিয়া, আত্মতত্ত্ব পৰ্য্যালোচনা করিয়া যতই জ্ঞানলাভ হইবে, ব্রাহ্মধৰ্ম্ম তাহাই অাদরের সহিত স্বীকার করিবেন। অনন্তজ্ঞান ঈশ্বরের জ্ঞানকে যে ধৰ্ম্ম সীমাবদ্ধ করিতে যায়, সে ধৰ্ম্ম ব্রাহ্মধৰ্ম্ম নহে । জ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে ব্রাহ্মধৰ্ম্মও উন্নত আকার ধারণ করিবে । ব্রাহ্মধৰ্ম্মের উন্নত ভাব সকল | | | | আমাদের সকলেরই অন্তরে অবিনশ্বর অ- : ক্ষরে মুদ্রিত রহিয়াছে ; জ্ঞানের কার্য্য । সেই সকল ধৰ্ম্মভাবকে উদ্দীপিত করা । । ইহারি জন্য বলিতেছি যে, জ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে ব্রাহ্মধৰ্ম্মও উন্নত আকার ধারণ করিবে । জ্ঞান ও প্রীতির পূর্ণ আদর্শ স্বয়ং ঈশ্বর ; এই জন্য জ্ঞান ও প্রীতির উন্নতিও অনন্তকালব্যাপী । ব্রাহ্মধৰ্ম্মও যখন এই জ্ঞান ও প্রীতির উপরেই দণ্ডায়মান, তখন ব্রাহ্মধৰ্ম্মেরও উন্নতি অনন্তকালব্যাপী । এই উন্নতির অর্থ, ইহা নহে যে ব্রাহ্মধৰ্ম্মের সত্য সকল পরিবর্তিত হইবে কিন্তু অনন্তকাল ধরিয়া আমাদের আত্মার অন্তরস্থিত ধৰ্ম্মভাব সকল একে একে জাগ্রত হইয়া উঠিবে। আমাদের আত্মা যতই ধৰ্ম্মভাবে পরিপুষ্ট হইবে, ততই আমাদিগের জীবজন্তুতে দয়া ও মনুষ্যে প্রীতি বৰ্দ্ধিত হইবে ; ততই আমরা মানবের ভ্রাতৃভাল উপলব্ধি করিতে সক্ষম ' छ्ड्रेट् এবং ততই ব্রাহ্মধৰ্ম্মের প্রভাব

  • = ബജ= _

বিস্তুত হইবে। কিন্তু ঈশ্বর-প্রীতিই এই সকলেরই অবলম্বন । ইহারি জন্য আমি পুনরায় বলিতেছি যে, ব্রাহ্মধৰ্ম্মের জয় হইবেই হইবে। ব্রাহ্মধৰ্ম্মের স্রোত, সত্য ভাবের স্রোত কি চিরকালের জন্য কেহ প্রতিরুদ্ধ করিয়া রাখিতে পারে ? কখনই নহে। এই স্রোত একদিন সমস্ত জগতের মরুভূমিকে ডুবাইয়া দিয়া শস্যশ্যামলা করিয়া তুলিবে। চারিদিকে চাহিয়া দেখি, চীন, জাপান, জৰ্ম্মাণি, ইংলণ্ড, আমেরিকা ও ভারতবর্ষ —নানা স্থানেই ব্রাহ্মধৰ্ম্মের উৎস খুলিয়া গিয়াছে। এই সকল উৎস হইতে এখন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নিঝরিণী প্রবাহিত হইতেছে। কিন্তু এমন এক দিন আসিবে, যে দিন এই সকল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্রোত মিলিত হইয়। এক মহাম্রোতে পরিণত হইবে এবং সসাগরা পৃথিবীকে প্লাবিত করিয়া দিবে। এই দিনের কথা স্মরণ করিলেই আমাদের আত্মা আনন্দে উৎফুল্ল হইয় উঠে; এই দিন দেখিবার জন্য সময়ে সময়ে আমাদের কত-না পৃহা জন্মে। কিন্তু বন্ধুগণ, বর্তমানকালের অবস্থা দেখিয়া আমাদিগের কি মনে হয় না যে এই দিন আসিতে এখনও অনেক বিলম্ব আছে ? তবে আমরা ইহা বলিতে পারি যে, করুণাময় পরমেশ্বর এই শুভ দিন আতিশীঘ্ৰ আনয়ন করিবার অধিকার ও ক্ষমতা আমাদিগকে প্রদান করিয়াছেন । আমরা সকলেই যদি এই অধিকার ও ক্ষমতার উপযুক্ত ব্যবহার করি, সত্যধৰ্ম্মের আশ্রয় গ্রহণ করি, ঈশ্বরেরই নির্দিষ্ট ধৰ্ম্মপথে চলি, তবেই আমরা আমাদের অtতুাতে ঈশ্বরকে তাহারই প্রসাদে প্রত্যক্ষ অনুভব করিতে সক্ষম হইব ; তাহার প্র সাদের নিবার আমাদের মস্তকে বৰ্ষিত