পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कांग्लन »v** -حجم ----- ھے۔مے আমাদের অনন্ত জীবনের পাথেয় সম্বল হৃদয় ভরিয়া যত পারি সংগ্ৰহ করিয়া লই । অনন্ত জীবনের পথ – আত্মার অনন্ত উন্নতির পথ—জ্যোতিৰ্ম্ময় অমৃত নিকেতনের পথ ; ব্রহ্মজ্ঞানের আলোক যে পথের প্রদর্শক এবং ব্রহ্মরসামৃত যে পথের উপজীবিকা ! মঙ্গলালয় পরমাত্মা অামাদের বিশুদ্ধ . জ্ঞানে আপনার সত্য সুন্দর মঙ্গল ভাব যেরূপ প্রকাশ করিতেছেন, তাহাই আiমদের আত্মার আলোক ; সেই আলোকেই পূৰ্ব্বতন ঋষিরা তাহাকে সত্যং জ্ঞানমনন্তং ব্রহ্মরূপে অন্তরে উপলব্ধি করিতেন ; এবং সেই আলোকেই আমরা র্তাহাদের সেই সকল মহাবাক্যের অর্থ এতদিনের পরে হৃদয়ঙ্গম করিয়া তাহাদের সহিত সমস্বরে বলিতেছি যে, তমীশ্বরাণাং পরমং মহেশ্বরং তং দেবতানাং পরমঞ্চ দৈবতং । সকল ঈশ্বরের সেই পরম মহেশ্বর সকল দেবতার সেই পরম দেবতা, পতিং পতীনাং পরমং পরস্তাৎ বিদাম দেবং ভূবনেশমীড্যং । সকল পতির পতি সেই বিশ্বাধিপতি পরাৎপর পরম পুরুষকে আমরা আমাদের আরাধ্য দেবতা বলিয়া জানি । পূৰ্ব্বতন ঋষিরা এইরূপ বলিয়াছেন ; কিন্তু এক্ষণে কি আশ্চৰ্য্য—কৃতবিদ্য পণ্ডিতেরাও অজ্ঞানের আদর বাড়াইয়া তাহার আধিপত্য বিস্তার (এবং সেই সঙ্গে আপনাদের প্রভুত্ব বিস্তার) করিবার অভিপ্রায়ে বলিতে আরম্ভ করিয়াছেন যে, মনুষ্য অতিশয় দুর্বল জীব—সত্যং জ্ঞানমনন্তং ব্রহ্মের উপাসনা তাহার সাধ্যের অতীত ! হায়! ই হাদের মতে সত্যস্বরূপের উপাসনা করিতে মনুষ্যকে বারণ—মনুষ্য সাম্বৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ ২১৩ c | তবে অসত্য মনঃকল্পিত পদার্থের উপাসনা করুকৃ ! জ্ঞানস্বরূপের উপাসনা করিতে মনুষ্যকে বারণ—মনুষ্য তবে অজ্ঞান জড় পদার্থের উপাসনা করুকৃ ! অনন্তস্বরূপের উপাসনা করিতে মনুষ্যকে বারণ— তবে মনুষ্য—আজি আছে কাল নাই— এখানে আছে ওখানে না”—এই পর্য্যন্তই সীমা তাহার অধিক নহে—এইরূপ পরিমিত পদার্থ সকলের উপাসনা করুকৃ ! আসতোর উপাসনা করিয়া অসত্য হইয়া যা’কৃ—অজ্ঞানের উপাসনা করিয়া জড়বৎ হইয়া যা’কৃ—নশ্বর অন্তবৎ পদার্থের উপাসনা করিয়া অন্ত হইয়া যা’ক্‌ ;—ইহাই তবে মনুষ্যের পরম বাঞ্ছনীয় চরম গতি । এরূপ র্যাহারা বলেন র্তাহীদের জানা উচিত যে, মনুষ্য দুৰ্ব্বল জীব এ কথা যেমন সত্য, পরমাত্মা দুৰ্ব্বলের বল এ কথাও তেমনি সত্য ; মনুষ্য দেবতা নহে এ কথা যেমন সত্য, মনুষ্য অমৃতের অধিকারী এ কথাও তেমনি সত্য । তাহীদের জানা উচিত যে, পরমেশ্বর মনুষ্যের আত্মাকে একেবারেই নিঃসহায় ছাড়িয়া দেন নাই— পরন্তু তাহার আত্মার অভ্যন্তরে একটি অতীব আশ্চৰ্য্য অন্তশ্চক্ষু উন্মেষিত করিয়া দিয়াছেন—পূৰ্ব্বতন ঋষিরা যাহার নাম দিয়াছেন আত্মপ্রত্যয় । সেই আত্মপ্রত্যয়ে পরমাত্মা সত্যং জ্ঞানমনন্তং রূপে প্রতীয়মান হইতেছেন। পরমাত্মার এই যে বিশুদ্ধ প্রকাশ ইহার প্রবেশ-দ্বার অবরুদ্ধ করিয়া—মনুষ্য—অমৃতের পুত্র মনুষ্য—যাহার তাহার কথায় যে সে কল্পনার দ্বারে মস্তক অবনত করিবে—বিশুদ্ধ জ্ঞানের জ্যোতিৰ্ম্ময় পথ ছাড়িয়া অন্ধকারাচ্ছন্ন কল্পনার প্রলোভন এবং বিভীষিকার মধ্যে ঘুরিয়া বেড়াইবে—ইহাই কি বিদ্বান এবং বুদ্ধিমান পণ্ডিতগণের সার