পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S$8 \O se कछ, • छीन বলুহাটী ব্রাহ্মসমাজ * ধৰ্ম্মসাধনের সহায়—বিবেক ও বৈরাগ্য । "আহ কে দিবে আনিয়ে তারে ? হারায়ে জীবনশরণে জীবনে কি কাজ আমার ? ঐহিকের মুখ যত জানি তায়, কাজ নাই সে সুখে, সে ধনে ; হারায়ে জীবনশরণে জীবনে কি কাজ আমার ?” অামি সেই হৃদয়ের প্রিয়তমকে কোথায় ছাড়িয়া আসিয়াছি ; আর যে র্তাহাকে দেখিতে পাইতেছি না। কে তাহাকে অামার নিকট আনিয়া দিতে পারে ? হে প্রিয়তম, তোমার নিকট এমন কি অপরাধ করিয়াছি যে, তুমি আমাকে ছাড়িয়া দূরে রহিয়াছ ? আকাশ, তুমি আমার প্রিয়তমকে কোথায় লুকাইয়। রাখিয়াছ, ফিরাইয়া দাও । চন্দ্র সূৰ্য্য, তোমরা আমার তমোনাশক হৃদয়ের চন্দ্রকে কোথায় লইয়া গিয়াছ, ফিরাইয়া দাও ; তারকাগণ, তোমরাই বা সেই নয়নতারাকে কোথায় রাখিয়াছ, একবার দেখাইয়া দাও । আমি তাহাকে কেবল একটবার মাত্র দেখিতে চাই । জীবনের একমাত্র অবলম্বন, সেই প্রেমময় পরমেশ্বরকে হারাইয়া আমার এই ছার জীবন রাখিবার কি প্রয়োজন ? তাহাকে ছাড়িয়া আমি বঁাচিতে চাই-ও না। যদি এই জীবন সেই প্রাণনাথের পবিত্র চরণে সমপণ করিতে না পারিলাম, তবে অtমার এই তুচ্ছ, অতি তুচ্ছ জীবনে কি প্রয়োজন ? তাহাকে যদি এছ জীবনে না দেখিতে পাইলাম, তবে আর এই জীবন রাখিতে চাই না—আমার মৃত্যু হউক । এই মর্ত্যধামের যত কিছু মুখ, সকলই জানি, অামার সে সুখে প্রয়োজন SS S SSAAASAAA MMMS SS S ST SAAAAS

  • গত বলুঙাট ৩৪ সাম্ব ২সারক উৎসব উপলক্ষে শ্রদ্ধাস্পদ ত্রযুক্ত ক্ষিতীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক বিবৃত।

ধিনী পত্রিকা নাই। এখানে সুখ কোথায় ? সকলেই স্বখের প্রত্যাশায় এই সংসার-মরুভূমির . মধ্যে অনবরত দিশাহারা লক্ষ্যশূন্য হইয়া" পরিভ্রমণ করিতেছে ; কিন্তু তাহাদিগকে জিজ্ঞাসা কর, শুনিবে যে, তাহারা সুখের অন্বেষণে বাল্যকাল হইতে ব্যস্ত এবং এখন তাহার। বৃদ্ধ হইতে চলিয়াছে, তথাপি এখনও সুখ খুজিয়া পায় নাই । এই মৰ্ত্তাধামের মধ্যে কি কেবল ভোগবিলাসেই সুখ হয় ? তাহাই যদি হইষে, তবে প্রচুরসম্পত্তিশালী লোকে ভোগবিলাসে নিমগ্ন থাকিয়াও আত্মহত্যা করিতে উদ্যত হয় কেন ? জানি এই মরণশীল জগতের যে সকল বস্তু, তাহীতে সুখ নাই—সুখ নাই । মুখের উৎসের নিকটে, অমৃতের প্রস্রবণের নিকটে যাইলে তবে স্থখ পাইব—তবে বিন্দুপরিমিত অমৃত পাইয়াও অমর হইতে সক্ষম হইব । “ঐহিকের সুখ যত জানি তায়, কাজ নাই সে সুখে সে ধনে ৷” আমি এখন চাই কেবল সেই প্রিয়তম পরমেশ্বরকে ; আত্মা অন্য কিছুতেই তৃপ্তি মানিতেছে না। আমি আমার অন্তরসখা প্রাণনাথ পরমেশ্বরকে ছাড়িয়া থাকিতে পারিতেছি না । কিন্তু তিনি কোথায় ? কোন স্থানে তাহার শ্রেষ্ঠ আসন ? কোথায় যাইলে তাহার সাক্ষাৎ পাইব ? অামার এই প্রশ্নের উত্তরে সমস্ত বিশ্বচরাচর স্বমন্দ্র গম্ভীর ধ্বনিতে প্রত্যুত্তর দিতেছে— "হিরণ্যয়ে পরে কোষে বিরজং ব্রহ্ম নিষ্কলং ।” আত্মাই তাহার জ্যোতিৰ্ম্ময় শ্রেষ্ঠ আসন । চন্দ্র সূৰ্য্য বলিতেছে “আমাদিগের নিকটে অতি অল্পই জানিতে পারবে, তুমি 醇 আপনার আত্মার অন্তরে তাহাকে দে খিতে চেষ্টা কর, তবেই সফলকাম হ