পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ס לשנ איןזיta শ্লোক সংগ্রহ | বয়সঃ কৰ্ম্মণোহথস্য শ্ৰুতস্যাভিজনস্য চ | বেষবাগবৃদ্ধিসারূপমোচরন বিচারদিহ। আপনার যেমন বয়স, যে রূপ কৰ্ম্ম যে পরিমাণ ধন যে প্রকার শাস্ত্রজ্ঞান ও যাদৃশ কুলাচার তদনুরূপ বেশভূষা বাক্য বৃদ্ধি করিয়া ইহলোকে বিচরণ কয়ি বেক । বুদ্ধিবৃদ্ধিকরাণ্যীশু ধন্যানি চ হিতানি চ | নিত্যং শাস্ত্রাণ্যবেক্ষেত নিগমাংশ্চৈব বৈদকান্ ॥ বুদ্ধীজিয়ের বৃদ্ধিকর ব্যাকরণাদি শার, অর্থশাস্ত্র, বৈদ্যকাদি শাস্ত্র, ও বেদার্থের বোধক নিগমাদি শাস্ত্র সৰ্ব্বদা পর্য্যালোচনা করিবেক । যথাযথা হি পুরুষঃ শাস্ত্ৰং সমধিগচ্ছতি । তথতথা বিজানাতি বিজ্ঞানঞ্চাস্য রোচতে ॥ মনুষ্য যে যে শাস্ত্র উত্তম রূপে অভ্যাস করে, সেই সেই শাস্ত্রই উত্তম রূপে জানিতে পারে ও তাহার দ্বারা শাস্ত্রান্তরে জ্ঞান সম্যক প্রদীপ্ত হয় । এভানেকে মহাযজ্ঞান যজ্ঞশাস্ত্রবিদো জনাঃ। অনীহমানাঃ সততমিন্দ্রিয়েম্বেব জুহ্বতি ॥ কতিপয় যজ্ঞীয় শাস্ত্রণে স্ত। গৃহস্থ এই পঞ্চবিধ মহা যজ্ঞের বাহ্যাড়ম্বর না করিয়া স্বীয় বুদ্ধীন্দ্রিয়েতেই । জ্ঞানাদির সংযমন করিয়া যজ্ঞ সম্পাদন করেন । বাচ্যেকে জুহ্বতি প্রাণং প্রাণে বাচঞ্চ সৰ্ব্বদ। বাচি প্রাণে চ পশ্যন্তে যজ্ঞনির ভিমক্ষয়াং ॥ ব্ৰহ্মবেত্ত কতিপয় গৃহস্ত বাক্যে ও প্রাণবায়ুতেই যজ্ঞের অক্ষয় ফল লাভ হয় জানিয়া সৰ্ব্বদাই অধ্যাপন ঈশ্বরের মহিমা গনাদি বাক্যে প্রাণ ও ধ্যান ধারণাদি প্রাণে বাক্য হোম করেন । জ্ঞানেনৈবাপরে বিপ্রা যজন্ত্যেতৈৰ্ম্মখৈঃ সদা । জ্ঞানমূলাং ক্রিয়ামেষাং পশ্যন্তো জ্ঞানচ ক্ষুষা | অপর কতিপয় ব্রহ্মেবেত্তা ব্রাহ্মণ সতত ব্ৰহ্মজ্ঞান দ্বারা এই সমুদায় যজ্ঞের অনুষ্ঠান করিয়া থাকেন, তাহার উপনিষৎ রূপ জ্ঞান চক্ষুসহকারে দেখিতে পান যে জ্ঞানই এই সকল যজ্ঞের মূল কারণ । সমালোচনা ১৯ কামন্ত ক্ষপয়েদেহং পুষ্পমূলফলৈঃ শুভৈঃ ন তু নামাপি গৃষ্ট্ৰীয়াং পত্যে প্রেতে পরস্ততু ॥ পতি মৃত হইলে স্ত্রী পবিত্র পুষ্প ফল মূলাদি অল্পাহার দ্বারা দেহ ক্ষীণ করিবে কিন্তু ব্যভিচার বুদ্ধিতে পর পুরুষের নাম গ্রহণ ও করিবে না। সমালোচনা । | ধৰ্ম্মসাধন- -১ম ও ২য় খণ্ড । শ্ৰীযুক্ত উমেশ চন্দ্র দত্ত কর্তৃক সংগ স্থাত । ব্রাহ্মসংগৎ সভা কর্তৃক আলোচিত অনেক গুলি আধ্যাত্মিক বিসয়ের প্রসঙ্গ এই পুস্তকে প্রকাশিত হইয়াছে। মহাত্মা কেশবচন্দ্র সেনের জীবিতাবস্থায় এই পস্তকেম প্রথম সংস্করণ প্রচারিত হয় । সংগ্রাহক লিখিয়াছেন যে কেশব বাবুর হৃদয়ের বস্তু ইহাতে ংরক্ষিত আছে । এই পুস্তকে ঈশ্বরোপাসনা, মুক্তি, বৈরাগ্য, আত্মানুসন্ধান, আধ্যাত্মিক জীবন লাভ করিবার উপায় ও সঙ্কেত প্রভৃতি অতি আবশ্যক ও নিগৃঢ বিষয়ের তত্ত্ব অতি বিশদ ও অরিপাটী রূপে दिनारठ झट्टेग्नां८छ् । সঙ্গত সভা যে সকল বিষয়ের অবতারণা করিয়াছেন, তৎ সমুদায় অবিসম্বাদিত রূপে গছাত হইবে এমত সম্ভাবনা নাই । আমরা একটা উদাহরণ দিতেছি । উমেশ বাবু লিথিয়াছেন “অন্যান্য ধৰ্ম্মাবলম্বিদের ন্যায় ব্রাহ্মদের নির্দিষ্ট পুস্তক উপদেষ্ট বা কোন বাহ অবলম্বন নাই । বিবেক বা ঈশ্বরের অাদেশ আমাদিগের একমাত্র নেতা ও অভ্রান্ত শাস্ত্র । যাহার এই আদেশ অস্বীকার করেন, তাহারা কিসের উপর দাড়াইবেন ?” কিন্তু এই আদেশ সকলেব হৃদয়ে সমান রূপে প্রতিভাত হয় না, এই নিমিত্ত তদ্বিষয়ে মতভেদ হইয় থাকে। বাস্তবিক ঈশ্বরের আদেশ সচরাচর লোকে বুঝিতে পারে না । এই আদেশ সম্বন্ধে কেশব বাবু ও বলিযাছেন যে ঈশ্বরেল “গলা চিনা চাই, কিন্তু যে সে তাহ পারে না ।” যাহাই হউক এই গ্রন্থের সর্বাংশে অামাদের মতেরমিল না হইলেও ইহাতে এমন সকল জ্ঞাতব্য বিষয় আছে যাহা পাঠ করিলে লোকের প্রকৃত উপকার হইতে পরিবে । | ഷ_===ജ്ജം