পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\58 তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা २० कश्र, » छान সমীপে নিশ্চয়ই ব্রহ্ম প্রাপ্তি করিয়া দেয় এই জন্য উপনিষৎ ;—ইহা গত্যর্থে প্রযুক্ত। আর তত্ত্বজ্ঞদিগের জন্ম জরাদি নিশ্চয় নাশ করে এই জন্য উপনিষৎ ;—ইহা অবসাদন অর্থে প্রযুক্ত। এইরূপ সম্যক ধাত্বর্থযোগ-বলে বিদ্যাকেই উপনিষৎ বলিয়৷ বুঝিবে । আর বিদার জন্য উদ্দিষ্ট বলিয়া গ্রন্থ ও উপনিষৎ । যেমন লাঙ্গল শম্যের জন্য উদ্দিষ্ট এই হেতু লাঙ্গলকে জীবন বলা যায় ইহাও সেইরূপ । প্রতিষেদ্ধ মশকাত্বান্নেতি নের্তাতি শেষিতম্। ইদং,নাহমিদং নাহমিত্যদ্ধা প্রতিপদ্যতে ॥ নেতি নেতি প্রকারে অর্থাৎ ইহা অামি নহি ইহা আমি নহি এই প্রকারে অবশেষিত প্রত্যগাত্মাকে প্রতিষেধ করা যায় না এই ৷ হেতু তিনি সাক্ষাং উপলব্ধ হইতেছেন । তুমি বলিতেছ মুমুক্ষুর মোক্ষ-সাপন ব্রহ্মাত্ম-জ্ঞানের নিমিত্ত বেদান্তের তারম্ভ । ভাল ; কিন্তু ইহাতে একটু কথা আছে । জ্ঞানোদয়ের নিমিত্ত লেদান্তের আরিস্তু তখন সঙ্গত হয় যদি জ্ঞানোদয় বস্তুটাই সম্ভব হয় । কিন্তু আত্মার সংসারিত্ব-সম্পা দক প্রত্যক্ষাদি প্রমাণের সহিত যখন । জ্ঞানের বিরোধ তখন তুমি শত সহস্ৰ । কথাতেও তাচ উৎপাদন করিতে পার না। আর এদিকেও দেখ, প্রত্যক্ষাদির সহিত কাহারও বিরোধ নাই, সুতরাং উহ। বলবৎ এই হেতু এবং প্রত্যক্ষাদি প্রমাণের । উপজীবি শাস্ত্র নিতান্তই দুর্বল এই হেতু কথঞ্চিৎ জ্ঞান উৎপন্ন হইয়াও যদি এই প্রত্যক্ষসিদ্ধ সংসারকে বাধিত করে তবে এই প্রত্যক্ষের যে অনুভব তাহা প্রতগা- ৷ জ্বার ও ব্রহ্মরূপত্বকে কেন না বাধিত করিবে । ইহার প্রত্যুত্তরে কহিতেছেন । “নেতি নেতি’ ইহা নহে ইহা নহে? ইত্যাকারে সকল দৃশ্যের প্রতিষেধ হইলে যে আত্ম-তত্ত্ব অবশেষ থাকে, তাহা যে হেতু প্রতিষেধের অবধি বা সীমাভূত, প্রতিষেধকৰ্ত্তার স্বরূপ, এবং প্রতিষেধের সাক্ষা বা দ্রষ্টা রূপে অবস্থিত এই হেতু তাছার প্রতিষেধ হয় না, সুতরাং তাহা সাক্ষাৎ নিঃসন্দিগ্ধরূপে উপলব্ধ হয় । যদি বল কিরূপে তাহার উপলব্ধি হয় তাহা কথিত হইতেছে। আমি আত্মা, আমি এই দেহস্বরূপ নহি, আমি এই সকল ইন্দ্রিয়, মন, বুদ্ধি, প্রাণ ও তাহার উপাদান অচেতন বা অজ্ঞান পৰ্য্যন্তও নহি ; কিন্তু আমি এই সমস্ত দেহেন্দ্রিয়াদির প্রকাশক অলুপ্ত-প্রকাশ, কূটস্থ ও অক্ষর, র্যাহাতে সমস্ত জগতের আশ্রয় অনভিব্যক্ত আকাশ ওতপ্রোত রহিয়াছে তিনিই অামি । এইরূপেই আত্মোপলব্ধি হয় । এক্ষণে বুঝ ইহা দ্বারা বিদ্যার অনুৎপত্তি শঙ্কা নিরাকৃত হইল। আর সমস্ত শ্লোকার্থ দ্বারা বুঝিতে হইবে প্রত্যক্ষাদি প্রত্যগাত্মার বাধক নহে । অহং ধীরিদ মাত্মোথ । বাচারম্ভণ গেচব । নিষিদ্ধাত্মোস্তু বত্বাং সা ন পুনৰ্ম্মানতাং ত্ৰজেং ॥ অহং বুদ্ধি ইদং আত্মা হইতে উথিত ও বাচারম্ভণগোচর, সে নিষিদ্ধ আত্মা হইতে উদ্ভূত বলিয়া প্রমাণত্ব লাভ করিতে পারে না । আমি ব্রহ্ম এই জ্ঞান পূর্বোক্ত প্রকারে উৎপন্ন হইলেও টেকিতে পারে না, কারণ দেহেন্দ্রিয়াদিতে অভিমান অর্থাৎ আত্মবুদ্ধির নিরন্তর অনুবৃত্তি হইতেছে। এই প্রশ্নে কহিতেছেন,যে,এই দেহাদিতে আত্মবুদ্ধি একে তো প্রমাণমূলক নহে ; তার উপর আবার ইহা বাধিত অর্থাৎ প্রমাণত নষ্ট বিষয়ের অনুরক্তি,স্বতরাং ইহা আভাস এই হেতু ইহা জ্ঞানের প্রতিপক্ষ হইতে পারে না। এইরূপ অভিপ্রায়ে সিদ্ধান্ত