পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

פצ8 মাল্যধারণ ও পঞ্চাশং উপচারে শ্রীহরির পূজা, নাম-মহিমা, নামাপরধিবর্জন, বৈষ্ণব লক্ষণ, বৈষ্ণবনিন্দাপরিবর্জন, অনিবেদিত ত্যাগ, সাধুসঙ্গ, অসৎসঙ্গত্যাগ প্রভৃতি সাধারণ সদাচার ও বৈঞ্চবাচার সকল পুরাণবচন প্রমাণ দিয়া লিপিবদ্ধ করিবে :

  • সমাজ প্রচলিত ফলশ্রুতিপূর্ণ বিবিধ কাম কম্মেৰ বাজনা বৈষ্ণব ধয়ে নিষিদ্ধ। মৃতবাং ভক্তিপথাবলম্বী সংসার কামনা-বিঙ্গীন বৈষ্ণবদিগের নিমি ও পৃথক স্মৃতি শাস্ত্রের অবশ্যক হইয়াছিল । যে সকল বৈষ্ণব কৰ্ম্মকাণ্ডের বাহা অডিম্বর পরিত্যাগ করিয়া আপনা দেব বিশ্বাসত্বেরূপ গৃহ অম্বষ্ঠান স ক ল অবলম্বন করিতে লাগিলেন, তাহারা ক্রমশঃ হিন্দুসমাজ হইতে বিচ্ছিন্ন হইয় পড়িলেন। প্রেম ভক্তি প্রভাবে জাতিভেদ দি লৌকিকাচার চৈতন্যান্তচরদিগের মধ্যে অনেক পপি মাণে শিথিল হইতেছিল। এই সকল কারণে বৈষ্ণবেলা ক্রমশই পৃথক সম্প্রদায়ে পরিণত হইতেছিলেন । এই সকল ভেকাশ্রিত অর্থাৎ নিয়মপূর্দেক বৈষ্ণব ধৰ্ম্মে দাক্ষি ত বৈষ্ণবদিগের নিমি স্তু চৈতন্যদেব সনাতনকে বৈষ্ণব স্মৃতি প্রণয়ন কবিতে আদেশ করিয়াছিলেন।

বৈষ্ণবগণ সাধারণ হিন্দুসমাজ প্রচলিত ক্রিয়া 鷺 BBSDD BBBS SSBBB SBBBBSB BBBB BBB ttu ও হিন্দুসমাজত্ব ক্ৰ অন্যান্য সীম্প্রদায়িকগণ বৈষ্ণুলদিগকে ক্রিয়াহান পতিত বৰ্ণিমা ঘুণ। কপিতেন । শাক্ত লৈষ্ণবের দ্বন্দ এদেশের একটি প্রসিদ্ধ প্রবাদ । এই সুণ বিদ্বেষ এতদল প্রবল চষ্টয়াছিল যে, উ ভণে উভয়ের ছাযাম্পর্শ কপিতে ও ঘুণ বোধ কলিতেন । বৈষ্ণবগণ গোড়ামিব চুডান্ত দৃষ্টা স্তু প্রদর্শন কপিল। শাক্তেব ব্যবহৃত পূজার উপকবণ বিল্বপত্রকে তেক দুকার পাতা ও জবাপুষ্পকে ওডকল বলিতেন । শাস্তুরাও কম নহেন, তাহাবা নিরীহ বৈষ্ণবগণকে নানা প্রকার বিদ্ধপ উপহাস কবিয়া অপদস্থ কবিবাদ আলসর অন্বেষণ কবিতেন । লৈসংবগণের সমাজবহি ভূতি আচার অনুষ্ঠান জাতিভেদের শিথিলতা ও শ্ৰীগৌরাঙ্গের অবতারত্ব লষ্টয়াই বিবাদের স্ব ত্রপাত হয। কালক্রমে বৈষ্ণব ধন্মের বিস্তার হওয়ায় অনেকানেক শাক্ত মতাবলম্বী গৃহস্থ ব্যক্তি বৈষ্ণব ধৰ্ম্ম অবলম্বন করায় এই বিবাদ ক্রমশঃ প্রশমিত হয়। গোস্বামীগণ নিতান্ত ইতর জাতিকেও মন্ত্রদিয়া শিষ্য করিতেন বলিয়া হিন্দু সমাজের হেয় ছিলেন। এই অসম্মান দূর করিবার জন্ত তাহার। কুলীনদিগকে কন্যাদান করিতে আরম্ভ করেন । ক্রমশঃ শাক্ত বৈষ্ণবগণ পরম্পর আদান প্রদান রূপ বৈবাহিক সম্বন্ধে সম্বদ্ধ হওয়ায় বিদ্বেষ ভাব বিদূরিত হয়, এবং বৈষ্ণবগণ সাধারণ হিন্দু সমাজের অন্তর্নবিষ্ট হইয় পড়েন। গোস্বামীগণ মন্তরে যাগযজ্ঞ কাম্য কৰ্ম্মের বিরোধী হইয়াও সমাজরক্ষার জন্য বাহিরে তদনুষ্ঠানে ব্যাপৃত হইলেন। এবং এই সময় হইতেই গোস্বামী ও অন্যান্য গৃহস্থ বৈষ্ণবগণ সমাজ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা

৩ কল্প, ১ ভাগ

- . আমি তোমাকে সংক্ষেপে বলিলাম, তুমি যখন লিখিতে আরম্ভ করিবে, ভগবান সকল কথা তোমার হৃদয়ে প্রকাশ করিবেন। এই প্রকারে ভক্তবর শ্ৰীগৌরাঙ্গ সনাতনকে দুইমাস ধরিয়া প্রেম ভক্তিরসের সিদ্ধান্ত সকল উপদেশ দিলেন। কবি কর্ণপুর স্বপ্রণীত চৈতনচন্দ্রোদয় নাটকে সনাতনের প্রতি গৌরচন্দ্রের এই সকল অনুগ্রহ বৃত্তান্ত লিপিবদ্ধ করিয়াছেন। অতঃপর চৈতন্যদেব নীরস কর্মকাণ্ডের কোলাহলময় কাশীধামে দণ্ডীদিগের সঙ্গে ভক্তি প্রসঙ্গ করিয়া নীলাদ্রি গমন করিতে ইচ্ছা করিলেন। সনাতনকে বলিলেন, তোমার দুই ভাই শ্রীরূপ ও বল্লভ শ্ৰীবৃন্দাবনে গমন করিয়াছেন, তুমি তথায় গিয়া র্তাহীদের সঙ্গে মিলিত হও । কন্থীকরঙ্গধারী আমার কাঙ্গাল ভক্তগণ গমন করিলে நா_து যত্ন করি ও । এই বলিয়া cशोज्ञश्रन्द्र সকলকে প্রেমালিঙ্গন করিয়া নীলাচল গমন করিতে উদ্যত হইলেন। মহাপ্রভুর বিরহ-চিন্তা সনাতনের অসহ্য হইল, কাতর স্বরে তিনি বলিতে লাগিলেন, “দূত কঙ্গে সনাতন প্রভু কৃপা পাঞী। পড়িয়া কান্দেন প্রভুব চরণ ধরিয়া ॥ ভযে বৈষ্ণব সঙ্গতে প্রচ্ছন্নভাবে যোগদান করিতে লাগিলেন। এইরূলে হিন্দু সমাজে শাক্ত বৈষ্ণবের মিলন সঙ্ঘটিত হয়, এবং বৈষ্ণবভাব অনেক পরিমাণে সমাজ মধ্যে প্রবেশ লাভ করে । যাহার সমাজ ত্যাগ করিয়া ভেক গ্রহণ করিয়াছিল, যদিও তাহাদেরই জন্ত সনাতন গোস্বামী হবিভক্তিবিলাস গ্রন্থে বৈষ্ণবের আচার প্রণালী বিধিবদ্ধ করেন, কিন্তু তাহ এক্ষণে আর কেবল বৈষ্ণব সম্প্রদায়ে বদ্ধ নাই। স্মাৰ্ত্ত মতের ন্যায হরিভক্তি বিলাসের মত “গোস্বামীমত" বলিয়৷ বর্তমান হিন্দুসমাজে প্রচলিত হইয়া গিয়াছে। এই বৈষ্ণব স্মৃতি স্বরূপ হরিভক্তিবিলাস গ্ৰন্থ সনাতন গোস্বামী প্রণীত । “হরিভক্তি বিলাস গ্রন্থ কৈল বৈষ্ণব আচার। বৈষ্ণবের কৰ্ত্তব্যের র্যাহা পাই সার ॥” চৈতন্য চরিতামৃত অস্ত্যখণ্ড । কিন্তু সচারাচর যে হরিভক্তি বিলাস গ্রন্থ দেখিতে পাওয়া যায়, তাহার রচয়িতা গোপালকৃষ্ট গোস্বামী।