পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8b~ তত্ত্ববোধিনী পত্রিক .مسیب کیے:-بی = ১৩ কল্প, ১ ভাগ ASAAAAS MSMASMS MTS SSS SSSSSS MMMTTMMAMS خصيصهتديوكحك ككيا ভক্তবর, চৈতন্যের আদেশ শিরোধাৰ্য্য করত অযোধ্যা ও নৈমিষারণ্য পরিভ্রমণ করিয়া বৃন্দাবনে আসিলেন। এখানে অtসিয়া সুবুদ্ধি রায় উৎকট বৈরাগ্যত্রত অবলম্বন করিলেন। শুষ্ক কাষ্ঠ সংগ্ৰহ করিয়া মথুরার বাজারে বিক্রয় করেন। এক এক বোঝা কাষ্ঠ বিক্রয় করিয়া পাচ ছয় পয়স মাত্র উপার্জন হয়। তন্মধ্যে আপদি এক পয়সার চনক চৰ্ব্বণ করিয়া জীবন ধারণ করেন, অবশিষ্ট পয়সা দ্বারা দুঃখী বৈষ্ণব দেখিতে পাইলে ভোজন করান এবং বাঙ্গালি দেখিলে দধিভাত খাওয়ান ও তৈ মাথান । কিছু দিন পরে রূপ গোস্বামীর সঙ্গে তাহার মিলন হয়। পরে সনাতন গোস্বামীকে পাইয়া সুবুদ্ধি পরমানন্দে মগ্ন হইলেন। পরম বৈরাগী সনাতন সুবুদ্ধির স্নেহ যত্ন ভাল বাসিতেন না, তিনি একাকী হরিনাম করেন, আর প্রতি রক্ষমূলে প্রতিদিন নব নব কুঞ্জে দীন ভাবে ভ্রমণ করেন । শেষাবস্থায় রূপ ও সনাতন দুই ভাই শ্রীবৃন্দাবনে বাস করিতেন । নিরন্তর হরিনাম কীৰ্ত্তন ধৰ্ম্মগ্রন্থ পাঠ ও । ভক্তিশাস্ত্র প্রণয়ন করিয়া দিন কাটাই- . তেন । চৈতন্যানুবর্তী সাধকদিগের মধ্যে । ইহঁার জ্ঞান বৈরাগ্য ও ভগবদ্ভক্তিতে । সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন এবং ইহারাই বিবিধ গ্রন্থ ও ভক্তিশাস্ত্র প্রণয়ন করিয়া এদেশে বৈষ্ণব ধৰ্ম্ম প্রচারের বিশেষ সহায়তা করেন । বৃন্দাবনপ্রত্যাগত বৈষ্ণব সাধকগণকে চৈতন্য ও র্তাহার পারিষদগণ রূপ সনাতনের বিষয় সৰ্ব্বাগ্রে জিজ্ঞাসা করিতেন। ভক্তগণ বলিতেন, “র্তাহারা গৃহ পরিত্যাগ করিয়া এক এক বৃক্ষমূলে এক একরাত্ৰি শয়ন করেন, কখন বা বিপ্ৰগৃহে স্থলভিক্ষা, কখন বা দ্বারে দ্বারে মাধুকরী, কখন বা কেবল শুষ্ক চনক চর্বণ করিয়া জীবন ধারণ করেন। পরিধানে ছিন্ন বহিবাস মাত্র । হরিনাম সংকীৰ্ত্তন ও হরিনাম প্রসঙ্গে অষ্টপ্রহরই মগ্ন হইয়া থাকেন, চারিদণ্ড মাত্র নিদ্রা যান, তাহাও সকল দিন ঘটে না । শ্রীচৈতন্যের পবিত্র চরিত্র চিন্তা, বৃক্ষতলে নির্জনে উপবিষ্ট হইয়া ধৰ্ম্মগ্রন্থানুশীলন ও ধৰ্ম্মগ্রন্থ প্রণয়ন করিয়া র্তাহারা কালাতিপাত করেন।” ভক্ত গণের মুখে রূপ সনাতনের প্রশংসা শ্রবণ করিয়া চৈতন্য ও শিষ্যগণ পরমানন্দে মগ্ন হইতেন । “মহাপ্রভুর ছিল যত বড় ভক্ত মাত্র। রূপ সনাতন সবার রূপ। গৌরব পাত্র ॥ কেহ যদি দেশে যায় দেখি বুন্দাবন । র্তারে প্রশ্ন কবেন প্রভূর পারিষদগণ ॥ কহ তাই কৈছে রহে রূপ সনাতন । কৈছে রহে কৈছে বৈরাগ্য কৈছে ভোজন ॥ t কৈছে অষ্ট প্রহর করেন শ্ৰীকৃষ্ণ ভজন । তবে প্রশংসিয়া কহে সেই ভক্তগণ ৷ অনিকেতন দু হে বঠে যত বৃক্ষগণ । একেক বৃক্ষেপ তলে একেক রাত্রি শমন | বিপ্ৰগৃহে ষ্টল ভিক্ষা কাহা মাধুকৰী । শুষ্ক কট চান চি বাঘ ভোগ পরিঙ্গবি ৷ করোয়া মাত্র হাতে কাথা ছিড়া বহির্বাস । কৃষ্ণ কথা কুষ্ণ নাম নৰ্ত্তন উল্লাস ॥ অষ্টপ্রহর কৃষ্ণভজন চারিদও শয়নে । নাম কীৰ্ত্তন প্রেমে সেচ নহে কোন দিনে । কতু ভক্তিরস শাস্ত্র করয়ে লিখন । চৈতন্য কথা শুনে করে চৈতন্য চিন্তন ॥ এই কথা শুনি মহাস্তের মহা সুখ হয় । চৈতন্যের কৃপা যাহা তাহা কি বিস্ময় ।” চৈঃ চ: মধ্যখণ্ড ১৯ পৰিচ্ছেদ । “তবে চলি গেল। গোসাঞি খ্ৰীবৃন্দাবন ॥ অলৌকিক অসম্ভব গোসাঞ্জির প্রেম । বৈরাগ্যের সীমা আর অপতিত নেম | মুক্তিমান মহাতেজ সমুদ্র গম্ভার। শাস্ত্রান্তগ৷ পৃথিবীর মধ্যে একধীর । প্রতিদিন এক এক বৃক্ষ তলে বাস । প্রতিদিন পরিক্রমা নাহিক অtলস ॥ বৃক্ষতলে থাকি সদা গ্রন্থামুশীলন। অলক্ষ্যে করেন পরিক্রম বৃন্দাবন ॥” ভক্তমাল গ্রন্থ দ্বিতীয়মালা |