পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه د۶ و ۹۴۹چ on করণে স্থিত কৰ্ম্ম নাহং প্রত্যয়বহূিতে দগ্ধ হইলে আর কিরূপে প্ররোহিত হইবে। ভাল, তুমি বলিলে ঈশ্বরের সহিত অভেদে আত্মাকে জানাই মোক্ষ সাধন কিন্তু তাহা ঘটিতে পারে না, কারণ সঞ্চিত অনেক কৰ্ম্মের সদ্ভাব আছে, আর কৰ্ম্ম থাকিলে তাহার ফলও অবশ্যম্ভাবী । এই কৰ্ম্ম ও কৰ্ম্মফলই মোক্ষসাধনের প্রতিবন্ধক । এই আপত্তিতে কহিতেছেন । অহং কিনা আমি এই প্রত্যয় অর্থাৎ অহস্কার— অনাত্মাতে আত্মাভিমান অর্থাৎ অজ্ঞান যে কৰ্ম্মের বীজ এবং আত্মা যাহাতে অহং ইত্যাকারে প্রতীত হয় সেই সাভাস অন্তঃকরণে যে কৰ্ম্ম সঞ্চিত তাহা অামি কর্তা নহি ভোক্তা নহি কিন্তু ব্ৰহ্মই আমি ইত্যাকার প্রমাণ-জনিত প্রত্যয়রূপ বহ্লি দ্বারা দগ্ধ হইলে আর কিরূপে পুনর্বার | অঙ্কুরিত হইয়। ফলোমুখী হইবে। এই বিষয়ে শ্রুতি ও স্মৃতি উদাহৃত হইতেছে । ‘ক্ষীয়ন্তে চাস্য কৰ্ম্মাণি তস্মিন দৃষ্টে পরাবরে। ‘ব্ৰহ্মদর্শন হইলে মুমুক্ষুর সমস্ত কৰ্ম্ম ক্ষয় হয় । ‘জ্ঞানাগ্নিঃ সৰ্ব্বকৰ্ম্মাণি ভস্মসাৎ কুরুতেহর্জন | হে অৰ্জুন, জ্ঞানাগ্নি সমস্ত কৰ্ম্ম ভস্মসাৎ করে’ । ফলত জ্ঞানোদয় হইলে বিরোধিতা হেতুই মূল অজ্ঞানের নিবৃত্তি হয়,অজ্ঞানের নিবৃত্তিতে অজ্ঞান-কাৰ্য্য অন্তঃকরণও নিবৃত্ত হন, অন্তঃকরণের নিবৃত্তিতে আশ্রয়াভাবে কৰ্ম্মও থাকিতে পারে না সুতরাং সঞ্চিত কৰ্ম্ম দ্বারা মুক্তির প্রতিবন্ধকতা কিরূপে | সম্ভবে । প্রার্থনা । যখন পাপ আসিয়া মানুষের স্কন্ধে চাপিয়া বসে, তখন আর তাহার জ্ঞান প্রার্থনা (ማ থাকে না। পাপের যে বলবতী মোহিনী শক্তি আছে, তদ্বারা সে মনুষ্য-হৃদয়-নিহিত কুপ্রবৃত্তি-সকলকে উত্তেজিত করিয়া বল পূর্বক প্রমোদেচ্ছা-স্রোতে মানুষকে ভাসাইয়া লইয়া যায় এবং জ্যোতির দিকে তাকাইতে না দিয়া একেবারে মৃত্যুর অন্ধকার-কূপে তাহাকে ডুবাইয়া ফেলে। মানুষ পূর্ব মুহুর্তেই যে কুকাৰ্য্যকে পরম রমণীয় বা পরম কল্যাণীয় জ্ঞানে বিবেকের শত শত অনুরোধকে তুচ্ছ করিয়া তৎস"ধনে প্রবৃত্ত হয়, সেই কু-কাৰ্য্য সম্পাদনের পর মুহূর্তেই অনুশোচনা রূপ তীব্র অগ্নিদাহে দগ্ধ হইয়া হায় হায় করিতে থাকে । কু-কাৰ্য্য সাধন করিবার সময়ে মানুষের কু-কার্য্যের প্রতি কু এই জ্ঞান থাকে না, তাই মানুষ তাহা করিয়া ফেলে। মানুষের জ্ঞান তখন অজ্ঞানের দ্বারা আবৃত হইয়া যায়, বিবেকরূপ দিব্য-চক্ষু মুদিত হয় এবং অমার্জিত আত্মার বল সঙ্কুচিত হইয়া দুর্বল শুনীর ন্যায় পাপ-পরাক্রম-ভধে অন্তর্বিবরে প্রবিষ্ট হয়। পাপের রূপ মৃগতৃষ্ণিকার ন্যায়, তাই আমরা তাহাকে আলিঙ্গন দিবার পূর্বে চিনিয়া উঠিতে পারি না । হে ঈশ্বর, কি শারীরিক, কি আধ্যাত্মিক সকল প্রকার পাপাচরণ করিবার পূর্বে আমাদিগকে তাহ বুঝিবার শক্তি দিয়া জাগ্রৎ কর । নাথ, তোমার নিকট আমাদিগের সতত এই প্রার্থনা হউক— ব্ৰহ্মন নয় মুপথ। রায়ে অস্মান বিশ্বানি দেব বযু নানি বিদ্বান যুদ্যো ধ্যন্মজজুছরাণমেনে ভূযিষ্ঠাস্তে নম উক্তিং বিধেম । “হে মহান ! ধৰ্ম্মধন লাভের জন্য আমাদিগকে স্থপথ দিয়া লইয়া চল । হে দেব, আমাদিগের সমস্ত পাপেরই তুমি জ্ঞাতা, আমাদিগের সংস্পর্শ হইতে কুটিল