পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবানীপুর ব্রাহ্মসমাজ N৩ A واد الا ta4يع =-سےبے বারে উৎসন্ন যাইবে না, অথচ তাহ পরিত্যাগ করিলে সমাজের মঙ্গল হইতে পারে, তবে সে নিয়মটা ধীরে ধীরে পরিত্যাগ कद्राहे८ऊ रुश्रत । ईशां७ कब्रिाऊ श्रद সমাজের অভ্যন্তরে থাকিয়া এবং সমাজের অভ্যন্তরস্থিত বলের দ্বারা । বিদেশীয় সমাজনিয়ম যদি প্রবেশ করাইবার নিতান্ত আবশ্যক হয়, তাহ অতি সাবধানে করিতে হইবে—সহজে একদেশীয় সমাজনিয়ম অপর দেশীয় সমাজে প্রবেশ করান উচিত নহে—তাহাতে কুফল প্রসব করে। আমাকে এত কথা বলিতে হইল, তাহার কারণ এই যে, কতকগুলিন ব্রাহ্ম-বন্ধু ভ্রমক্রমে সমাজসংস্কার প্রভৃতি দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্তব্য কৰ্ম্মগুলিকে প্রথম শ্রেণীতে স্থান দিয়া ও তৎসঙ্গে কতকগুলি বিদেশীয় রীতিনীতি সমাজ মধ্যে প্রবেশ করাইয়া আপনাদিগের উপর সমস্ত হিন্দুসমাজের বিদ্বেষ আনয়ন করিয়াছেন । র্তাহারা ইহাকে সুলক্ষণ মনে করিতে পারেন, কিন্তু আমি ইহাকে তত বিশেষ মঙ্গলজনক বলিয়া মনে করি না—বরঞ্চ সময়ে সময়ে অামার অত্যন্ত শঙ্কা আসিয়া উপস্থিত হয় যে, জাতির সার্বভৌমিকত আনয়ন করিতে গিয়া বৈষ্ণবদিগের ন্যায় “ব্রাহ্ম” নামে আর একটী বিশেষ জাতি সংগঠিত হয়। এরূপ অভিনব জাতি উৎপন্ন হইলে, দূরদর্শী সাধু ব্যক্তিগণ ঐতিহাসিক প্রমাণের দ্বারা দেখিতে পাইবেন যে সমাজ মধ্যে আর এক বিষ-বীজ রোপিত করা হইবে—মঙ্গল কোথায় পলায়ন করিবে – অমঙ্গলের স্রোতই বৃদ্ধি পাইবে। আদি ব্রাহ্মসমাজ এই সকল ভবিষ্যৎ বিপদের সন্ধান পাইয়া পূর্ব হইতেই সাবধানে চলিতেছেন । এই কারণেই mom-- ബ= ജ=ജ= ബ് আদি ব্রাহ্মসমাজ হইতে শাস্ত্রসঙ্গত হিন্দু অপৌত্তলিক অনুষ্ঠান পদ্ধতি বাহির হইয়াছে। ইহাতে বিদেশীয় ভাবের কোন ংস্পৰ্শই নাই। পূজ্যপাদ মহর্ষি, পুরাতন ঋষিদিগের পথ অনুসরণ করিয়াই এই অনুষ্ঠান পদ্ধতি প্রচার করিয়াছেন। আমাদিগের কর্তব্য যে আমরা যে সমাজে বাস করিতেছি, যে সমাজের মঙ্গল-চ্ছায়ায় এতদূর বদ্ধিত হইয়াছি, এত ব্রহ্মবিদ্যা লাভ করিয়াছি, সেই সমাজের আচার ব্যবহার সকল রক্ষা করিয়া চলি — কেবল পৌত্তলিকতা বর্জন করিয়া । তবে যাহা নিতান্ত পরিত্যাগের উপযুক্ত হইবে, তাহ যেন ধীরে ধীরে পরিত্যাগ করিবার চেষ্টা করি—যেন সেই একটুখানি মন্দ পরিত্যাগ করিতে গিয়া সমুদয় সমাজের মৰ্ম্মগ্রস্থি সমূহ ছিন্নভিন্ন করিয়া না ফেলি । ব্রাহ্মধৰ্ম্মের উন্নত ভাব সকল আমরা যদি হৃদয়ে গ্রহণ করিতে না পারি, তাহ হইলে এই স্থানেই তাহারা বিরাম লাভ করিবে না । ঈশ্বরের নিত্য মঙ্গল ইচ্ছ। যে, জ্ঞানধৰ্ম্মের উন্নতি হউক। এই জ্ঞান ধৰ্ম্মের উন্নতি নিত্যকাল হইতেছে এবং হইবে। একজন না গ্রহণ করিল, অপর একজনে গ্রহণ করিয়া আরও উন্নতি করিবে। ফরাসি বিপ্লব হইয়া গেল—কারণ ফরাসি জাতি সাম্যভাবের মহামন্ত্র লাভ করিয়াও হৃদয়ে ধারণ করিতে পারিল না—তাহার অপব্যবহার করিয়া বসিল । কিন্তু সেই বিপ্লবের পর হইতে ইউরোপীয় জগৎ সংপূর্ণ নূতন ভাবে সংগঠিত হইল। একজাতির কাছে সাম্যভাব উপস্থিত হইল, সে জাতি গ্রহণ করিতে পারিল না—অপর দশ জাতি তাহাকে আদর| পূর্বক গ্রহণ করিল। সেইরূপ আমরা