পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ०७ कक्ल, ७ छोण ജ്ജമ്മ= gچ- كت .م= পাপকারী মনুষ্য যাহাতে আপনার বিকৃ অবস্থা জনিতে পারে, ঈশ্বর সেইরূপ চৈতন্য উদয় করিয়া দিবার নিমিত্ত দণ্ড দান করেন ; দণ্ডাঘাতে চৈতন্যেদয় হইলেই অনুশোচনা উপস্থিত হয় ; অনুতপ্ত হইলেই দণ্ডদানের উদ্দেশ্য সিদ্ধ হইল।” ইহা দেখিয়া ও কি ঈশ্বর তাহার পূর্ববাপরাধ ক্ষমা করিবেন না ? মনুষ্য যদি আর পাপাচরণ না করিয়া সাধুপথ অবলম্বন করে, তাহা হইলেও কি তাহার আত্মাতে পুনরায় পবিত্রতা ও শান্তি বৰ্মিত হইবে না ? অবশ্যই হইবে । আমরা আমাদের প্রতিজনের জীবনে ইহা প্রত্যক্ষ করিতেছি । যদি দশ বৎসরের সময় একটা মিথ্যা কথা বলি এবং তজ্জন্য অনুশোচনা পূর্বক ভবিষ্যতে আর কোন রূপ পাপাচরণ না করি, তবে যে ঈশ্বর প্রাণের প্রাণ সথার সখা, যে ঈশ্বরকে ভক্তমাত্রেই শরণাগতবৎসল বলিয়া জানে, তিনি কি সেই একটা পাপের জন্য শান্তি বারি আর একেবারে প্রদান করিবেন না ? স্বরূপকে ব্যাকুল অন্তরে ডাকিলেও দৈবাৎ মৃত্যুপাশের একটী রজুতে পদার্পণ করিয়াছি বলিয়া তিনি আর আমার দুর্দশ। দেখিবেন না ? মৃত্যুপাশ হইতে মুক্ত করিয়া অমৃত দুয়ারে লইয়া যাইবেন না ? হে দেব, হে পিতা, আমরা "শতবার পড়ি ভুলে”তুমি”শতবার লও তুলে”। তাই কেন ? তবে তোমাকে করুণাময়ী জনী বলিয়া ডাকি কেন ? তবে তোমাকে প্রাণের প্রাণ, সখার সখা বুঝিয়৷ কি প্রয়োজন ? পূর্বেই বলিয়াছি যে এই অনুতাপ -- = ماہ =تےـــــ ــ ۔یہ ar فع معتقی-= = = = =p ہے অর্থাৎ ঈশ্বরের আদেশের বিপক্ষে কৰ্ম্ম করিয়াছি বলিয়া, তার বিশ্বব্রহ্মাণ্ড পরিচালক নিয়মের বিল্প করিয়াছি বলিয়া যে র্তার নিকটে ক্ষমা প্রার্থনা – তার নিকটে আত্মনিবেদন করিয়া মার্জনা ভিক্ষা— ইহাকেই পাপের শ্রেষ্ঠতম ঔষধ বলিয়৷ ভারতের পুণ্যশ্লোক ঋষিগণ উত্তমরূপে বুঝিয়াছিলেন ; তাহাদেরই হৃদয় হইতে জলদগম্ভীরস্বরে ধ্বনি উঠিল “প্রায়শ্চি ভানাশেষাণি তপ:কৰ্ম্মাত্মকানি বৈ । যানি তেষাং অশেষাণাং ব্ৰহ্মানুস্মরণং পরম্ ॥” বিষ্ণুপুৰাণ। ইহার ভাব এই যে প্রায়শ্চিত্তবিধি অনেক প্রকারই আছে কিন্তু তন্মধ্যে ব্রহ্মানুস্মরণই সর্বোৎকৃষ্ট । ধন্য সেই ঋষি, যিনি অনুতাপের যথার্থ মৰ্ম্ম হৃদয়ঙ্গম করিয়াছিলেন এবং র্যাহার মুখারবিন্দ হইতে এরূপ সুমধুর বাক্য নিঃস্থত হইয়াছে। এখন এই প্রশ্ন উঠিতে পারে যে যদি আমাদের শাস্ত্রে অনুতাপই পাপের প্রধান হৃদয় কি ঔষধ বলিয়া পরিগণিত হইল, তবে আবার এই কথায় কখনও সায় দিতে পারে যে, অন্যান্য প্রায়শ্চিত্তবিধি আসিল কি প্র যিনি অনন্ত প্রেমের অtধার, সেই অমৃত । কারে ? ইহার উত্তরে এই মনে হয় যে, যতদিন ভারতবর্ষে ব্ৰহ্মনাম ঘোষিত হইত, যতদিন এখানে ব্রহ্মকুপার মহিমা কীৰ্ত্তিত হইত, যতদিন এখানে ব্রহ্মজ্ঞান আলোচিত হইত, এবং যতদিন এখানে উপনিষদের প্রখর সূর্যালোক আর্য্যসন্তানের মোহান্ধকার বিদূরিত করিতে সমর্থ হইত, ততদিন অনুতাপই পাপের মহৌষধ বলিয়। যদি না হইবে তবে তোমাকে পিতা বলি পরিচিত ছিল ; ততদিন পাপের প্রতী কারে কেবলমাত্র অনুতাপেরই একাধিপত্য ছিল । কিন্তু যখন ক্রমে দেব, উপদেব সেই দেবাধিদেব ব্রহ্মের স্থান অধিকার করিল ; যখন পৌত্তলিকতার ঘোর অন্ধকার উপনিষদের সূৰ্য্যালোককে