পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S ახz তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা দ্ধত যে যুক্তি প্রদর্শন করিয়াছেন তাহ অতি | গ্রহণ, সপ্তপদীগমন ও ঈশ্বর-নাম-পূত বৈদিক অসার । রেজিষ্টরি না হইলে ব্রাহ্মবিবাহ হয়, এবং ব্রহ্মোপাসনা না হইলে ব্রাহ্মবিবাহ হয় না এই যুক্তি অনুসারে রেজিষ্টরি ও তাছার সহিত ব্রহ্মোপাসনা করিয়া যে বিমিশ্র ও বৈজাত্য ব্রাহ্মবিবাহ সম্পাদিত হয় সে বিবাহে ব্রহ্মোপাসনা মুখ্য ও রেজিষ্টরি করা গৌণ কার্য হইল ইহা আমরা বিশ্বাস করিতে পারি না । যে বিবাহে ব্রিহ্মোপাসনা হইল, কিন্তু তাহ সিদ্ধ ও বৈধ করিবার জন্য রেজিষ্টরি করিতে হইল, জিজ্ঞাসা করি, সে বিবাহে ব্রহ্মোপাসনার গৌরব কোথায় রছিল ! এইরূপ বিবাহে যে ব্রহ্মোপাসনার কিছুই গৌরব থাকে না তাহ আমাদিগের সহযোগী বিশেষরূপে অবগত আছেন, কিন্তু তাহ জানিয়াও তিনি এইটি র্তাহার দীর্ঘ প্রস্তাবে যত্নের সহিত প্রচ্ছন্ন রাখিযাছেন কেন ? পাত্র ও কন্যা সৰ্ব্বব্যাপী ব্রহ্মের সমক্ষে উtহাকে সাক্ষী করিয়! তাহার উপাসনা পূর্বক উদ্বাহ-শৃঙ্খলে আবদ্ধ হইলেন, সে সাক্ষিতা কিছু হইল না আবার রেজিষ্টারকে সাক্ষী স্বরূপ তান হুইল, ইহাই যখন রেজিষ্টরি ব্রাহ্মবিবাহের প্রকৃতি তখন আমরা কি প্রকারে বলিব যে ব্রহ্মোপাসনা ও পরব্রহ্মের সক্ষিতাই রেজিষ্টরি ব্রাহ্মবিবাহের মুখ্য কার্যা ? ব্রহ্মোপাসনার পরে কিম্বা পূর্বে রেজিষ্টরি করিয়া যদি বিবাহকে বৈধ ও সিদ্ধ করিয়া লইতে হইল তাহা হইলে ব্রহ্মোপাসনা কি প্রকারে ঐ বিবাহের মুখ্য কার্য হইল আমরা তাহ বোধগম্য করিতে পারি না। রেজিষ্টরি ব্রাহ্মবিবাহের ব্রহ্মোপাসনার কোন মূল্যই নাই বলিলে অতু্যক্তি হয় না, অতএব উক্ত বিবাহে নিরীশ্বর-উপাধি সম্পূর্ণ রূপে প্রযুজ্য । আমরা বলিয়ছিলাম যে সম্প্রদান, পাণি মন্ত্রোচ্চারণ পূর্বক বিবাহ হইলেই প্রকৃত হিন্দুবিবাহ হয় এবং তাহ সিদ্ধ হয়। আমাদের এই কথা হইতে তত্ত্বকৌমুদী স্বীয় অত্যুবর্বর কল্পনাশক্তির সাহায্যে অনুমান করিয়া লইয়াছেন যে ব্রহ্মোপাসনা আদি ব্রাহ্মসমাজের অনুমোদিত বিবাহের প্রধান অঙ্গ নহে । সহযোগী আদি ব্রাহ্মসমাজের পদ্ধতি অনুসারে সম্পাদিত বিবাহ আবশ্য দেখিয়াছেন, তাহা দেখিয়াও যখন বলিতেছেন যে ব্রহ্মোপাসনা আদি ব্রাহ্মসমাজের পদ্ধতির প্রধান অঙ্গ নহে তখন ইহাতে কেবল র্তাহার অসম সাহসিকতা ও অকুতোভয়তার পরিচয় প্রাপ্ত হওয়া যাইতেছে । ব্রহ্মোপাসনা আদি ব্রাক্ষ সমাজের বিবাহপদ্ধতির সর্বস্ব । পবিত্র উপাসনা-মণ্ডপে ঈশ্বরের সাক্ষাতেই পিত। পাত্রকে কন্যা সম্প্রদান করেন ; পতি পত্নীর পাণিগ্রহণ করেন এবং পরস্পর হৃদয়ে হৃদয়ে সখ্যভাব স্থাপিত করেন । এ সকলই ঈশ্বরের উপাসনার অন্তভূত, ইহার বহিভূত কিছুই নহে । ব্রহ্মোপাসনা আরম্ভ হইবার পুর্বে, কিম্ব ব্রহ্মোপাসনা শেষ ছইয়। গেলে রাজনিযুক্ত রেজিষ্টারের নিকট ইহাদিগের দ্বিতীয় বার আর আইনোক্ত বিহের মন্ত্র পাঠ করিতে হয় না। কিন্তু রেজিষ্টরি করিতে হইলে ১৮৭২ শালের তিন আইনের নিয়মানুসারে রেজিষ্টারকে রাজার প্রতিনিধির ন্যায় বিবাহে উপস্থিত থাকিতে হয় এবং ব্রহ্মোপাসনার পূর্বেই হউক বা পরেই হউক অথবা ব্রহ্মোপাসনা নাই হউক তাহার সাক্ষাতে আইন-অন্তর্গত বাক্য সকল দম্পতীর পাঠ করিয়া বিবাহ সম্পন্ন করিতে दग्न । कन्यँौंद्र माग्नि श्रे*८व्रज्ञ हांzन यग्निहरू সাক্ষী করিয়া, পৌত্তলিকের ন্যস্থ দেবতার স্থানে ঘটকে সাক্ষী করিয়া, নিরীশ্বর বিবাহে রাজার স্থানে রেজিষ্টারকে সাক্ষী করিয়া