পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

۰۹ بالا، ۲چه তালে স্ত। Տ Գ(t নির্দোষ পশু বা নিষ্কলঙ্ক শিশুরা তে বিনা যত্ন চেষ্টায় নিষ্পাপ অবস্থাতেই অবস্থান করে ? তাহা হইলে ব্রত-পরায়ণ মনুষ্য অপেক্ষা তো ব্রতইীন পশু ও শিশুগণকে ! উচ্চপদস্থ বলিয়া স্বীকার করিতে হয় ? নির্দোষ আহারই যদি কেবল মনুষের প্রধান সাধন-কাৰ্য্য হয়, তাহা হইলে ফলমূল-শস্য-ভোজী অথবা দুগ্ধপায়ী জীব জন্তুকেই তো মহাতপস্বী বলা যাইতে পারে ? যদি কেবল স্নান দ্বারাই মনুষ্য শুচি ও শুদ্ধ হইয়া থাকে, তাহা হইলে জলজন্তু সকলই তো মহা-তপস্যায় অহনিশি নিযুক্ত রহিয়াছে বলিতে হইবে । । লক্ষ্যহীন কাৰ্য্য কাৰ্য্যই নহে । মনুষ্য ব্ৰহ্মলাভর্যপ পরম লক্ষ্য পরিত্যাগ করিয়া ; যে কোন কাৰ্য্যই করুক, তাহ ধৰ্ম্ম কার্য্য শব্দের বাচ্য হইতে পারে না । পরম লক্ষ্য বিহীন হুইয়। মনুষ্য চবিত্ৰশোধনে—ইন্দ্রিয়নিগ্রহ-বিষয়ে যতই কেন যত্ন চেষ্ট করুক না, সে তপস্যায় সে নিষ্পাপই হইতে পারে কিন্তু তদ্বারা তাহার ব্ৰহ্মলাভ হয় না ; মোক্ষলাভেরও প্রত্যাশা থাকে না । “তপসা কিলিং হস্তি, বিদ্যয়াংস্কৃতমশ্বতে। ” তপস্যা দ্বারা নিষ্পাপই হওয়া যায়, কিন্তু ব্ৰহ্মজ্ঞান দ্বারাই অমৃত লাভ হইয়া থাকে । অতএব সৰ্ব্ব-প্রযত্নে অন্তfরতিদয় সকল সংযত করিয়া শুদ্ধসত্ত্ব পবিত্র হইয়া ব্ৰহ্মজ্ঞান লাভের চেষ্টা করিবে। সেই ব্ৰহ্মজ্ঞানকেই যিনি আপনার যন্ত্রী মন্ত্রী, নেতা নিয়ন্ত করিয়া, ব্ৰহ্মপ্রাপ্তির জন্যই ইন্দ্রিয়নিগ্রহে, মনঃসংযমে নিযুক্ত হয়েন, তিনিই সেই পরব্রহ্মের পরম স্থান প্রাপ্ত হয়েন।

  • fरख्गंबशtक्षिर्थश्च क्षमःeवं अंश् वtश्वनः । গোৰখানঃ পারমাপ্নোতি তদ্বিষ্ণেঃ পরমং পদম।”

“বিজ্ঞান হার সারাধ ও মনোরূপ ब्रच्छ. यैशंद्र बनैङ्कङ, उिान ग९नांद्र-*ाग्न সৰ্ব্বব্যাপী পরব্রহ্মের পরম স্থান প্রাপ্ত হয়েন । ” LABELIAD Ի তাবেস্ত । ( ৪৩৩ সংখ্যক পত্রিকার ৮৮ পৃষ্ঠার পর ) নবম অধ্যায়ে, মৃত-শরীর-স্পৰ্শ-জনিত অশুচিত্ব দূর করিবার জন্য কি প্রকারে “বরষনম না শাবে” নামক প্রায়শ্চিন্তু সম্পন্ন করিতে হইবে, “ বরমনম্ ” প্রায়শ্চিত্তসম্পাদন-সহায় পুরোহিত কে কি প্রকার পুরষ্কার দিতে হইবে, এবং মৃত শরীর স্পর্শ করিয়া যে ব্যক্তি ‘বরযনম্ প্রায়শ্চিত্ত সম্পন্ন না করে সে ব্যক্তি কতদূর অপরাধী ও দোষী, এই কয়েকটি বিবৃত হইয়াছে। বরষনম না শাবে ’ একটি অদ্ভুত প্রায়শ্চিত্ত । ইহা নিম্ন-লিখিতরূপে সম্পন্ন করিতে হয় । যে ব্যক্তি মুত শরীর ম্পর্শ করিয়া অশুচি হইয়ছেন তিনি সত্যবাদী ও আবেস্তাধ্যায়ী একজন পুরোহিত আনয়ন করিবেন । ঐ পুরোহিত অষ্টাদশহস্ত-পরিমিত চারি খণ্ড কাষ্ঠ স্বহস্তে বৃক্ষ হইতে ছেদন করিয়া বৃক্ষতৃণাদিশূন্য একখণ্ড শুষ্ক ভূমি ঐ চারি খণ্ড কাষ্ঠ দ্বারা বেষ্টন করিবেন এবং উহাতে নয়টি গর্ত খনন করিবেন । পরে তিনি অশুচি ব্যক্তিকে ঐ স্থানে আনয়ন করিয়া তাহাকে কতকগুলি মন্ত্র উচ্চারণ করাইবেন । তৎপরে একটি যষ্টিতে গোমুত্র-পরিপূর্ণ একটি লৌহপাত্র লম্বমান করিয়। ঐ যষ্টি স্বহস্তে ধারণ করিয়া থাকিবেন ; এবং ঐ পাত্র হইতে গোমূত্র গ্রহণ করিয়া অশুচি ব্যক্তির হস্ত ধৌত করিয়া দিবেন। পরে তাহার মস্তক, চক্ষু, কর্ণ, নাসিক, হস্ত, বক্ষঃস্থল, উদর, পদ প্রভৃতি সমুদায় অঙ্গে গোমূত্র ছড়াইয়া দিবেন। পরে তিনি অশুচি ব্যক্তিকে ক্রমশঃ বিষয়