পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ゞ(。2 সাবধান থাকিতে হুইবে ; যেন কোন প্রকার বিবেচনা করিবেন, তিনি কখনই ব্রাহ্ম বলিয়া পরিগণিত হইতে পারবেন না। যদি কোন ব্যক্তি কোন সত্য ভ্রম, কুসংস্কার ও অপবিত্রতা আসিয়া পবিত্র ব্রাহ্মধৰ্ম্মকে মলিন করিতে না পারে । যে ধৰ্ম্মে কোন মনুষ্যের মত, কল্পনা বা । প্রভুত্ব নাই যে ধৰ্ম্ম কোন দেশ বা জাতির নামে পরিচিত নহে, যে ধৰ্ম্ম কোন গ্রন্থে ব৷ প্রণালীতে আবদ্ধ নহে, যে ধৰ্ম্ম কেবল এক মাত্র অদ্বিতীয় ঈশ্বরের উপাসনাই মনুষ্য- , জাতির মুক্তির নিদান বলিয়। উপদেশ দেয়, মে ধৰ্ম্ম কোন প্রকার সম্প্রদায়িক ভাবে বদ্ধ নহে, যে ধৰ্ম্ম দ্বারা ঐহিক পরিত্রিক মঙ্গল হয়, তাহা ই ব্রাহ্মধৰ্ম্ম । একমাত্র অদ্বিতীয় ঈশ্বরের আরাধনা, উদারতা, পবিত্রতা, সত্যতা নিত্যতা প্রভৃতি লক্ষণ দ্বারা ব্রাহ্মধৰ্ম্ম চিরপরিচিত থাকিবে । কোন স্বস্টপদার্থ, কাল্পনিক দেবদেবী, স্পষ্ট পশুপক্ষি মনুষ, মৃত বা জীবিত ধৰ্ম্মিক মনুষ্য ইহু!দিগের কাহাকে ও ঈশ্বর-জ্ঞানে বা ঈশ্বরের অবতার জ্ঞানে উপাসনা করিলে তাহ। সম্পর্ণরূপে ব্রাহ্মধৰ্ম্মের বিরুদ্ধ কার্য বলিয়। বিশ্বাস করতে হইবে। ব্রহ্মধৰ্ম্ম কাহাকেই ঘৃণা করেন না, পাপী পূণ্যবান, ধনী দরিদ্র, পণ্ডিত মূখ প্রভৃতি সকলকেই তাশ্রয় দেন । ব্রাহ্ম ধৰ্ম্ম কোন জাতির বা দেশের ধৰ্ম্ম নহে, ইহ বিশ্বব্যাপী সনাতন ধৰ্ম্ম । কোন সাম্প্রদায়িক ধৰ্ম্ম হইতে ব্রাহ্মধর্মের উৎপত্তি হয় নাই । জগতের সত্যসমষ্টিই ব্রোহ্মধৰ্ম্ম । যাহা সত্য তাহাই ধৰ্ম্ম, ধৰ্ম্মের এই সাধারণ লক্ষণ । গ্রন্থে, কোন দেশে বা কোন মনুষ্যে বদ্ধ নছে । যদি কোন পুস্তকে কোন দেশে বা কোন মনুষ্যে কিছু সত্য পাওয়া যায় তাহ ব্রাহ্মধৰ্ম্মের সভ্যতা বলিয়। গ্রহণ করিতে হইবে। এক ব্যক্তি যাহা সত্য বলিতেছেন বা কোন গ্রন্থে যে সকল সত্য প্রকাশিত আছে, তদ্ভিন্ন জগতে আর সত্য নাই, ইহা যিনি তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা

অধিকার । ব্রাহ্মধৰ্ম্মের সত্য কোন ৷ ১• কল্প, ১ ভাগ প্রকাশ করেন তাহা তাহার সত্য মনে না করিয়া ঈশ্বরের সত্য বলিয়া গ্রহণ করিতে হইবে । পণ্ডিত মূখ, ধনী দরিদ্র, পাপী পুণ্যবান যে কেহ সত্য প্রকাশ করবেন, তাছাই ঈশ্বরের সত্য বলিয়া আদর পূর্বক গ্রহণ করিতে হইবে । অত্যন্ত ধাৰ্ম্মিক ব্যক্তি যদি কোন ভ্রান্ত মত প্রকাশ করেন, তাহ হইলে সেই অসত্য মতকে তৎক্ষণাৎ পরিত্যাগ করিতে হইবে । কাহারও অনুরোধে বা ক্ষমতায় বিস্তুত হইয়া অসত্য সত্য বলিয়া ধৰ্ম্মভ্ৰাট হওয়া ব্রাহ্মধৰ্ম্মের বিরুদ্ধ কার্য্য । ব্রাহ্ম পূৰ্ম্মের সতা কোন বক্তির সত্য নহে, কেন সম্প্রদায়ের সত্য নহে, কোন গ্রস্থের সত্য নহে, কাহার ও নিজের বস্তু নহে, ইহাতে সাধারণের সমান চন্দ্র সূৰ্য্য যেমন সাধারণের মঙ্গলের জন্য বাহ্ম ধৰ্ম্মও সেই রূপ সাধা রণের মঙ্গলের জন্য । কোন কোন প্রাচীন ব্যক্তি আপনআপন সন্তানগণকে পবিত্র ব্রাহ্মধৰ্ম্মের আশ্রয় গ্রহণ করিতে নিষেধ করেন, এটা তাহাদের অত্যন্ত ভ্রম বলিতে হইবে; কেন না এক্ষণে দেশে যেরূপ জ্ঞানের চর্চা হইতেছে এখন আর শিক্ষিত ব্যক্তিরা কোন রূপ উপধৰ্ম্মে কোন রূপেই বিশ্বাস স্থাপন করিতে পারে না । জ্ঞান ধৰ্ম্মের মূল, জ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গেই ধৰ্ম্মের উন্নতি হইতেছে। মনুষ্য যখন অসভ্য ছিল, তখন তাহার ধৰ্ম্ম এক প্রকার ছিল, যে পরিমাণে মনুষ্য বিদ্যাচর্চা করিতেছে সেই পরিমাণে ধৰ্ম্মের পরিবর্তন হইতেছে। অঙ্ক ভূগোল, ইতিহাস পদার্থতত্ত্ব ভূতত্ত্ব জ্যোতিষ শারীরবিজ্ঞান মনোবিজ্ঞান প্রভৃতি প্রত্যেক বিভাগই ধৰ্ম্মের