পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ؤ ه ټHiw 'x: স্বাস্থ্য-রক্ষা ও বল-বুদ্ধির জন্যই ভোজন পানের প্রয়োজন । কিন্তু তাই বলিয়াই কেবল আহার-চিন্তাতে বা আহার-আয়েtজনে কিংবা ভোজ্য দ্রব্যের দোষ-গুণ-জল্পনাতেই কদাচ কালক্ষেপ করিবে না। তাহাতে মনুষ্যের কেবল পান-ভোজন-লালস। অতিমাত্র বৃদ্ধি হইয়া, তাহাকে পরমার্থচিন্তা হইতে বিচুত করে । আহার-বিষয়ে বিশেষ রূপে সংযমী হইবে । এদেশের এক জন তত্ত্বজ্ঞানী মহা-পুরুষ বলিয়া গিয়াছেন যে “ইন্দ্রিয়-লোল্য হইতে, রসনা-লেীলা দ্বারা মনুষ্যকে মহা-পাপে নিক্ষেপ করে । ” মনুষ তো পশুপক্ষী নহে, যে, দিবা-নিশি কেবল আহার অtহার করিসাই ভ্ৰাম্যমান ছইবে ? তাহার আত্মার ক্ষুং-পিপাসা নিবা .মিতাহার। |

রণই প্রধান কাৰ্য্য; সেই ক্ষুধার অন্ন, তৃষ্ণার : জল সংগ্রহ করাই তাহার জীবনের লক্ষ্য । অতএব সৰ্ব্ব-প্রযত্নে তাঁহারই প্রতি দৃষ্টি স্থির রাখিয়। কালাতিপাত করিবে । পার্থিব অন্নের লোভ-লালসায় কদাচ বিক্ষিপ্তমনা ছইয়া ধৰ্ম্ম হইতে ঈশ্বর হইতে পরিভ্রষ্ট ছইবে না । ধৰ্ম্ম-প্রিয় স্বাস্থ্য-বিজ্ঞানবিং আর্য্য ঋষিগণ “ শরীরমাদ্যং খলু ধৰ্ম্মসাধনং ” শরীরকেই ধৰ্ম্মসাধনের অমোঘ উপাদান জানিয়া, সৰ্ব্বপ্রযত্নে তাহাকে অতাল্প বিয়আশঙ্কা হইতেও রক্ষা করিবার ব্যবস্থা করিয়া গিয়াছেন । “ততোভোজন-বেলায়াং কুৰ্য্যাক্সাঙ্গল্যদর্শনম । ভস্য প্রদর্শনং চিত্তস্থৈৰ্য্যকৃৎ ভূষ্টিবৰ্দ্ধনম,” অtহারকালে চিত্তের স্থৈৰ্য্য ও সম্পাদন জন্য মাঙ্গল্য বস্তু সমদর্শন করিবে । *আর্দ্রপাদস্তু ভুঞ্জীত ।” আৰ্দ্ৰ-পদে প্রহৃষ্ট হৃদয়ে কোমল আসনে সুখোপবিষ্ট হইবে । ওষ্ঠ ও কণ্ঠশোষ নিবারণ জনা এবং রসনাকে খাদ্য দ্রব্যের প্রকৃত স্বাদগ্রহে সমর্থ করি । সাধকের | る。アぐ বার নিমিত্ত ভোজনাগ্রে মুহুৰ্ম্ম হুঃ জলগ্ৰহণ করত মুখ-বিবর প্রক্ষালন ও আর্দ্র করিবে । ইহাই আচমন-ক্রিয়া বলিয়া ধৰ্ম্মশাস্ত্রে অভিহিত হইয়া থাকে কদাচ অtহারকালে হৃদয়ে দুশ্চিন্তা, ভয় ও ক্রোধকে স্থানদান করিবে না, বাগ্যত হইয়া ভোজন করিবে, ইত্যাকার যে সকল উপদেশ প্রদত্ত হুইয়াছে এবং তদনুরূপ যে সকল রীতি পদ্ধতি আর্য্যসমাজে প্রচলিত আছে, তাহার নিগুঢ় তাৎপৰ্য্য অনুসন্ধানে প্রবৃত্ত হইলে, আর্ঘ ঋষিদিগের সূক্ষদর্শিতার নিদর্শন সকল প্রত্যক্ষ সনদর্শন কীিয়া বিস্ময়াপল হইতে হয় । “ হীনমত্রিমসস্তে যং করে।fত চ বল ক্ষম । অলসগৌরবাটোপসাদাশ, কুকতে ২ধিকম্। তস্মাৎ মুসংস্কৃতং যুক্ত দোষৈৰেতৈর্বিঘজিতম । সুপাসরো গুণৈযুক্তমুপসেবে ভোজন ॥ ীেষ্মণ দ্যং ভয়ং ক্ৰোধ: ভূঞ্জানঃ পৰিবৰ্গুেয়েৎ । প্রক্ষালয়েদদিরাসাং ভোজমাগ্রে মুচমু : ॥ বিশুদ্ধর সমীয়াস্মৈ রোটতে ২য়মপুৰ্ব্ববৎ । ভূষিতস্ত ন চাৰ্শ্বীয়াং ক্ষুধিতোন পিজেলম, ” ভোজনকালে হাস্য পরিহাস ও বাক্য’লাপে প্রমত্ত হইলে ভোজ্য দ্রব্য গলাধঃকরণ সময়ে বিমাগ-গতি প্রাপ্ত হইতে পারে এবং তদ্বারা অসামান্য কষ্ট, এমন কি, সময় বিশেষে প্রাণ নষ্ট হওয়া অসম্ভব নহে । দুশ্চিন্তা, ভয় ও ক্রোধের সহিত পান ভোক্তন করিলে পরিপাক-ক্রিয়ার ব্যাঘাত হয় এবং পনি-ভোজন-জনিত উপকার বা তৃপ্তি লাভ হয় না । সুতরাং অজীর্ণতা-নিবন্ধন নানা রোগ উৎপন্ন হইয়া, সাধন সমাধানে সাধককে অপটু করিয়া তোলে। তৃষ্ণার সময় আহার করিলে গুল্ম এবং ক্ষুধার সময় জলপান করিলে জলেদের রোগ জন্মিতে পারে। এই জন্যই আয়ুৰ্ব্বেদোক্ত নিয়মাদি স্মৃতিকারের দেহরক্ষা ও ধৰ্ম্ম-সাধন-সামর্থ