পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

دهد تا সহিত জ্ঞান-বিজ্ঞান-বলে সেই আনন্দঘন অমৃত-ধন উপার্জন করিতে ধাবিত হয়, বাৰ্দ্ধক্যে অকৰ্ম্মণ্য-দেহ, শিথিল-ইন্দ্রিয় হইয়াও সেই আনন্দের আকর ঈশ্বরকে লাভ করিয়াই বৃদ্ধ, সকল অভাব পূরণ করে; মৃত্যুকাল উপস্থিত হইলে সেই উন্নততম শ্রেষ্টতম আনন্দলাভের প্রতি স্থির-নিশ্চয় হইয়াই অকাতরে স্ত্রী পুত্র পরিবার, বহুআয়াস-অর্জিত ধন-সম্পদ পরিত্যাগ করিয়া সহাস্যবদনে আনন্দলোকে গমন করিতে উদ্যত হয় । মনুমোর আত্ম হইতে আনন্দস্পুহ অন্তরিত কর, তাহার সকল উদ্যম উৎসাহ নিৰ্ব্বাণ হইবে, জ্ঞান-বিজ্ঞান স্পৃহা তিরোহিত হইয। যাইবে, তাহার সমুদয় কাৰ্য্যই স্থগিত হইবে । ভানন্দ-লাভই তাহার উদ্দেশ্য বলিয়া, মনুষ্য এখানে ংসারের প্রতিস্রোতে, কুলে গমন করিতে সাহসী হয়, আনন্দই তাহীর জীবন বলিয়া, সে এখানকার জ্বালাযন্ত্রণ কষ্টক্লেশের প্রতি ক্ৰক্ষেপ না করিয়া জীবনের উদ্দেশ্যসাধনে দৃঢ়ব্ৰত হইয়া থাকে, অটল অনুরাগ, অপরাজিত ৎসাহ সহকারে চরিত্রশোধনে, জ্ঞানবিজ্ঞান-অৰ্জ্জনে এবং ধৰ্ম্মসাধনে অনুরক্ত হয় । যদি মনুষ্য তাহার সকল দুঃখের প্রশ মন, সকল কার্য্যের একমাত্র পুরস্কার, তাহার ; তৃষ্ণার জল, আরাম-স্থল সেই আনন্দ স্বরূপ ঈশ্বরকে প্রাপ্ত না হইত, তাহা হইলে কে ব। শরীর-চেষ্টা করিান্ত, কে বা জীবিত থাকিতে ইচ্ছা করিত। “কোহ্যে বানাtৎ কঃ প্রাণাৎ পঞ্চাশ সাংবৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ }| প্রবৃষ্টির প্রতি- ; | | ) | 2 ო() সম্ভোগেই তাহার উন্নতি । আজ মে মর্ত্যে এই মঙ্গল-মহোৎসব-দ্বার উদঘাটিত হইয়াছে, ইহার অভ্যন্তরে প্রবেশ করিয়া দেখ, পার্থিব আনন্দ-উপকরণ ইহার মধ্যে কিছুই নাই, কেবল আনন্দ স্বরূপ ঈশ্বরই এই উৎসবের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা-রূপে বিরাজ করিতেছেন । র্তাহার সেই মঙ্গল রূপ—আনন্দ স্বরূপ সন্দর্শন করিয়া এই অসংস্থা আত্মা আনন্দ-ব্লসে দ্রবীভূত হইতেছে । সেই অনিন্দ-জ্যোতিতেই সাধকদলের মূখ-মণ্ডল জ্যোতিষ্মান হইয়াছে, সকলেই আননদায়ুত পান করত প্রেম-বিস্ফারিত হৃদয়ে একতানে এই মধুময় আনন্দ-গীত গান করিতেছে “রসোলৈ সঃ। রসং চোবায়ং লঙ্ক নদীভবতি । ” “সেই পরমাত্মা রস স্বরূপ তৃপ্তি-হেতু। সেই রসস্বরূপ পরব্রহ্মকে লাভ করিয়! জীব আনন্দিত হয়েন ৷” বহির্জগৎ ও জীব রাজ্য হইতে, আমরা অহনাশ যে সকল আনন্দ সম্ভোগ করি, তাহ। সেই অতুল আনন্দের ছায় মাত্র, ঈশ্বরই আনন্দের আকর, আনন্দের অশেষ সমুদ্র, অনন্ত প্রস্রবণ । তাহাকে প্রাপ্ত হইলে— র্তাহাকে লাভ করিতে পারলে, আর আর আনন্দ, আনন্দ বলিয়াই পরিগণিত হয় না । এই আনন্দ স্বরূপ র্যাহার হৃদয়ের জ্যোতি, তাত্মার আলোক হইয়া বিরাজ করেন, র্তাহার তার কোন ভয়, কোন আশঙ্কাই থাকে না । তিনি সকল বিস্তু বিপত্তি, বাধা বিঘ্ন অতিক্রম কবিয়া নির্ভয় হয়েন ।

  • আননাং শ্ৰহ্মণোবিদ্বান ন বিভেতি কুতশন । ”

যদেষ আকাশ আনন্দোন স্যাৎ ।” প্রাণ হে সাধু সজ্জন-সকল ! তোমরা সেই বিয়োগ হইলে যেমন শরীর মন ইন্দ্রিয় ভয়-বিপদের নিরাপদ অভয় দুর্গ স্বরূপ আনবিকল হয়, তেমনি আত্মার প্রাণ আনন্দকে দময় ঈশ্বরকে লাভ করিয়া নিঞ্জ श्झांझ, অন্তরিত করিলে সকলই স্তৰীভূত হইয়া এখন অকুতোভয়ে আনন্দমনে সেই আনন্দ যায়, সংসার নিরানন্দময় হইয় পড়ে। ময়েরই যশ কীৰ্ত্তন কর, সকলে মিলে, আনন্দলাভেই তাছার জীবন, আনন্দ জীবন-ধন সকলই উহাকে উৎসর্গ করিয়৷