পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

د ه باد کxstri পরকাল । २ १ অপূর্ণ হইলেও তাহার অপূর্ণত্ব ঈশ্বরের | বিভক্ত করা হইল। অর্থাৎ সম্পূর্ণত্ব ধারণ পূর্ণম্বের সহিত সঙ্গত বটে। বস্তুতঃ আমরা আমাদের অন্তরিন্দ্রিয় দ্বারা প্রত্যক্ষ ঈশ্বরের এই পূর্ণত্বকে স্বীকার্য্য রূপে গ্রহণ করিয়া ঐ স্বীকার্য্য যে জগতে অমঙ্গল রূপ অপূৰ্বত্বের সহিত সমন্বিত হয়, অর্থাৎ জগতে অমঙ্গলের সভাতে ঈশ্বরের of মঙ্গলত্বের কোন ব্যাঘাত যে হয় না, ইচ্ছা প্রমাণ করিয়া দিতে প্রস্তুত আছি । আমরা এতদৰ্থে বক্ষ্যমান যুক্তি-ক্রয় অবলম্বন করিলাম। (১) . ঈশ্বর স্রষ্টা । স্বস্ট পদার্থ উন্নতিশীল হ- । ইলে, উন্নতি-মার্গে অমঙ্গলের সহিত তা বিষয়ে প্রথম পদার্থে এই দ্বিতীয় পদার্থের সত্তার মূলত্বের অভাব অবশ্যই রহিল। কিন্তু অভাবের ভাব ભૂિ ভাবের সংলগ্ন নহে, পূর্ণত্বে আদৌ শক্তির অভাব থাকিতে পারে না । অতএব ঈশ্বরকে বলিয়া স্বীকার করিতে হইলে, তাহাকে একমাত্র মূল সত্তা এবং ইতর সমূহ পদার্থকে তাহার হার সাক্ষাৎ অনিবাৰ্য্য। (২) ঈশ্বর পূর্ণ। স্বরূপ অতএব তিনি মঙ্গল স্বরূপ । ও মঙ্গল এই দুইটী শবদ ফলিতাৰ্থে একই ভাবব্যঞ্জক। অপূর্ণ জগৎ কাজেই অমঙ্গলের আয়তন । (৩) অপূর্ণ চৈতন্যের নিমিত্ত অমঙ্গল প্রয়োজনীয় অতএব অমঙ্গল মঙ্গলেরই নিমিত্ত। পরিশেষে ঈশ্বরের পূর্ণত্বকে স্বীকার্য রূপে গ্রহণ করা যে অবৈজ্ঞানিক হয় নাই, অর্থাৎ ঈশ্বর সম্বন্ধে অtমাদের সহজ জ্ঞানের এই জ্ঞাপন যে বিশুদ্ধ দার্শনিক বিচারেও অবিসম্বীদাৰ্ছ সত্য, ইহা প্রদর্শন করিয়া আমরা ঈশ্বরের স্বরূপ চর্চার উপসংহার করিব । ১। ঈশ্বর পূর্ণ অর্থাৎ তিনি মঙ্গলময় জ্ঞানময় ও সর্বশক্তিমান । সৰ্ব্বশক্তিমান দুইটা পদার্থ থাকিতে পারে না । যে হেতু এরূপ সৰ্ব্বশক্তিমান পদার্থদ্বয়, পরস্পরের সৰ্ব্বশক্তিমত্তা সংহরণ করবে। অতএব-জ গতে একটা মাত্র পূর্ণ পদার্থ থাকা সম্ভব হয়। পূৰ্বত্বে কিছুরই অভাব থাকে না। কাল, কি স্থান, কি সত্তা, কি প্রভাব সকল বিষয়েই ऎश পূর্ণ। আবার যাহা পূর্ণ তাহ একমাত্র মূল পদার্থ। কারণ দ্বিতীয় কোন মূল পদার্থ ঘদি স্বীকার করা যায়, তাহ হইলে পূজকে অন্তভূর্ত ও অপূর্ণ বলিয়া স্বীকার করিতেই হইবে। অপিচ এরূপ অপূর্ণ পদার্থকে স্বীয় সত্তার জন্য কাজেই পুর্ণ পদার্থ ঈশ্বরের উপর সম্পূর্ণ নির্ভর করিতে হয়। সুতরাং অপূর্ণ পদার্থ মাত্রেই স্বস্ট । “ব্রহ্মবা এ কমিদমগ্ৰ অাসীও নান্যৎ কিঞ্চনাসীং তদিদং সৰ্ব্বমস্ব জৎ । ” পূর্বে কিছুই ছিল না, কেবল একমাত্র সৎস্বরূপ পরব্রহ্মই ছিলেন। তিনিই অভাবকে সম্ভাব্য সৰ্ব্ব প্রকার ভাবে পরিণত করিলেন ; অর্থাৎ এই বিশ্ব-জগৎ স্বজন করিলেন — ইহা প্রাগুক্ত স্বীকার্য্যের আমুষঙ্গিক সত্য । অনন্তর, এই জগৎ-কাৰ্য্য পর্ষ্যালোচনা করিয়া দেখিলে প্রতীত হয় যে উন্নতিই এই জগতের মূল নিয়ম সকল পদার্থই উন্নতির দিকে ধাবিত হইতেছে। অভাব নিকৃষ্ট ভাবে, নিকৃষ্ট ভাব উন্নত ভাবে পরিণত হইতেছে। এই আরোহ-সোপান-শ্রেণীতে অভাব ও পূর্ণ ভাবের মধ্যে অবশ্যই অপূর্ণ, অর্থাৎ অ মঙ্গল ভাবের স্থান থাকা চাই । এই জন্যই জগতে অমঙ্গলের বিদ্যমানত প্রত্যক্ষ হইয়া থাকে ; ঈশ্বরের অপূর্ণত হেতু জগৎ সংসারে অমঙ্গলের সম্ভাব এমৎ নহে। ঈশ্বরের স্বজন-শক্তি জগতে মঙ্গল অমঙ্গল সৰ্ব্ব প্রকার ভাবের স্বজন করিয়াছে। স্বজনই সে শক্তির কার্য্য। बिड्, डैशिव मग्नंला শক্তি অমঙ্গলের উপর মঙ্গলের জয় নিয়ত