পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tछाई xwss শঙ্করাচার্য্যের জীবনবৃত্তান্ত \S) ζ व्- क्रञ्जन्त - -... -= যুক্ত নহে। রুদ্রের উপাসনা দ্বারা মোক্ষলাভ হইতে পারে, যেহেতু রুদ্র পরব্রহ্মের অবতার। রুদ্রের প্রীতিসাধনার্থ বিভূতি রুদ্রাক্ষ ধারণ করা যাইতে পারে কিন্তু ত্রিশূল, লিঙ্গ, ডমরু প্রভৃতি ধারণ কর। যাইতে পারে না, যেহেতু তৎপক্ষে প্রমাণ नांझे । এইরূপে প্রতিপক্ষ চণ্ডভৈরব এবং বি- | পক্ষশূল পরাস্ত হইলে ভক্তাগ্রগণ্য অগ্রসর হইল এবং রুদ্রের ত্রিপুরসংহারকালে ব্ৰহ্মাদি দেবগণ রুদ্রের লিঙ্গ ত্রিশূলাদি চিন্তু ধারণ করিয়াছিলেন, এই বৃত্তান্তের উল্লেখ করিল। ইহা হইতে ভক্তাগ্রগণ্য প্রমাণ । করিল যে আমরা রুদ্রের ভক্ত উপাসক, সুতরাং আমাদিগের রুদ্রাঙ্ক ধারণ অবশ্য করণীয়। ইহার প্রতিবাদকালে শঙ্করাচার্য্য i বলিলেন যে রুদ্রকর্তৃক ত্রিপুরসংহার কীলীন লিঙ্গাক্ষ্যঙ্কন অনুপপন্ন, কারণ তাহার প্রমাণাভাব । রুদ্র ভক্ত. নারদাদি মুনিগণে আমরা বিভূতিরুদ্রাক্ষস্ফটিক ধারণ দেখিতে পাই, কিন্তু লিঙ্গাঙ্কন দেখিতে পাই না । আর মুনিদিগের শরীরে কদাপি তপ্তত্রিশূললিঙ্গাদি চিকু দৃষ্ট হয় না এবং তপ্ত লিঙ্গাদির নিন্দাব্যতীত প্রশংসা কুত্ৰাপি নাই । অতএব লিঙ্গাঙ্কন সৰ্ব্বথা অযুক্ত । এক্ষণে তোমর পামরবুদ্ধি পরিত্যাগ পূর্বক লিঙ্গাদিচিছু ত্যাগ করিয়া বেদোক্ত কৰ্ম্ম সকল ঈশ্বরে সমপর্ণ করিতে শিক্ষা কর এবং জীব ও ঈশ্বরের ঐক্যানুসন্ধান করত জন্ম মরণ প্রবাহের হেতুভূত অজ্ঞান নিবৃত্তি করিয়া লিঙ্গ শরীর ভঙ্গ দ্বারা মুক্তিলাভ করিতে চেষ্টা কর । ইহ। শ্রবণ করিয়া ভক্তাগ্রগণ্য এবং তদনুসারী পরমতকালানল প্রভৃতি শৈবগণ পরমগুরু শঙ্করাচাৰ্য্যকে বন্দন পূর্বক নিজ বন্ধু, পুত্র, মিত্ৰ সকলের সহিত লিঙ্গ চিন্তু ত্যাগ করিয়া সম্যক্‌ উপদিষ্ট শুদ্ধ অদ্বৈত মত অবলম্বন করিল ! এবপ্রকারে আচার্যোর শৈব মত নিবহণ সমাপ্ত হইল । শৈবমতমিবর্হণানন্তর শঙ্করাচার্য্য অনন্তশয়ন নামক স্থানে যাত্রা করিলেন। সে স্থানে অনন্ত নামে এক বিষ্ণুমূৰ্ত্তি স্থাপিত ছিল । আচার্য্য নিজ শিষ্যবর্গের সহিত তথায় একমাস বাস করিলেন । তথায় সড় বিধ বৈষ্ণব সম্প্রদায় ছিল । ভক্ত, ভাগবত, বৈষ্ণব, পাঞ্চরাত্র, বৈখানস এবং কৰ্ম্মহীন এই ষড়বিধ বৈষ্ণব । ইহারা জ্ঞান ও ক্রিয়াভেদে আবার দ্বাদশবিধ । ইহাদিগকে শঙ্করাচার্য। জিজ্ঞাসা করিলেন “তোমাদিগের লক্ষণ কি, তাহা বল ” । প্রথমতঃ ভক্তগণ বলিল “স্বামিন ! বাসুদেব পরমপুরুষ, সৰ্ব্বদ জগদ্রক্ষণ-তৎপর, সৰ্ব্বজ্ঞ, সৰ্ব্বদেব-কারণ এবং তিনি ছন্টের দমন ও শিষ্টের পলিনের নিমিত্ত ভূমণ্ডলে অবতীর্ণ হয়েন । এইস্থলে বাসুদেব কৈশুিন্য মুনির প্রতি প্রসন্ন হইয়া অনন্ত নাম ধারণ পূর্বক অবস্থিতি করিতে ছেন। আমরা অনন্তদেবের চরণ প্রতিদিন | | | | সেবা করি এবং তীর্থপ্রসাদ প্রভৃতি দ্বারা তৃপ্তি লাভ করি । হে যতিবর । জ্ঞান ও ক্রিয়া-ভেদে আমীদিগের আচার দ্বিবিধ । আমরা জ্ঞানশীল এবং বিষ্ণুগুপ্ত প্রভৃতি কৰ্ম্মশীল | তামার নাম বিষ্ণ,শৰ্ম্ম ৷ ” এতৎশ্রবণে শঙ্করাচার্য্য বলিলেন হে জ্ঞানশীল বিষ্ণুশৰ্ম্মন! তোমরা জ্ঞানশীল, অতএব জ্ঞানের লক্ষণই বা কি, ফলই বা কি এই প্রশ্নের উত্তর দেও ! বিষ্ণুশৰ্ম্ম কছিল “ শ্রীমদনন্তপাদকমলই আমাদিগের শরণ এবং আশ্রয়, স্থিরভাবে অবস্থানের নাম জ্ঞান । অনন্তদেবের আদেশ ব্যতিরেকে তৃণচলন পৰ্য্যন্ত সম্ভবে ন} * অতঃপর শঙ্করাচাৰ্য্য ইহাকে বলিলেন “হে মূঢ় বিষ্ণুশৰ্ম্মন আশ্রমধৰ্ম্মের অনুকূল কৰ্ম্ম সকলে