পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প চতুর্থ খণ্ড).pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

चमाँसांt sw०९ চিন্ময় সৌন্দর্য্যের স্তোত্র «s - می--ع= পুষ্পে গুড়ি মারিয়া যায় সেইরূপ চঞ্চল পক্ষের সহিত এই বিচিত্র জগৎকে সেই শক্তি দর্শন দেন । দেবদারুময় পৰ্ব্বতের পিছনে যেমন চন্দ্ররশ্মি দেখা দেয়, তাহার ন্যায় কিম্বা প্রদোষ সময়ের বর্ণও স্থশব্দের ন্যায়, অথবা চন্দ্রশূন্য কেবল তারকরশ্মি দ্বারা মানভাবে উজ্জ্বলিত আকাশে যেমন মেঘ ইতঃস্তত বিস্তৃত থাকে তাহার ন্যায় কিম্বা শ্রুত সঙ্গীতের স্মৃতির ন্যায় কিম্বা যে কোন বস্তু সৌন্দর্য্য জন্য, সৌন্দর্য্য অপেক্ষা নিগুঢ়ত্ব জন্য, প্রিয় তাহার ন্যায় ঐ শক্তি চঞ্চল । অপাঙ্গ ইঙ্গিতের ন্যায় প্রত্যেক মানব হৃদয়ে ও প্রত্যেক মানব মুখস্ত্রীতে তিনি দেখা দেন। সুন্দরাত্মা! তুমি যে মানব মনের ভাবকে ও মানব মূৰ্ত্তিকে আলোক প্রদান কর, তাহাকে তোমার শোভন বর্ণ দ্বারা তুমি একবারে পবিত্র কর, এমন যে তুমি, তুমি আমাকে ফেলিয়া কোথায় পলাইলে ? তুমি এইরূপে পলা- ৷ য়ন করিয়া এই অশ্রুময় স্নান বিস্তুত উপ ত্যকারূপ জীবনকে কেন নির্জন ও আনন্দশূন্য কর ? এই প্রশ্ন করা ও যেমন এই সকল প্রশ্ন করাও তেমন যে সূৰ্য্যরশ্মি ঐ পাৰ্ব্বত্য স্রোতের উপর কেন চিরকাল শোভন ইন্দ্ৰধনু রচনা না করে ? কেন যে বস্তু একবার দেখা দেয় তাহা মলিন ও ক্ষয়িত হয় ? কেন এই ভূমণ্ডলের দিবালোকের উপর ভয় ও দুঃস্বপ্ন ও জন্ম মৃত্যু বিষাদগন্ধকার নিক্ষেপ করে ? কেন মনুষ্য রাগ দ্বেষ আশা ভরসার এত অধীন ? মর্ত্যলোক অপেক্ষ৷ উচ্চতর লোক হইতে জ্ঞানী অথবা কপিকে এই সকল প্রশ্নের উত্তর কখন প্রদত্ত হয় নাই । এই সকল বিষয়ে জ্ঞান প্রাপ্ত হইবার জন্য র্তাহাদিগের যত্ন যে নিষ্ফল তাহ “দেব” “উপদেব” এই সকল শব্দ প্রতিপন্ন করিতেছে। এই হইতাম এবং সকল শব্দ ক্ষীণ মন্ত্র, তাহাদের প্রভাব দ্রষ্টব্য ও শ্রোতব্য পদার্থ হইতে সংশয়, হঠত্ব ও নশ্বরত্ব পৃথক্ করিতে পারে না । পৰ্ব্বতের উপরিস্থ কুজবটিক-তাড়নকারী আলোকের ন্যায় কিম্বা কোন বাদ্য যন্ত্রের তার-মধ্যে নৈশ সমীরণের সঞ্চরণ দ্বার। উদ্ভাবিত সঙ্গীতের ন্যায় কিম্বা গভীর নিশীথ সময়ে কোন স্রোতস্বতীর উপর ভাসমান চন্দ্রালোকের ন্যায় কেবল তোমারি জ্যোতি জীবনরূপ উদ্বেগপূর্ণ স্বপ্নকে শ্ৰী সৌন্দর্য্য ও সত্যতা প্রদান করে । প্রেম,আশা ও আত্মমর্য্যাদাবোধ এই সকল সুখজনক পদার্থ মেঘের ন্যায় যায় ও আইসে ; তাহার কতিপয় অনিশ্চিত মূহূৰ্ত্ত জন্য মনুষ্যকে ঋণ-স্বরূপ প্রদত্ত হয় । তুমি যেরূপ অনির্বচনীয় ও স্তম্ভিতকারী পদার্থ তোমার শোভন অনুচরবৃন্দের সহিত যদি মানব মনে দৃঢ় প্রতিষ্ঠা রাখিতে তাহা হইলে মনুষ্য অমৃত ও সৰ্ব্বশক্তিমান হইত। যে সকল কোমল ভাব প্রেমিকের চক্ষে বৃদ্ধি ও ক্ষয় পায় তাহার দূত স্বরূপ তুমি । অন্ধকার যেমন হ্রসমান দীপশিখার পুষ্টিস্বরূপ তেমনি তুমি মানব চিন্তার পুষ্টিস্বরূপ । তোমার ছায়া যেমন অাইল তেমনি চলিয়া গেল এমন যেন না হয়। যাহাতে মৃত্যু জীবন ও ভয়ের ন্যায় একটি অন্ধকারময় সত্য না হয় এই জন্য প্রার্থনা করিতেছি যে আমাদিগকে ফেলিয়া তুমি কখন পলাইও না । যখন আমি বালক ছিলাম তখন অপচ্ছায়ার অন্বেষণে বাহির মৃতদিগের সহিত উচ্চ কথোপকথন করিবার জন্য সভয় পদনিক্ষেপে প্রকোষ্ঠ, গুহা ও ভগ্নাবশেষ মধ্য দিয়া দ্রুতরূপে গমন করিতাম । উপধৰ্ম্মোক্ত নাম সকল যাহা আমাদিগের যৌবনের অtহার সেই সকল নাম উচ্চৈঃ