ა)ა!) তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা $२ कन्न, s एट1१ করিতে আমাদিগকে প্রবৃত্ত করিয়াছে। আমাদের হৃদয়ের স্বাভাবিক উত্তেজনা র্তাহাকে প্রীতি করিতে ও ভয় বিপদে র্তাহার নিকটে প্রার্থনা করিতে শিক্ষা দিয়াছে। তাই আমরা সেই জ্ঞানদাতা গুরু ও সম্পদদাতা বিধাতাকে লাভ করিবার জন্য ব্যাকুলতার সহিত এখানে সকলে সম্মিলিত হইয়াছি । তিনি আমাদের জ্ঞানকে ও প্রীতিভাবকে ক্রমাগতই পরিবর্তািদ্বত করিতেছেন । আজি সংসারের আকর্ষণ আমাদিগকে ভুলাইয়। রাখিতে পারিল না, তুচ্ছ বিষয়মুখ তাহার সুমধুর । আহবানের নিকট পরাজিত হইল, সেই জনাই আমাদের এত আনন্দ কোলাহল । আমরা পৃথিবীতে থাকিয়া পৃথিবীর কীট হইয়াও এ আনন্দ আমাদের এই ক্ষুদ্র হৃদয়ের বেলাভূমি অতিক্রম করিয়া উচ্ছলিত হইয়া পড়িতেছে, বাক্য আর কি বলিবে । যে জ্ঞান আমাদিগকে ঈশ্বরের পথের পথিক করে, যে জ্ঞান মনুষ্যকে দেবপদবীতে লইয়া যায়, যে জ্ঞানালোকে হৃদয়দেশ অালোকিত হইলে আত্মারূপ দৰ্পণে ঈশ্বরের নিষ্কলঙ্ক ছবি প্রতিবিম্বিত হয়, সেই জ্ঞানের সঙ্গে বৈরাগ্য ও উপরতির ঘনিষ্ঠতম যোগ । জ্ঞানের পূর্ণ উদ্রেকে বৈরাগ্য ও উপরতি তাহার চিরসহচর। বৈদান্তিকের কহেন “শ্রবণ, মনন ও নিদিধ্যাসন জ্ঞানোন্দ্রেকের কারণ ।” অাচার্য্য সন্নিধানে বা শাস্ত্রপাঠে ঈশ্বরের স্বরূপ স্নেহ বাৎসল্য প্রভৃতি অবগত হওয়ার নাম শ্রবণ ; পাঠান্তে বা শ্রবণান্তে তাহা মনে মনে আলোচনা করার নাম মনন ; র্তাহার সত্তাতে নিঃসংশয় হইয়। তাছাতে আত্মার সমাধান করার নাম নিদিধ্যাসন । দিব্যধামনিবাসী দেবগণের স- , হিত একস্বরে তাহার স্তুতিগান করিতেছি । এই তিন হইতে আমাদের হৃদয়নিহিত ভগবৎবিষয়ক স্বাভাবিক জ্ঞানের ফুরণ হয়। জ্ঞানের স্ফর্তির সঙ্গে সঙ্গে আত্মচিন্তা মনে স্থান পায়। কোথা হইতে আমি আসিলাম, কোথায় যাইব, পরে আমার কি হইবে, আত্মা কি চিরজীবী, ইহার গম্যস্থলই বা কোথায়, ঈদৃশ চিন্তাই মনে স্থান পাইতে থ{কে ; এই ञ्जय हे शीरळ खेङ श्ब्रां८छ् “ञांज्राङडू বিচার জ্ঞানের স্বভাব।” যখন আত্মচিন্তা মনকে সম্পূর্ণরূপে অধিকার করিয়া থাকে, তখন কি আর অজ্ঞান ও মোহজাল হৃদয়কে আবিল করিয়া তুলিতে পারে। নদী যেমন সহজেই সিন্ধুর দিকে ধাবিত হয়, কুসুম যেমন সহজেই গন্ধদান করে, মন তেমনই সহজেই তাহাকেই চাহে,ৰ্তাহাকে লইয়া বিভোর হইয়া থাকে, মোহের কি সাধ্য যে তাহা েঅtধারে ফেলে । সুতরাং “নিবৃত্ত হৃদয়গ্রস্থির অনুদয় জ্ঞানের কাৰ্য্য হইয়া পড়ে।” এবং ইহাই শাস্ত্রের অনুমত । একভাবে এখানে ইহাও বল। যাইতে পারে যে চিকিৎসা রসায়ন, পদার্থ বিদ্যা, জ্যোতিষ, সাহিত্য মনোবিজ্ঞান প্রভৃতি বিদ্যা সকল যে এককালে জ্ঞানের আবিষয় তাহা নহে । বহির্জগতে ঈশ্বরের যেরূপ সুনিপুণ হস্তচিন্তু বিদ্যমান রহিয়াছে, তাহার জ্ঞান প্রেমের যেরূপ জ্বলন্ত নিদর্শন বর্তমান রহিয়াছে, তাহাতে ঐ সকল বিদ্যা আত্মতত্ত্ববিচারকে প্রদীপ্ত করিয়া দেয়, ঈশ্বরবিষয়ক জ্ঞানকে সমুজ্বল করিয়া তোলে। ঈশ্বরের ছবি অন্তর্জগতেও যেরূপ প্রতিবিম্বিত রহিয়াছে, বহির্জগতেও তেমনই প্রতিফলিত। অন্তরে বাহিরে উভয়েতেই তিনি দেদীপ্যমান রহিয়াছেন। যে বিদ্যাই আলোচিত হউক না কেন, যদি তাহার সঙ্গে ঈশ্বরের অতু