পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কীৰ্ত্তিক ১৮১০ মানবীকরণই বটে ১২১ রূপ দ্বিগুণ ਸ਼ਾਵਾਂ আমরা বলি চেতন সভা । ঈশ্বরের সভা পরিপূর্ণ সভা, সুতরাং র্তাহাতে শুধু যে কেবল একগুণ সভাই আছে—দ্বিগুণ সত্তা নাই—ইহা অসম্ভব । অতএব ঈশ্বরের সত্ত। যখন পরিপূর্ণ সভা, তখন তিনি অবশ্য জ্ঞান-স্বরূপ। মনুষ্যের ও জ্ঞান আছে—কিন্তু মনুষ্য সর্বজ্ঞ নহে, মনুল্যের জ্ঞান অপূর্ণ জ্ঞান । অপূর্ণ জ্ঞানের । দ্বিগুণ সত্তা অবশ্য জড়পদার্থের একগুণ সত্তা অপেক্ষা অধিক মূল্যবান, তথাপি তাহাতেও সভার অভাব আছে ; কেবল, যিনি পূর্ণ- | জ্ঞান তিনিই পূর্ণ সত্য, যেহেতু তাহাতে কিছুরই অভাব নাই। সমস্ত কুড়াইয়। এইরূপ পাওয়া যাইতেছে ; জগতে আমরা দুইরূপ সভা অবলোকন করি নিজ-ভোগ্য । এবং পরভোগ্য । জগতের মধ্যস্থিত এই ৷ উভয়-প্রকার সভাই আপেক্ষিক সুতরাং উভয়ই পূর্ণ সত্তার আশ্রয়ে অবস্থিতি করিতেছে। পূর্ণসভাতে কোন সভারই অভাব নাই সুতরাং তাহা একগুণ-মাত্র সত্তা নহে, তাহা পরভোগ্য অচেতন সত্তা নহে ;— তাহা নিজভোগ্য চেতন-সত্তা । আবার ঈশ্বরের পূর্ণ সত্তা মনুষ্যের ন্যায় অল্পজ্ঞ । চেতন-সত্তা নহে, তাহা পরিপূর্ণ চেতন-সত্তা; কেননা পরিপূর্ণ জ্ঞান ভিন্ন আর কিছুতেই সত্তার পূর্ণত হইতে পারে না । এইরূপে আমরা পাইতেছি যে, পূর্ণ সত্তাই চেতনাচেতন সমস্ত আপেক্ষিক সত্তার মূলাধার, আর, পূর্ণজ্ঞান ব্যতিরেকে আর কিছুতেই । সভার পূর্ণত হইতে পারে না ; অতএব | যিনি সর্বমূলাধার পরমেশ্বর তিনি পরিপূর্ণ । জ্ঞান-স্বরূপ। শ্ৰী দ্বি] যদি দ্বিজেন্দ্র বাবু নাস্তিকতা রক্ষা করিয়া বলিতেন যে তিনি জগতে চেতন ও অচেতন এই দুই পদার্থ ভিন্ন আর কিছুই দেখেন না, তাহা হইলে তাহার যুক্তিটর LA LABA -- mn = | ജ്ജ്ജ-=ബ মূলে যে কোনও দোষ আছে ইহা আমরা প্রতিপাদন করিতে চেষ্টা করিতাম না । কারণ নাস্তিকগণ পার্থিব পদার্থ ভিন্ন আর কিছুই স্বীকার করেন না । সেই পার্থিব পদার্থ সকল হয় চেতন, না হয় অচেতন এই দুয়ের এক হইবে । [অনতিপূর্বে আমরা কঠোর গণিতশাস্ত্রীয় মুক্তি দ্বার প্রমাণ করিয়াছি যে, কি পার্থিব পদার্থ কি তাপার্থিব পদার্থ— সকলই—দে-এক নিখিল সমস্তের অন্তভূত, সেই নিখিল সমস্ত হইতে চেতন পদার্থ অপহৃত হইলে শুদ্ধ কেবল অচেতন পদার্থই অবশিষ্ট থাকে ; অতএব ইহা যেমন স্থনিশ্চিত যে, যাহা চতুষ্কোণ নহে তাহ আচতুষ্কোণ, ইহাও তেমনি সুনিশ্চিত যে, যাহা চেতন নহে তাহা অচেতন । ঐ দ্বি] পরন্তু দ্বিজেন্দ্র বাবু যখন আপনাকে ঈশ্বর বিশ্বাসী আস্তিক বলিয়াই প্রকাশ করিয়াছেন তখন অন্যবিধ আস্তিকগণ যে বাস্তবিক ঈশ্বরকে কি বলিয়া মনে করেন তাহা তাহার পক্ষে অনুসন্ধান না করা সঙ্গত বলিয়া মনে করিতে পারি না । [সাধারণতঃ সকল আস্তিকই এইরূপ বলিয়া থাকেন যে, ঈশ্বর সর্বজ্ঞ পুরুষ ; তবে যদি এক আধ জন অস্তিক উহার বিরুদ্ধে কোন কথা বলেন তবে তাহার উত্তর আমাদের যাহা দিবার তাহা আমরা যথেষ্টই দিয়াছি। আমরা বারম্বার প্রতিবাদীর চক্ষে অঙ্গুলি দিয়া দেখাইয়াছি যে, পূর্ণ জ্ঞান ভিন্ন সত্যের পূর্ণত হয় না, আর, পূর্ণ সত্যের আশ্রয় ব্যতীত আপেক্ষিক সত্যের দাড়াইবার স্থান নাই। শ্ৰী দ্বি] এখন ডাঃ ডিস্ডেল প্রভৃতি ব্যক্তিগণের উক্তরূপ বিশ্বাসের কোন ও যুক্তি আছে কি ন। তাহার আলোচনা করিয়া দেখা যাউক। । পাঠক ! বোধ করি তোমার পাচট ইন্দ্রিয় ।