ها و یاد ff Fچ জিকের বীণাধবনি ভিন্ন ; কিন্তু যে প্রভাত বাবু প্রথম সংখ্যক প্রতিবাদের লেখক, সেই প্রভাত বাবুই তৃতীয় সংখ্যক প্রতিবাদের লেখক—প্রভাত বাবু একই প্রভাত বাবু ; পাঠক কি বলিবেন যে, না তাহ। নহে—কালিকের তোপধ্বনি যেমন আজিকের তোপধ্বনি নহে, তেমনি কালিকের আমি সুখে অাছি ; আদ্যকার হুখের অবস্থা কল্যকার সুখের অবস্থা হইতে ভিন্ন, কেননা, কল্যকার সে সুখ অদ্যকার এ স্থখ । নহে ; কিন্তু অদ্যকার আমি কল্যকার আমি হইতে ভিন্ন নহি, কেননা কল্যকার ; সেইরূপ । ছেন যে, জীব-চৈতন্য স্বাধীন কি না ? ইহার উত্তর এই যে, জীব-চৈতন্য কোন সেই আমিই অদ্যকার এই অামি । “আtমার বিভিন্ন অবস্থার সাক্ষী-স্বরূপ যে চৈতন্য, তাহ কি ধ্বনির ন্যায় ভিন্ন ভিন্ন মুভূর্তে ভিন্ন ভিন্ন ? না ধ্রুব পদার্থের ন্যায় সকল মুহুর্তেই একই অভিন্ন ?” এ কথা পাঠককে জিজ্ঞাসা করাও যা’, আর, এ কথা ও তা,যে“আমার ফুি জিহ্বা আছে—ন। মূলেই আমার জিহ্বা নাই ?—একবার দেখ তো হে বাপু !” যদি আমার জিহবা না থাকিত তবে আমি ও-কথাটি উচ্চারণ করিতেই পারিতাম না। প্রভাত বাবুর সাক্ষী চৈতন্য যদি ধ্বনির ন্যায় डिन्न उिन्न भूङ्कार्ड डिब उिन्न श्ऊ, उएव কে-ই বা পাঠককে প্রশ্ন করিতেছে— । কাহাকেই বা পাঠক উত্তর প্রদান করি- ; সর্বত্রই দেখতে পাওয়া যায়, স্বাধীনতা বেন ? পূর্ব মুহূর্তের প্রভাত বাবুই প্রশ্ন করিয়াছেন ; পর-মুহূর্তের আর-এক প্রভাত বাবুকে তাহার উত্তর প্রদান করিয়া ফল কি ? যিনি জিজ্ঞাসা করিয়াছেন তাহাকে উত্তর প্রদান করাই তো বিধেয় । ইহাকেই TCH Reductio ad absurdum ! আর একটি কথা এই যে, জ্ঞানের মানবীকরণই বটে ১২৯ মূল প্রদেশে এরূপ কতকগুলি সত্য রহিরাছে যাহা একেবারেই অকাট্য এবং অপরিবর্তনীয়—যেমন পরিবর্তন-মাত্রেরই কারণ আছে—পরিপূর্ণ সত্য অপূর্ণ সত্যের আশ্রয় —ইত্যাদি ; সুতরাং জ্ঞানের সেই বিশুদ্ধ মূল প্রদেশটি পরিবর্তন কাহাকে বলে তাহ। জানে না। জ্ঞানের প্রান্ত-স্থানীয় শারীসে প্রভাত বাবু অজিকের এ প্রভাত বাবু । নহে ? কল্যও আমি সুখে ছিলাম—অদ্যও | অটল এবং অপরিবর্তনীয় ; যেমন ঘূর্ণায়মান চক্রের কেন্দ্র যেখানকার সেইখানেই রিক এবং মানসিক অবস্থাই পরিবর্তনশীল—কিন্তু জ্ঞানের কেন্দ্র-স্থানীয় আত্মা থাকে, কিন্তু তাহার পরিধির প্রত্যেক অংশ ক্রমাগতই স্থান পরিবর্তন করে—উহাও । প্রভাত বাবু জিজ্ঞাসা করিতে অংশে স্বাধীন কোন অংশে পরাধীন—ইহ। প্রতি মনুষ্যেরই আপনি বুঝিবার কথা— অন্যকে বুঝাইবার কথা নহে ; লোহার সিন্ধুকের মধ্য হইতে টাকা বাহির করিয়া দর্শনার্থী ব্যক্তিকে তাহা দেখানো যাইতে পারে, কিন্তু আত্মার স্বাধীনতাকে বক্ষ চিরিয়া বাহির করিয়া কেহ কাহাকেও দেখাইতে পারে না ; তবুও যদি বল যে, আত্মার স্বাধীনতার প্রমাণ কি ? তবে তাহার উত্তর এইরূপ যথা ;—আপনার অধীনতাই স্বাধীনতা, অন্যের অধীনতাই পরাধীনতা ; পরাধীনতা জড়জগতের জড়জগতের কুত্ৰাপি দেখিতে পাওয়া যায় না ;—তবে “স্বাধীনতা’ এ কথা আমরা পাইলাম কোথা হইতে ? অবশ্ব আমরা আপনার অভ্যন্তরে কোন না-কোন-প্রকার স্বাধীনতার ভাব উপলব্ধি করি, তাই সেই ভাবটি অন্যের নিকটে জ্ঞাপন করিবার জন্য “স্বাধীনতা’ এই শ:
