পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কীৰ্ত্তিক ১৮১০ ew-= Ιαι η যেরূপ দহন হইতে তাপ উৎপন্ন হইয়া ংলগ্ন কাষ্ঠকেও দগ্ধ অর্থাৎ দহনে পরিবৰ্ত্তিত করে, সেইরূপ জৈবনিক মিশ্রণ হইতেও বিশেষ প্রকার বল উৎপন্ন হইয়া ংলগ্ন মৃত পদার্থকে জীবিত পদার্থে পরিবৰ্ত্তিত করিয়া থাকে। অর্থাৎ অনলে যেরূপ সদৃশ অনল উৎপাদন করিবার বল উৎপন্ন করে, শারীর জীবিত পদার্থেও সেইরূপ সদৃশ জীবিত পদার্থ উৎপাদন করিবার বল উৎপন্ন করিয়! থাকে। অতএব অনল এবং জীবিত পদার্থ উভয়েই বিশেষ বিশেষ বলের অা কর । কিন্তু কাষ্ঠ এবং মৃত পদার্থে বিশেস বিশেস প্রকার । বল আবদ্ধ থাকিলে ও উহারা অনল ও জীবিত পদার্থের ন্যায় বলশালী নহে । [প্রভাত বাবু এতগুলা কথা কি উ দেশে বলিলেন তাহা আমরা বুঝিতে । so - -س-E . অভিপ্রায় মাদ পারিলাম না । তাচর এইরূপ হয় যে, ধূসর পদার্থই সাক্ষী চৈতন্য বা আত্মা, তবে তাহার সে কথায় আমরা কোন ক্রমেই সায় দিতে পারি না। আমরা বলি যে সেই ধূসর পদার্থের জৈবনিক কার্ষ্যের ফলভোক্তাই আত্মা ; কেননা ধূসর পদার্থ নিজে কিছু আর তাহার নিজের কার্য্যের ফল-ভোগ করে না । শ্ৰীদি] আমরা পূৰ্ব্বে বলিয়াছি যে, মস্তিষ্ক ও স্বায়ুমণ্ডলির শ্বেত পদার্থ মুত এবং ধূসর পদার্থ জীবিত । শ্বেত পদার্থ আবার সূত্রাকৃতি । সূত্র সকল স্নায়বীয় কেন্দ্র হইতে পর্যন্ত পরিব্যাপ্ত আছে। স্নায়বীয় সূত্র সকল আবার অল্প অল্প দূর অন্তর জীবিত ধূসর পদার্থের পুঞ্জ সম্বলিত। ইহাতে স্বায়বীয় বল চালনার এই সুবিধা হয় — কোন স্থানে একটী বল উৎপন্ন হইলে মানবীকরণই বটে >N)○ তাহা প্রবাহমান হইতে থাকে আর বাহক সূত্রের মধ্যস্থিত ধূসর পদার্থ পুঞ্জ সকল হইতে বল গ্রহণ করিয়া ক্রমে পোষিত হইতে হইতে চলিতে আরম্ভ করে। এখন মনে কর তোমার হস্তাঙ্গুলিতে আমি চিমটি কাটিলাম । ইহাতে চিমটির স্থানে একটা বল উৎপন্ন হইল । সেই বল স্নায়ুযোগে প্রবাহিত হয়। বোধ-গ্রাহক স্নায়ুকেন্দ্রে যাইয়। কাৰ্য্য করিল তাহাঁতে তথায় অার একটা বল উৎপন্ন এবং অঙ্গুলিতে প্রতিক্ষিপ্ত হইয়া উহাকে চিমটির উত্তেজনা হইতে অপসারিত করিল। এস্থলে যদি তুমি জাগরিত থাক তবে সেই বোধগ্রাহক কেন্দ্রের উৎপন্ন বল তোমার কর্তৃ ত্বাধীন হওয়াতে তাহাকে প্রবাহিত হইতে ও দিতে পার এবং না হইতেও দিতে পার। কিন্তু যদি তুমি নিদ্রিত থাক তবে উক্ত বল তোমার আদেশের অপেক্ষ না করিয়াই অঙ্গুলীকে চিমটি হইতে অপস্থত করিবে। যদি ভেকের মস্তিক ফেলিয়া দিয়া এই পরীক্ষাটা করা যায়, তবে অামাদের এই উক্তি আরো বিশদ রূপে প্রতিপন্ন হইবে । অতএব প্রতীয়মান হইতেছে নে, স্নায়বীয় উত্তেজনা গ্রহণ, পরিচালনা ও তদনুযায়ী কাৰ্য্য করিবার জন্য চেতনা আবশ্যক নহে । প্রভাত বাবু এইমাত্র বলিলেন যে “যদি তুমি জাগরিত থাক তবে তোমার বোস-গ্রাহক কেন্দ্রের উৎপন্ন বল তোমার বহির্গত হইয়া শাখায় প্রশাখায় বিভক্ত । হইতে হইতে পারিথ (periphoral) প্রান্ত । | কর্তৃত্বাধীন হওয়াতে তাহাকে প্রবাহিত হইতে ও দিতে পার এবং না হইতে ও দিতে পার ।” তাই আমরা বলি যে, স্নায়বিক কার্য্যের উপর তামাদের ঐ ঘে কর্তৃত্ব—উহা স্নায়ু যন্ত্রের ও নহে—মস্তিষ্ক যন্ত্রের ও নহে, কিন্তু স্বয়ং সাক্ষী চৈতন্যের । নির্দিষ্ট যন্ত্র নির্দিষ্ট কাৰ্য্যই করিতে