পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.. سRb) خ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ഉ= পরব্রহ্ম তোমার অামার এবং সকলের জ্ঞানেই প্রকাশমান । পরব্রহ্ম সৰ্ব্বজগতের বলিয়াই তিনি সূর্য্যের ন্যায় তোমারও—আমারও—এবং সকলেরই। চক্ষের পরম বিষয় কি ?—অন্ধকার নহে কিন্তু জ্যোতিৰ্ম্ময় সূৰ্য্য ; তেমনি জ্ঞানের পরম বিষয়—পরম অর্থ কি ? পারমার্থিক সত্য কি ? অন্ধ সন্তা নহে কিন্তু পরিপূর্ণ জ্ঞানময়-সভা— সত্যং জ্ঞানমনন্তং ব্রহ্ম । কান্ট তাহার নিজের পথে আণর এক পদ অগ্রসর হইলেই পারমার্থিক সত্যে উত্তীর্ণ হইতে পারিতেন। কিন্তু ব্যবহারিক রাজ্যকে, স্পরীক্ষিত বিজ্ঞান রাজ্যকে, পশ্চাতে ফেলিয়া সম্মুখে অগ্র- ; সর হইতে তাহর মন নিতান্তই অন্ধকণর দেখিল । তিনি দেখিলেন যে, ঐন্দ্রিয় ক অবভাসকে—অবিদ্যাকে যদি সমূলে পরিত্যাগ করা যায়, তবে বৈজ্ঞানিক মূলত দ্ব-সকলের অার দাড়াইবার স্থান থাকে না ;—কেননা, মানিলাম কার্য্যকারণের মূলতত্ত্ব আমাদের জ্ঞানাভ্যন্তরে বীক্তভাবে অবস্থিতি করে ; কিন্তু কার্স্য দেখিলে তবে তো তাহার কারণ অবধাশুদ্ধ কেবল প্রাতিভাসিক রাজ্যেই কার্য্য উপস্থিত হয়—প্রাতিভাসিক রাজ্য বিলুপ্ত হইলে কার্য্যের নাম গন্ধ ও থাকে না ; কাজেই কাৰ্য্য-কারণ সম্বন্ধেরও কোন অর্থ থাকে না। কান্ট, তাই বলেন যে, বৈজ্ঞানিক মূলতত্ত্ব-সকল প্রাতিভাসিক সত্যকে বাস্তবিক করিয়া দড় করায়—এইটিই তাহার বাস্তবিকতা ; এক কথায়—তাহার বাস্তবিকতা ব্যবহারিক —পারমার্থিক নহে ; এ নহে যে, প্রাতিভাসিক রাজ্য ছাড়িয়া উহা স্বয়ং বাস্তবিক । কাণ্টের মতানুসারে বিশুদ্ধ জ্ঞানের তত্ত্ব বলিয়া বৈজ্ঞানিক মূলতত্ত্ব-সকলের রণ করিব ? না—তাহ বালির বাধ । কোন মূল্য নাই—বহির্জগতে তাহাদিগকে খাটানো যায় বলিয়াই তাঁহাদের যত কিছু মূল্য ;—হীরকের নিজের কোন মূল্য নাই —তাহা দ্বারা কাচ কাটা যায় বলিয়াই তাহার যত কিছু মূল্য ; কেননা বিজ্ঞানের চক্ষে হীরক অঙ্গার-বিশেষ—বিশুদ্ধ জ্ঞান যন্ত্র-বিশেষ ! s এইরূপ যান্ত্রিক নাগপাশ হইতে বিশুদ্ধ জ্ঞানকে পরিত্রাণ করিবার জন্য, কাণ্ট, ম সুয্যের ধৰ্ম্ম ভাবকে সহায় ডাকিলেন ; বিজ্ঞানের প্রাকৃতিক নিয়মের মধ্যে তিনি যন্ত্রের ভাব ভিন্ন আর কিছুই দেখিতে পা’ন নাই, ধৰ্ম্ম-নিয়মের মধ্যে তিনি যস্ত্রীর ভাব দেখিতে পাইলেন । ধৰ্ম্মের মধ্য হইতে তিনি সুখ দুঃখ প্রভূতি প্রতিভাসিক ব্যাপার-সকলকে (বেদান্ত-দর্শনের তাবিদ্যাকে) বহিষ্কৃত করিয়া দিয়া, তাহার মধ্যে বাস্তবিক সত্য কি—তাহারই অনুসন্ধানে প্রবৃত্ত হইলেন । অবশেষে এইরূপ স্থির করিলেন যে, প্রাকৃতিক নিয়ম যেমন মলুস্যের বন্ধনের ভিত্তি মূল, ধৰ্ম্মের নিয়ম সেইরূপ মনুম্যের মুক্তির (Freedom) ভিত্তি-মূল। মনুষ্য যে, অবিদ্যার প্রতিকূলে মুক্তির পথে চলিবার অধিকারী— ধৰ্ম্মের নিয়মই তাহার দেদীপ্যমান প্রমাণ। ধৰ্ম্মের নিয়ম শুধু যে, আমার নিয়ম বা তোমার নিয়ম তাহা নহে—উহ। ব্যক্তিবিশেমের বা জাতি-বিশেনের ঘরগড় নিয়ম নহে—যে-কোন জীবের বিবেচনা-শক্তি আছে সেই জীবই বুঝিতে পারে যে,মুক্তিতেই আত্মার পুরুষাৰ্থ হয়—সুখ দুঃখের বন্ধনে পুরুষাৰ্থ হয় না । কেননা সুখ দুঃখ প্রাতিভাসিক মাত্র—পারমার্থিক নহে । সুখ দুঃখ নিয়তই আসিতেছে যাইতেছে— তাহা কাহারে নির্ভর-স্থল হইতে পারে সুখ দুঃখ পরি

  • २ कन्न, २ छ१