পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'தி யங்-ஆ তত্ত্ববোধিনী

  • १२ कन्न, २ डांनं

পত্রিকা -... মাত হাস্যময়ী অভয়-মূৰ্ত্তি ধারণ করিয়া আত্মার ক্ৰন্দনোদ্যত মুখে হাস্য ডাকিয়া আনেন। যতক্ষণ না আত্মা ঠেকিয়া ঠেকিয়া শিখিয়া শিখিয়া এরূপ শক্ত সমর্থ হয় যে, আর সে বিভীষিকাতেও ভয় পায় না—ছলনাতেও ভুলে না, ততক্ষণ প্রকৃতি-মাতা তাহাকে ভয় দেখাইতেও ছাড়েন না—ছলনা করিতেও ছাড়েন না । প্রকৃতি জ্বাত্মার “মাতা পরমকে গুরুঃ।” বিড়াল-শিশুকে তাহার মাতা বাস্তবিক কিছু আর বধ করিতে পারে না—যেন বধ করিতে যাইতেছে এইরূপ একটা ভান . করে—এই পর্য্যন্ত; প্রকৃতি মাতা আত্মাকে কিছু আর. বিনষ্ট করিতে পারেন না— “নায়ং হন্তি ন হন্যতে,”—কেবল আত্মাতে ঐরূপ একটা ভ্রান্তির সঞ্চার করেন। প্রকৃতি-মাতার মৰ্ম্মগত অভিপ্রায় এই Q.RI, আত্মা আমার সঙ্গে যুদ্ধ করুক—আমার বিরুদ্ধে আপনার প্রভাব ব্যক্ত করুক — এইরূপে ক্রমে শক্ত সমর্থ হউক। ইহার নিগুঢ় তাৎপৰ্য্য এই যে, যুদ্ধের পরে শান্তি লাভ করিলে তবেই আত্মা শান্তির প্রকৃত মাহাত্ম্য বুঝিতে পারিবে—ভ্রমের পরে সত্য লাভ করিলে তবেই আত্মা সত্যের প্রকৃত মাহাত্ম্য বুঝিতে পারিবে । অতএব প্রকৃতির বিভাষিকাও অমঙ্গল নহে, ছল- | মূল কথার মধ্যে পরমাশ্চৰ্য্য সোসাদৃশ্য নাও অমঙ্গল নহে, প্রত্যুত তাহা মঙ্গলেরই অব্যর্থ সোপান । বেদান্ত-দর্শনের সিদ্ধান্ত এই যে, প্রকৃতি স্বতন্ত্র পদার্থ নহে, তাহা ঈশ্বরেরই ঐশীশক্তি—মায়। পরমাত্মাই সৎ-স্বরূপ— অর্থাৎ অনন্য-সাপেক্ষ নিরবলম্ব স্বয়ন্তু সত্য; প্রকৃতি সদসদাত্মক—অর্থাৎ আপেক্ষিক । সত্য—ছায়া-সত্য। সাংখ্য-দর্শনের মতে প্রকৃতি সত্ত্ব-রজস্তমোগুণের সাম্যাবস্থা। সদাত্মক এবং ত্ৰিগুণাত্মক এ দুইটি বাক্যের অর্থ একই—কি ? না আপেক্ষিক সত্য । সত্ত্বরজস্তমোগুণ আমাদের দেশের আপামর সাধারণ সকলেরই মুখে অনর্গল শুনিতে পাওয়া যায়। কথায় কথায় লোকে বলে—অমুকের বড় তমো হইয়াছে ; সাত্ত্বিক আহারে শরীর বড় ভাল থাকে ; রাজসিক আচার ব্যবহার যোদ্ধাদেরই মানায় ভাল ; ইত্যাদি। কিন্তু বড় বড় শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিতকে জিজ্ঞাসা করিয়া দেখিয়াছি—সত্ত্বরজস্তমোগুণ যে ব্যাপারটা কি, কেহই তাহ আমাদিগকে আজ পর্য্যন্ত । বুঝাইয়। দিতে পরিলেন না। আমরা প্রামাণিক রকমে বুঝিতে চাই, তাহারা আমাদিগকে শাস্ত্রীয় রকমে বুঝা’ন ;— অমুক টীকাকার এইরূপ অর্থ করিয়াছেন, । অমুক ভায্যকার এইরূপ ব্যাখ্যা করিয়াছেন,—কেহ বলেন উহা আর কিছু নয়— ব্ৰহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বর, কেহ বলেন—জল বায়ু অগ্নি,—এই পর্যন্তই সার। ভাগ্যে কান্ট এবং তাহার পরে হেগেল্ জন্মিয়াছিলেন – তাই রক্ষা । লোকে বলে শেয়ানে শেয়ানে কোলাকুলি, আমরা আজ তাহা প্রত্যক্ষ দেখিতেছি—আমরা দেখিতেছি যে, হেগেলে কপিলে কোলাকুলি! হেগেলের এবং কপিলের দোহার দুইটি দেখিয়া আমাদের চক্ষু ফুটিয়াছে—সত্ত্ব রজস্তমে যে, ব্যাপারটা কি, এখন তাহা আমাদের নিকট জলের ন্যায় স্পষ্ট প্রতীয় মান হইতেছে—তাহা এই ; -- হেগেল্‌ ৰ্তাহার প্রসিদ্ধ দৰ্শন-পুস্তকের গুণ-শিরস্ক প্রথম অধ্যায়ে অতীব নিপুণরূপে প্রতিপাদন করিয়াছেন যে, সত্তা (Bing) অসভ (nothing) এবং বুভূষা (হই আমরা অতঃপর দেখাইতেছি যে, সদ- বার চেষ্টা (Baconing) এই তিনটি গুণ