পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* ১৯২ so to তত্ত্ববোধিনী পত্রিক s२ क्छ, २ छ।" তির কার্য্যেতেই প্রকাশ পায় যে, প্রকৃতি ত্ৰিগুণাত্মক আপেক্ষিক সত্য ; এবং আত্মার কার্য্যেতেই প্রকাশ পায় যে, আত্মা ত্রিগুণের উপরের বস্তু, অপ্রাকৃত সদ্বস্তু ; এক কথায় – পুরুষ। কিন্তু তাহার মধ্যে বিশেষ একটি মন্তব্য কথা আছে ;– বলিলাম বটে যে, অবিদ্যামুক্ত আত্মার কোন অভাব নাই কিন্ত—কিসের অভাব নাই ? সদসদাত্মক—ত্রিগুণাত্মক—প্রাকৃত কোন কিছুর অভাব নাই। প্রাকৃত অভাব নাই বটে কিন্তু পারমার্থিক অভাব রহিয়াছে ; ত্ৰিগুণাত্মক ভৌতিক অভাব নাই বটে কিন্তু গুণাতীত আধ্যাত্মিক অভাব রহিয়াছে— জ্ঞান-প্রেমের অভাব রহিয়াছে ; যে অভাব দ্বারা সমস্ত প্রকৃতি চালিত হই তেছে—সে অভাব নাই ; কিন্তু সে অভাব । কোন প্রাকৃত বস্তুরই নাই—সে অভাব কেবল আত্মাতেই দেখিতে পাওয়া যায়— কি ? না ব্রহ্ম-জিজ্ঞাসা এবং ভগবৎ-প্রেম যে, দুর্যোধনাদি শক্র-সকল মরিবার পূর্বেই মরিয়া বসিয়া আছে । আধ্যাত্মিক অভাবের বিশেষ লক্ষণ এই যে, তাহ। তাহার আপনার বাঞ্ছিত ধনের আপনিই ভাণ্ডার ; আত্মা নিজেই পরমাত্মা-রূপ পরম ধনের ভাণ্ডার। এই কারণবশতঃ আধ্যাত্মিক অভাব অভাব-নামেরই অযোগ্য। আধ্যাত্মিক অভাব নহে—শুদ্ধ কেবল প্রাকৃত অভাবই তমোগুণ শব্দের বাচ্য। পারমার্থিক সম্বন্ধ প্রাকৃত সম্বন্ধের ঠিক্ উল্টা দিকে অবস্থিতি করে ; মুক্ত আত্মা যখন প্রকৃতিকে বলে যে, তোমাকে আমার কোন আবশ্যক নাই তখন তাহার অর্থই এই যে, তোমার পর্দার অা ড়ালে পরম পুরুষ যিনি বিরাজমান তাঙ্গকেই আমার প্রয়োজন । প্রকৃতি হইতে মুখ ফিরাইয়া দাড়াইবার অর্থই হচ্চে— অন্তরতম পরমাত্মার প্রতি মুখ ফিরানো । বিবেক এবং বৈরাগ্য দ্বারা আত্মাকে মা জিয়া ঘসিয়া পরিষ্কার করিলে—আত্মাকে পিপাসা। যদি বল যে, ত্রিগুণাত্মক প্রাকৃত অভাব হইতে আধ্যাত্মিক অভাব—গুণেই । না-হয় বড় কিন্তু জাতিতে তো অভিন্ন; তবে তাহার উত্তর এই যে,—না তাহা নহে— । জাতিতেও তাহ বিভিন্ন। প্রাকৃত অভাব— । থাকে এক স্থানে—এবং তাহার পূরণ হয় । অবিদ্যা হইতে নিমুক্ত করিলে—আত্মা এমনি ভাস্বর হইয় উঠে যে, তাহ হইতে জ্যোতিষ্কণ বিনিফ্রান্ত হইতে থাকে— তাহাই ব্রহ্ম-জিজ্ঞাসা; আত্মা এমনি রসাদ্র হয় যে, তাহ হইতে অমৃত ধারা উচ্ছসিত তার এক স্থান হইতে ; ক্ষুধা উদরে,ধান্য— ক্ষেত্রে বা গোলায়। কিন্তু ব্ৰহ্ম-জিজ্ঞাসার অভ্যন্তরেই ব্রহ্মজ্ঞান জাগিতেছে— ভগবৎ-প্রেমপিপাসার অভ্যন্তরেই ভগবৎ প্রেমানন্দ জাগিতেছে ;—এখানে অভাব এবং প্রভাবের মধ্যে দেশকালের একটুও ব্যবধান নাই। পরমাত্মা যখন আত্মার অভ্যন্তরে বর্তমান আছেন—তখন সাধকের প্রেম-পিপাসা পরিতৃপ্ত হইবার পূর্বেই তাহা পরিতৃপ্ত হইয়া বসিয়া আছে ; শ্ৰীকৃষ্ণ যেমন অর্জুনকে দেখাইয়াছিলেন হইতে থাকে—তাহাই ভগবদ্ভক্তি এবং ভগবৎ প্রীতি। সে জ্যোতিকে ও প্রকৃতি আঁটিয়া উঠিতে পারে না—সে উচ্ছ - সকেও প্রকৃতি আঁটিয়া উঠিতে পারে না— পরমাত্মা স্বয়ং আসিয়া দেখা দিলে তবেই মুক্ত আত্মার আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়। মুক্ত জীবের সহিতই বা পরমাত্মার সম্বন্ধ কিরূপ, আর, বদ্ধ জীবের সহিতই বা র্তাহার সম্বন্ধ কিরূপ, এখন তাহ স্পষ্ট বুঝিতে পারা যাইবে । সংক্ষেপে এক কথায় বলা যাইতে পারে যে, বদ্ধ জীবের সহিত পর