পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هو بطلا f aية l - - - হয় এবং আমার স্বার্থ যখন তোমার স্বার্থ হয় ; অথবা যাহা একই কথা— পরমাত্মার ঐকান্তিক মঙ্গল ইচ্ছা যখন তোমার আমার এবং সকলেরই স্বার্থ হয় ; তখনই স্বার্থ এবং পরার্থ দুইই একীভূত হইয়া পরমার্থে পরিণত হয়। পরমার্থকে পাইলে স্বার্থের কোন অভাবই থাকে না । পরমার্থ কি ? না ঈশ্বরের মঙ্গল তাtশীববাদ । আমাদের প্রত্যেকেরই আপনার আপনার মঙ্গল ইচ্ছা ঈশ্বরেরই মঙ্গল ইচ্ছার অন্তভূত ; আমাদের প্রত্যেকেরই প্রকৃত স্বার্থ সেই পরমাথেরই অন্তভূত । তাই একজন লোক-প্রসিদ্ধ ভগবদ্ধভক্ত সাধু মহাত্মা বলিয়াছেন—“প্রথমে ঈশ্বরের অমৃত নিকেতনের পথ অনুসরণ কর, আর আর যাহা কিছু তোমার প্রয়োজন সমস্তই তোমাতে অনুসংযোজিত হইবে।” বিবেচনা করিয়া দেখিলে সহজেই বুঝিতে পারা যায় যে, শুদ্ধ কেবল পরের জন্যই কাৰ্য্য করিব এরূপ প্রতিজ্ঞার গোড়াতেই দোষ । কেননা, পরমপিতা পরমেশ্বর যখন সকল আত্মারই অন্তরাত্মা, তখন কেহ কাহারে পর নহে—সকলেই সকলের । আপনার। পরই যখন নাই, তখন পরের জন্য কাৰ্য্য করা কিরূপ ? শিরই যা’র নাই, তা’র আবার শিরঃপীড়া কিরূপ ? লোকে যখন স্ত্রী-পুত্রের মঙ্গল সাধন করে, তখন কেহ আর এমন মনে করে না যে, স্ত্রী পুত্রের মঙ্গল আমার আপনার মঙ্গল নহে— তাহা শুদ্ধ কেবল পরেরই মঙ্গল । তেমনি ভগবদ্ভক্ত সাধু পুরুষ যখন কোন অজ্ঞাত অপরিচিত অতিথির পাতে অন্ন পরিবেশন করেন, তখন তিনি এরূপ মনে করেন না যে, সে র্তাহার মঙ্গল কাৰ্য্য শুধু কেবল পরেরই মঙ্গল—তাহা তাহার আপনার মঙ্গল নহে। দক্ষিণ হস্তও বাম হস্তের উনষটি সান্ধৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ ২০৭ পর নহে—বাম হস্ত ও দক্ষিণ হস্তের পর নহে, কেননা উভয়েই একই হৃদয়ের দুই পাশ্ব হইতে রাহির হইয়াছে ; তেমনি, তুমিও আমার পর নহ—আমিও তোমার পর নহি—কেননা উভয়েই আমর। একই পরমাত্মা হইতে আসিয়াছি । শাস্ত্রে অাছে যে, শ্রদ্ধার সহিত দান করিবে—পর ভtবিয়া যাহলে যাহা দান করা যায়, সেরূপ দান’কে কিছু অ’ শ্রদ্ধার দান বলা যাইতে পারে ন; আপনার ভাবিয়া যাহাকে যাহা দান করা যায় তাহাই শ্রদ্ধার দান । পরমেশ্বর সর্বজগতের অধীশ্বর অথচ তিনি ভক্তজনের আপনার ঈশ্বর ;–ভক্তজনের . নিকটে তিনি অজ্ঞাত অপরিচিত পর নহেন—প্ৰত্যুত তিনি যেমন র্তাহার আপনার এমন আপনার আর কেহই নহে – “স এষ প্রেয়ঃ পুত্রাৎ প্রেয়োলিন্তাৎ প্রেয়োহন্যস্মাৎ সৰ্ব্বস্মাৎ আস্তর তরং যদ য়মাত্মা । ঈশ্বর র্যাহার আপনার সকলই তাহার আপনার ; এই জন্য তিনি যখন জগতের মঙ্গলের জন্য কোন কাৰ্য্য করেন, তখন তিনি মনে করেন যে, আমি আমার আপনারই মঙ্গলের জন্য কাৰ্য্য করিতেছি ; যখন তিনি আপনার মঙ্গলের জন্য কোন কাৰ্য্য করেন তখন তিনি মনে করেন যে, অামি জগতের মঙ্গলের জন্য কার্য্য করিতেছি; কেননা তাহার ধ্রুব বিশ্বাস এই যে, ঈশ্বরের প্রেম-সূত্রে সকল মঙ্গলেরই সঙ্গে সকল মঙ্গল অবিচ্ছেদে গ্রথিত রহিয়াছে; কাজে কাজেই পরের মঙ্গলও আপনার মঙ্গল, আপনার মঙ্গলও পরের মঙ্গল । ঈশ্বরের মঙ্গল ইচ্ছার বশবৰ্ত্তী হইয়া যিনি পরের জন্য কোন প্রকার ত্যাগ স্বীকার করেন, তিনি পরেরও মঙ্গল সাধন করেন আপনারও মঙ্গল সাধন করেন ; সকলকে মুখী করিবার জন্য যিনি আপনার সুখ,