পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

चाँषfफ़ *** s মানবীকরণই বটে 8s _ টুকু আকাশ পরিব্যাপ্ত রহিয়াছে তাহ আমরা প্রত্যক্ষ-জ্ঞানে উপলব্ধি করি ; তাহার ও-দিকে অবশিষ্ট আকাশ যাহা দূর হইতে সুদুরে প্রসারিত রহিয়াছে তাহ আমরা পরোক্ষ জ্ঞানে (পরম্পরা সম্বন্ধ অনুসারে) উপলব্ধি করি ; আর, প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সকল-আকাশের মূলে একই । অসীম মহাকাশ বর্তমান- -ইহা আমরা (2ुछाल এই মে জগৎ সৰ্ব্বতোভাবে ঈশ্ব বিশুদ্ধ জ্ঞানে প্রত্যক্ষবৎ সাক্ষাৎ সম্বন্ধে উপলব্ধি করি ; আর, “আকাশ অসীম” এ তত্ত্বটি আমরা সাক্ষাৎ সম্বন্ধে উপলব্ধি করি বলিয়া তা গুণ উপার্জন করিলার জন্য তামাদিগকে বিশেষ কোন সাধন-প্রণালী অবলম্বন করিতে হয় না – তাকাশের অণয়তন মাপিয়া দেখিতে হয় না—একেবারেই আমরা স্থির জানি যে, সমুদায় খণ্ড আকাশের মূলে অসীম মহাকাশ বিদ্যমান রহিয়াছে । তেমনি, একেবারেই আমাদের আত্মাতে ধ্রুব-রূপে প্রতীয়মান । হয় যে, সকল সত্য-জ্ঞানের মূলে এক পরম সত্য-জ্ঞান সৰ্ব্বকালেই বর্তমান । সৰ্ব্ব জগতের মূলে যদি এক অদ্বিতীয় চিরন্তন সত্য-জ্ঞান না থাকিত, জগৎ যদি বাহিরে আড়ম্বর ভিতরে ভুও হইত, অস্তিত্ব পর্য্যন্ত বিলুপ্ত হইয়া যায় ; কেননা, ঈশ্বরের প্রভাবই জগতের অস্তিত্বের চিরন্তন উৎস। ইহার অতীব একটা যৎসামান্য স্কুল উপমা এই যে, দেহের চলা, বলা, ওঠা, বস। দাড়ানো সমস্তেরই মূলে দেহীর অধিষ্ঠান অবশ্যক; দেহীর অধিষ্ঠান ব্যতি রেকে দেহের কল-বল বন্ধ হইয়া যায় । রের ইচ্ছার অভিব্যক্তি—প্রভারের উদগীরণ – আনন্দের উচ্ছসি ; দেহ অতীব অল্প-পরিমাণেই দেহীর ইচ্ছাধীন ; এমন কি—দেহ অনেক সময় দেহীর ইচ্ছার বিরোধা, সুতরাং ভারবহ হইয়া উঠে । দুয়ের মধ্যে এইরূপ আকাশ . পাতাল ভদ সত্ত্বেও—উপমাটিকে শুদ্ধ কেবল উপম-মাত্র বলিয়া গ্রহণ করিলে বিশেষ কোন হানির সম্ভাবনা নাই । অামাদের প্রকৃত কথা এই যে, এক এক আত্মা-হইতে কেমন করিয়া অনেকানেক ভাব ক্রমান্বয়ে বিকসিত হয়, তাহার প্রকরণ পদ্ধতি অবগত হইতে হইলে রীতি-মত দর্শন-শাস্ত্রের পর্য্যালোচনা আবশ্যক ; সুতরাং এরূপ গুরুতর বিষয়ে তাহা হইলে দাড়াইত যে, জগতের আদিম । অস্তিত্ব অসাক্ষিক এবং অপ্রামাণিক সুতরাং কিছুই নহে। অতএব ইহা নিঃসংশয় যে, জগতের অস্তিত্বের মূলে— এবং আমাদের পরোক্ষ এবং অপরোক্ষ সকল প্রকার জ্ঞানের মূলে—এক মহাজ্ঞান চির-বর্তমান ; কাজেই, জগতের সমস্ত কল-কৌশলের মূল সেই একই অদ্বিতীয় জ্ঞানের উপরে প্রতিষ্ঠিত । ঘড়িওয়ালার অধিষ্ঠান ব্যতিরেকেও ঘটিকা-যন্ত্র দিব্য নিরাপদে চলিতে থাকে, কিন্তু ঈশ্বরের অধিষ্ঠান ব্যতিরেকে জগতের কল চলা দূরে থাকুক্‌—জগতের আমরা এখানে হস্তক্ষেপ করিতে পারি না । এখানে কেবল আমরা এই একটি বিষয়ের ইঙ্গিত মাত্র করা শ্রেয় বোধ করি যে, প্রভাত বাবু যদি মনে করেন যে, বাহির হইতে অন্তরে ভাব-স্ফূরণ হইতেছে—এই টিই কেবল বিজ্ঞান-সঙ্গত ও সহজ-বোধ্য, আর, অন্তর হইতে বাহিরে ভাব অভিব্যক্ত হইতেছে—এটা বুদ্ধির অগোচর ; তবে সেটি তাহার অভ্যস্ত সংস্কার ভিন্ন আর কিছুই নহে। কেননা অনেকের একমুখিতা (convergence of the many towards the one) বুঝিতে পারাও যেমন, আর, একের অনেক-মুখিত (Divergance of thẻ