পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ख्यांशांा १. নাস্তিকতা জগতের কারণ হইলেও (১) এই অসম্বন্ধ উপাদান কেমন করিয়া স্বগৃঙ্খলাবদ্ধ 8s. «man লোচনা অামারদের সেই আন্তরিক বিশ্বাসকে আরও জাগ্রত ও পরিবৰ্দ্ধিত করিতে পারে বটে, কিন্তু উৎপাদন করিতে পারে না । “সুতরাং প্রয়োজনাপেক্ষা অধিকতর শক্তি সম্পন্ন কারণ স্বীকার করিবার অাবশু্যকতা নাই,” তর্কশাস্ত্রের এই যে সত্য তামারদের স্বাভাবিক বিশ্বাসের নিকটে নিতান্ত অকিঞ্চিৎকর হইয়া পড়িল । এবং ! ইহাও প্রমাণীকৃত হইল যে সসীম কারণ । প্রবাহ স্বীকারে আমরা জগৎ উৎপত্তির মূলদেশে উপস্থিত হইতে পারি না । কেবল এক অনন্ত ঈশ্বরে বিশ্বাস সসীম জগৎ স্বষ্টির মূলদেশে অমাদিগকে লইয়। মায় । প্রচলিত তর্কশাস্ত্র গুলির একটি গণ্ডী ল। সীম। তাছে। তদশস্ত্রের মূল নিয়ম বা সত্য গুলি কেবল সেই সীমার মধ্যেই কাৰ্য্যকর। এই সীমার বহির্গত হইলে তর্কশাস্ত্রের অমোঘ সত্যগুলি নিতান্ত অকিঞ্চিৎকর হইয়া পড়ে । রের অস্তিত্বে উপস্থিত হওয়া ইহার মধ্যে অন্যতম । তৰ্কশাস্ত্র সসীম হইতে সসীম বস্তুর তত্ত্বাম্বেষণ সম্বন্ধে আমাদিগকে সাহায্য প্রদান করে । কিন্তু যখনই সসীম জগত হইতে অসীম অনন্ত ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিরূপণে প্রবৃত্ত হওয়া যায় তখনই তর্কশাস্ত্র ক্ষীণবীর্য্য হইয়া প্রত্যাগমন করে । ঈশ্বরের অস্তিত্ব স্বীকার না করিয়া এই জগৎস্থষ্টি অন্যরূপে ব্যাখ্যা করিতে গেলে, নাস্তিকতা জড়বাদে পরিণত হয় । ঈশ্বর নাই, স্বীকার করিলেও এই জগতের সভা কোথা হইতে আসিল । জড়বাদিগণের মতে ইহার উপাদান অনাদি কাল হইতে বিদ্যমান রহিয়াছে ও তাহা নিত্য । কিন্তু এখানেও তাহাদিগের দুর্গ নিতান্ত ভগ্ন, শত্রুদিগের সুপ্রবেশ্য | জড় উপাদান তৰ্কশাস্ত্রের মতে ঈশ্ব- | অস্তিত্বে পরিণত হইল। (২) এই জড় উপাদান আপেক্ষা উন্নততর—অস্তিত্বের ভাব—ঈশ্বরের ভাব অন্তরে কোথা হইতে আমরা উপলব্ধি করিতে সমর্থ হইলাম । জড়বাদ ইহার কোন কারণই নির্দেশ করিনে পারে মন । অনাদিকাল চাইতে জড় উপাদানের অস্তিত্ব স্বীকার করিলেও পরিত্রাণ নাই । ইহার সঙ্গে সঙ্গে অনাদিকাল হইতে এক শক্তির অস্তিত্ব স্বীকার করিতেই হইবে। তাহ না হইলে জড়উপাদান পরিচালিত হইয়া কেমন করিয়া সুশৃঙ্খলাবদ্ধ হইল । স্বষ্টিকাল হইতে জড় উপাদান ও জড়শক্তির সজ্ঞ। স্বী করে মে বিবেচ্য বিষয় পরিস্ফুট হইয়া হাইপে তাহী নহে, বরং গোলযোগ তার ও শত গুণে পরিবদ্ধিত হয় । কোথায় বা অন্ধ শক্তির সহিত জড় উপাদান সংযুক্ত হইবে, কোথায় বা বিযুক্ত হইবে, বল বা শক্তি কি পরিমাণে জড় উপাদানের উপর কার্যকর হইবে, কে বা তাহাদিগকে কখন বা সংযুক্ত বা বিযুক্ত করিয়া জগত সংসারকে পরিচালিত করিরে, অন্ধশক্তি ও জড় উপাদানের মধ্যে পরম্পরের কেমন করিয়া সখ্যভাব স্থাপিত হইবে, এ প্রহেলিকা হইতে আমাদিগকে কে উদ্ধার করিবে । অন্ধশক্তি ও ড়েউপাদান জগতের কেবলমাত্র কারণ হইলেও, তাহারদের ংযোগ বিযোগে জগৎসংসার পরিচালিত হইলেও, দেগৎকার্য্যে অনুপম জ্ঞানের চিন্তু শিল্পচা তুরী কোথা হইতে দেখা দিল । মনুয্যের শরীর যেন জড় উপাদানে নিৰ্ম্মিত, কিন্তু অন্তর্জগৎ, জ্ঞান ও বুদ্ধির সূক্ষ উপাদানে কেমন করিয়া পরিনিৰ্ম্মিত হইল, বি