পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• د یاد #e T? বর্ষশেষ ব্রাহ্মসমাজ ९(t == য়ের কূপে পতিত হইতেছি। আমারদের কি শোকতাপ বিলাপ ক্রনদনের অবসান হইবে না । তোমার প্রীতিনীরে কি প্রাণভরিয়া সঞ্চরণ করিতে পারিব না । সংসার বন্ধনে আবদ্ধ হইয়া, সকল আশা সকল ভরসা" মন্তম্যে স্থাপন করিয়া যে পরক্ষণে গগনভেদী অাৰ্ত্তনাদে চতুর্দিক পরিপূরিত দেখি, আমারদের কি এ মোহের শান্তি হইবে না। বিষজর্জরিত দেহের ন্যায় যে আমারদের সকল চেতনার বিলোপ হইয়াছে । তোমার মস্ত্রে সকলকে জাগ্রত কর, তোমার বিমল মৃত-সঞ্জীবন জ্যোতি তামারদের সম্মুখে প্রকাশিত কর । সম্বৎ সরকাল চলিয়া গেল । এই রজনী মাত্র অবশিষ্ট আছে । সরকাল তোমার উদার সদাত্রতে লালিত পালিত হইয়া, রোগের ঔসধ শোকের সম্বৎ তোমাকে হৃদয়ের ধন্যবাদ প্রদান না করিয়া নিরস্ত থাকিতে পারি । সহস্র প্রকার স্তখে পরিবেষ্টিত হইয়া কেমন করিয়া তোমাকে ভুলিয়া থাকি । তোমার সুশী- , তল ক্রোড়ে সঞ্চরণ করিয়া কেমন করিয়া হও, নে সেরূপ দেখিয়। সংসার ভুলিয়। ঘাই—ইচ কাল তোমার অতুলন পিতৃস্নেহ বিস্তৃত হই । যিনি এক পল বিস্মৃত হইলে পৃথিবীর বিলয় দশ উপস্থিত হয় তাহাকে ভুলিয়া কেমন করিয়া সংসারে সঞ্চরণ করি । সমং সরকাল তোমার দিকে আহবান করিবার জন্য আমাদিগকে কত না অবসর প্রদান করিয়াছ। পাপমোহের হস্ত হইতে পরিত্রাণ করিবার - কত না উপায় বিধান করিয়াছ । অসাড় আত্মাকে সচকিত করিবার জন্য কত না দুঃখ ক্লেশ প্রেরণ করিয়াছ । হা জগদীশ ! তোমার দয়ার কথা স্মরণ হইলে বাক্য স্তব্ধ হয়, কৃতজ্ঞতা অশ্র জলে পরিণত হয় । আমরা মোহান্ধ জীব, সংসারের কাট, স্বষ্টিরাজ্যের বালুকণা। অামারদের উপর ও এত দয়া ! অধমসন্তানদিগের প্রতি এত বাৎসাল্য ভাব ! পাপে কলঙ্কিত জীব, অামারদের উপর ও এত মাতৃস্নেহ ! আমরা পতিত জাব উদ্ধার করিবার জন্য এত যত্ন চেষ্টা । আমারদের কি সাধ যে তোমার অতুলন স্নেহ করুণ স্মরণ রা এতে পারি । তোমার করুণ। নিমেষে নিমেষে আমারদের উপর অজস্র ধারে বর্মিত হইতেছে । তুমি এখনই তামারদের প্রতি যে করুণ। প্রকাশ করিলে তাহারই গুরুত্ব মনে ধারণ করিতে কেবল । পারি না । আমরা সাশ্র নয়নে তোমার সিংহাসনের সম্মুখে দ গুণয়মান হইয়া প্রা র্থনা করিতেছি, তুমি আমারদের পাপ মল। সকল মার্জন করিয়া দিয়া এ কলু ঘিত হৃদয়কে ধৌত বিধৌত করিয়া দাও, সান্তনা লাভ করিয়া আজ কোন প্রাণে অভিনব জীবন দান কর যে সরল হৃদয়ে কাতর প্রাণে তোমার মহিমা মহীয়ান করিয়া জীবন সার্থক করিতে পারি । তোমার মোহন মৃত্তি অামারদের সম্মুখে প্রকাশিত কর, হৃদয়-সিংহাসনে অবতীর্ণ পরকালকে একসূত্রে আবদ্ধ করি, শোকতাপের মোহ কোলা হলের উপরিতন স্তরে তানন্দে বিচরণ করিতে থাকি । অকিঞ্চন গুরু ! আমরা আপনার জন্য কিছুই করিতে পারি না, তুমি আমারদের আশা ভরসা সকলই । অকৃতজ্ঞ পুত্রের ন্যায় তোমা হইতে বহুদূরে ভ্রমণ করিতে করিতে দীপ্তশিরা হইয়া আবার তোমার পদতলে আসিয়৷ উপস্থিত হইয়াছি, পাপের গ্লানিতে অনুতাপের নরকাগ্নিতে হৃদয় দগ্ধ হইয় ঘাইতেছে । তোমার অমৃতবারি সিঞ্চনে