পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Se& তত্ত্ববোধিনী পত্রিক २२ कछ, १ जांभ ബട്--് ബ്-- তদ্বিষয়ে যত্ন করা আবশ্বক। পরে পূজা সম্মানাদির অপেক্ষায় লোকসংসর্গ যাহাতে না হয় তদ্বিষয়ে বিশেষ শাসন করা আবশ্যক। আর জাতি কুল ও বিদ্যাদির অভিমান যাহাতে মন হইতে উন্মলিত হয় তদ্বিষয়ে উপদেশ দেওয়া আবশ্যক। গুরু এতদ্ব্যতীত জ্ঞানের উপায় স্বরূপ অমানিত্ব আদম্ভিত্ব প্রভৃতি সদগণ সকল শিষ্যকে শিক্ষা দিবেন । আচার্য্যেরও বেদবিদ্যায় বিশেষ নিপুণত চাই, উপদেশকালে শিষ্যের বোধস্থলভ যুক্তি প্রয়োগের এবং বিপরীত বোধ নিরাসের শক্তি থাকা চাই । তিনি শিষ্যকৃত প্রশ্নের ঝটিতি অর্থাবধারণ করিয়া সেইগুলি স্মরণে রাখিবেন । হিক ও পারত্রিক ভোগে বিরাগ বা যাগযজ্ঞাদি কৰ্ম্মত্যাগ ও বাহ ও অন্তরিন্দ্রিয় নি গ্রহ আবশ্যক। তিনি ব্রহ্মবিৎ ও ব্রহ্মে স্থিত হইবেন । দয়া ও অনুগ্রহ এই দুইটী তাহার বিশেষ গুণ । তিনি এবং আচারনিষ্ঠ হইবেন । দম্ভ অর্থাৎ জনসমাজে আপনার ধাৰ্ম্মিকত্ব খ্যাপন তা- ৷ হার একান্ত পরিহার্য্য। তিনি কুহক শঠতা মায়া মাৎসর্ঘ্য মিথ্যা বাক্য , অহঙ্কার ও অভিমান এই সমস্ত দোষ শূন্য হইবেন। যে ব্যক্তি বিষয়বিরক্ত তাহাকে ব্রহ্মজ্ঞানোপদেশই তাহার মুখ্য প্রয়োজন । ফলত এইরূপ আচার্য্যের নিকটই শিষ্য উপস্থিত হইবে । আচাৰ্য্য ঐ সমাগত শিষ্যকে সবর্বাগ্রে আত্মার একত্বপ্রতিপাদক শ্রুতি সকল উপদেশ করিবেন । পরে যখন দেখিবেন শিষ্যের ব্রহ্মের স্বরূপ জ্ঞান হই য়াছে তখন জিজ্ঞাসিবেন, সৌম্য, তুমি কে ? যদি এই প্রশ্নে শিষ্য এইরূপ কহেন, গুরো, আমি ব্রাহ্মণপুত্র অমুকবংশীয় ব্রহ্মচারী বা গৃহস্থ ছিলাম এক্ষণে সংন্যাস গ্রহণ পূৰ্ব্বক অগ্নিপ্রয়োগে বিনষ্ট হইয়। র্তাহার ঐ- | যেমন স্বীয় নীড়ে প্রবিষ্ট হয় সেইরূপ জন্মমরণরূপ গ্রাহসঙ্কুল সংসারসাগর হইতে উত্তীর্ণ হইবার অভিলাষী হইয়াছি । তখন আচাৰ্য্য কহিবেন, সৌম্য, মৃত্যু হইলে তোমার শরীর এখানেই পশু পক্ষী সকল ভক্ষণ করিবে অথবা মৃত্তিকান্তুপে পরিণত হইবে। তুমি এই শরীরে কিরূপে সংসারসাগর হইতে উত্তীর্ণ হইবার অভিলাষ করিয়াছ। নদীর কূলে দগ্ধ হইলে কি নদীর পারে গমন করা যায় ? এই কথা শুনিয়া শিষ্য যদি বলে অামি শরীর হইতে ভিন্ন, শরীর জন্মে, মরে, পশু পক্ষীরা খায়, মৃত্তিকায় পরিণত হয়, শস্ত্র ও যায় এবং ব্যাধিতে আক্রান্ত হইয়া থাকে। পক্ষা আমি স্বকৃত কৰ্ম্মবলে এই শরীরে প্রবিষ্ট হইয়াছি। আবার পক্ষী যেমন পূৰ্ব্বনীড় ত্যাগ করিয়া নীড়ান্তর গ্রহণ করে সেইরূপ আমিও শরীরনাশে শরীরান্তর গ্রহণ করিব। অর্থে নিস্পৃহ শিখ ও উপবীতাদিশূন্য । এইরূপে আমি অনাদি সংসারে পূর্বদেহ ত্যাগ ও নূতন নূতন দেহ গ্রহণ পূর্বক ঘটা যন্ত্রের ন্যায় জন্মমরণচক্রে কৰ্ম্মবশাৎ ভ্রাম্যমাণ হইয়াছি এবং ক্রমে এই বর্তমান দেহলাভ করিয়া ও এই সংসার-চক্র-ভ্রমণে নিতান্ত নিবেদযুক্ত হইয় আপনার নিকট উপস্থিত হইয়াছি। সংসার-চক্র হইতে নিষ্কৃতি পাওয়াই আমার লক্ষ্য। আমি শরীর হইতে ভিন্ন । মনুষ্য যেমন বস্ত্র গ্রহণ ও ত্যাগ করে সেইরূপ সে এই শরীর গ্রহণ ও ত্যাগ করিয়া থাকে । তখন আচাৰ্য্য কহিবেন, সৌম্য, তুমি অতি সাধুদশী, ঠিক বলিয়াছ। কিন্তু আমি ব্রাহ্মণপুত্র অমুক বংশীয় ব্রহ্মচারী বা গৃহস্থ ছিলাম, ইদানীং সংন্যাস গ্রহণ করিয়াছি তুমি আত্মপরিচয়ে অগ্ৰে কেন এইরূপ মিথ্যা কথা কহিলে। আচার্য্যের এই