পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাৰ্ত্তিক ১৮১১ கரக குை , ཅས། i “আত্মা নমেব প্রিয়মুপালীত । স য আত্মানমেব প্রিয়মুপাস্তে নহাস্য প্ৰিয়ং প্রমায়ুকং ভবতি ।” 酶 পরমাত্মাকেই প্রিয়রপে উপাসনা করিবে । যে সাধক পরমাত্মাকে অর্থাৎ ঈশ্বরকে প্রিয় বলিয়া উপাসনা করেন, প্রত্যক্ষ করিয়া থাকেন, কারণ ইহা নিত্য তাহার প্রিয় কখনই বিনাশ হইবে না । আর এক স্থানে লিখিত আছেঃ ব্ৰহ্মপূজা ృషి -- ة له ستصبيه صــرnكد - عبة كس করতঃ বিশাল অন্ধকারের গভীর গর্ভ | | হইতে স্থশোভনা পৃথিবীকে মানবের চক্ষের উপর ধরিল, এখন মানব চক্ষুষ্মান, কৰ্ম্মঠ ও সচেতন । এই ঘটনাটা সকলেই নৈমিত্তিক । ইহা জড়জগতের ঘটনা, আবাল বদ্ধ বনিত সকলেরই প্রত্যক্ষীভূত।

  • অস্থিা বা অরে দ্রষ্টব্য: শ্রোতব্যে মন্তব্যে নিদি- ।

ধ্যাসিতব্যঃ ।” পরমাত্মা দর্শনীয়, শ্রবণীয়, মননীয় ও নিদিধ্যাসনায় । পরমাত্মা পরমেশ্বরকে দেখা যায়, শুনা যায়, মনন ও ধ্যান করা যায় | “তদেং প্রেয়ঃ পুত্রাৎ প্রেয়ে বিত্তাং প্রেয়োন্য স্মাই সৰ্ব্বন্মাদ স্তর তরং যদয় মাত্ম ।’’ সেই এই যে পরমাত্মা ইনি পুত্র হইতে প্রিয়, বিত্ত হইতে ও প্রিয় এবং অপরাপর সমস্ত বস্তু হইতে ও প্রিয়তম । যে, ঋমির ঈশ্বরকে উপাসনা করিতেন । তাহারা বিশ্বাস করিতেন, তাহাকে দর্শন করা যায়; তাহার কথা শ্রবণ করা যায়, তিনি ধ্যানগম্য এবং মননীয়। শুদ্ধ এই বলিয়াই যে র্তাহারা নিরস্ত হইয়াছিলেন, তাহা ও নহে। কিন্তু সর্ববাপেক্ষ প্রিয়তমরূপে প্রত্যক্ষ অনুভব করিয়াছিলেন । “যদয়মাত্মা” এই যে আত্মা—এই প্রত্যক্ষ ঈশ্বর আমার পুত্ৰ হইতে ও প্রিয়, বিত্ত হইতেও প্রিয় এবং অপরাপর বস্তু হইতেও প্রিয় । ইহা অপেক্ষা প্রত্যক্ষ দশনের প্রমাণ আর কি দেওয়া যাইতে পারে ? জগত গভীর অন্ধকারে নিমগ্ন । মানুষ চক্ষু থাকিতেও অন্ধ, শক্তি থাকিতেও আতুর, চেতনা থাকিতেও চেতনাহীন। পূর্ব দিক হইতে সূৰ্য্য উঠিয়া অন্ধকার অপহরণ আধ্যাত্মিক জগৎ একটা পৃথক রাজ্য । অবিশ্বাস ত্যন্ধকারে জগৎ আবৃত। বিশ্বাসের সূৰ্য্য উদিত হইয়া মানবের জ্ঞান-চক্ষুর উপর আধ্যাত্মিক রাজ্যকে প্রকাশ করিল। মানব আধ্যাত্মিক রাজ্যে বিচরণ করিয়া সেই রাজ্যের শোভা, সেই রাজ্যের সোঁদর্ঘ্য প্রত্যক্ষ করিতে পারে না, কেবলিতে । পারে ? আমরা বলি, নিশ্চয় পারে । তাহার জন্যই প্রাচীন ব্রহ্মপরায়ণ ব্রহ্মউপাসকেরা ঈশ্বরকে প্রত্যক্ষ করিয়াছিলেন এবং অধ্যাত্মিক রাজ্যে নানাবিধ ঘটন। এই কয়টা শ্লোকে দেখা যাইতেছে । সন্দর্শন করিয়া সৰ্ব্বদা আনন্দিত থাকিতেন । তাহার জন্যই সংসার যাহাকে সুখ বলে, তাহার। তাহাকে দুঃখ বলিতেন, সংসার মাহাকে অনন্দ বলে, তাহারা তাহাকে নিরানন্দ বলিতেন । সাংসারিক এক রাজার রাজ্য, তাহারা অপর রাজার রাজ্যে বাস করিতেন । উপনিষদের সাধনপ্রণালী যদি আমরা আলোচনা করিতে যাই, তাহা হইলে আমাদের চক্ষের উপর কতকগুলি উজ্জ্বল সত্য আসিয়া উপস্থিত হয় । তাহার মধ্যে আমরা একটী সত্য অতি অাদরের সহিত গ্রহণ করিতে পারি,সেইটা এইঃ-ঈশ্বরকে আত্মস্থ হইয়া দেখা । “তমাত্মস্থং যেইমু পশ্যস্তি ধীরাস্তেষাং শান্তিঃ শাশ্বতী নেতরেষাং ।” র্তাহাকে আত্মস্থ হইয়া যে দর্শন করে, তাহারই নিত্য মুখ হয় অন্যের নহে। ജ = sk