পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"" د ده د چférچ ইচ্ছা অপরের স্বীন ই স্থার নিকট পবিত্র স্বাধীনতা শিক্ষা করিয়৷ আত্মাতে ফিরিয়া আসিবে । কারণ জ্ঞান জ্ঞানেতে পরিবৰ্দ্ধিত হয়, প্রীতি প্রীতিতে পরিবৰ্দ্ধিত হয়, ইচ্ছা ইচ্ছাতে পরিবৰ্দ্ধিত হয় । জ্ঞান প্রীতি ও ইচ্ছা , আত্মস্থ হইলে ইহাদের অমিত শক্তি, অমিয় হুধ ও অসীম বলের সঞ্চয় হইয়া থাকে। অমিত শক্তি-সম্পন্ন, অমিয় প্রীতি যুক্ত ও অসীম ইচ্ছাপূর্ণ আত্মা ব্রহ্মনিষ্ঠ হইলে শাশ্বতী শান্তির অধিকারী হয় । তাই ঋষিরা বলিয়াছেন— “তমাত্মস্থং যেহনু পশু্যন্তি ধারাস্তেষাং শান্তি: শাস্বতী নেতরেষাং ।” ক্রমশ: | ۔ابرہہ 68 منص ঈশ্বরের পথ । সুবিশাল বিশ্বব্রহ্মাণ্ড অনুপম সৌন্দর্য্যের একমাত্র লীলাভূমি। যেখানে যে অলঙ্কার প্রদান করিলে সৌন্দর্ষ্য একেবারে উচ্ছসিত হইয়া উঠে, জগৎ রচনায় তাহার কিছুমাত্র অভাব নাই । সমুদ্রের বীচি-বিক্ষোভিত বক্ষে যে গম্ভীর্য্য প্রতিফলিত রহিয়াছে, অভ্ৰভেদী পর্বতশিখরে যে মহান শান্তভাব বিকশিত রহিয়াছে, পুষ্পের মুনিপুণ রচনার মধ্যে যে লালিত্য উদ্বেলিত হইয়া পড়িতেছে, বৃক্ষের নববিকশিত পত্রে যে মধুরতা ঝরিতেছে, পক্ষীর পতত্রের যে বিচিত্ৰতা সকলের নয়নমন বিমোহিত করিতেছে, তাহা অপেক্ষা উন্নততর শ্রেষ্ঠতর সৌন্দর্য্যের আদর্শ কি আমরা কল্পনার চক্ষের সম্মুখে ধারণ করিতে পারি ? স্বষ্টি রাজ্যের সোঁ- | নদর্ষ্যতত্ত্ব আলোচনা করিতে গিয়া বাক্য স্তব্ধ হইয়া যায়, মন অসাড় হইয়া পড়ে, কল্পনা কি বলিবে । i ঈশ্বরের পথ ১২৩ যে অপ্রতিম পরমেশ্বরের সত্তার ভাব আমারদের হৃদয়ে চির মুদ্রিত রহিয়াছে, বাহ্যজগতের সৌন্দর্য্যের আলোচনা তা হাকে আরও জাগ্ৰত করিয়া দেয়। ঈশ্বর অামারদের অন্তরের ধন, র্তাহাকে বাহিরে সহজে অনুভব করা যায় না । কি বাহ্য জগতে কি অন্তর্জগতে তাহাকে জাজ্বল্যতর রূপে অনুভব করিতে হইলে উভয়েরই মৰ্ম্মস্থানে সামাদিগকে অনুসন্ধান করিতে হয় । চন্দ্র সূর্য্যের নিয়মিত আবর্তন, গ্রহ নক্ষত্রের নির্দিষ্ট আগমন প্রত্যাগমন, ভৌতিক নিয়মের অব্যাহত ভাব আমরা জ্ঞান সঞ্চারের সঙ্গে সঙ্গেই দেখিয়া আসি । তেছি, ইহারদের প্রত্যেক ব্যাপারই যারপর নাই বিস্ময়জনক হইলেও আশৈশব পরিচয় বিস্ময়ের ভাবকে তিরোহিত করিয়া দিয়াছে। এক্ষণে সেই বিস্ময়ের ভাব অন্তরে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করিতে হইলে বি জ্ঞানের আলোচনা চাই, আবিষ্কৃত বস্তু তত্ত্বের রহস্যের মূলদেশে গমন করা চাই। সকলে তাহাকে সহজে স্থষ্টির মধ্য হইতে সুম্পষ্ট অনুভব করিয৷ সাদরে গ্রহণ করিবে বলিয়া তিনি স্বষ্টির সৌন্দর্ষ্যের মধ্যে অধিd ষ্ঠিত আছেন ; হৃদয়ের অভ্যন্তরে হৃদয়ের অধিষ্ঠাত্রী দেবতারূপে বর্তমান দেখিয়া র্তাহাকে সকলে শ্রদ্ধা ভক্তির বিমল উপচারে পূজা করিবেক বলিয়া যিনি অন্তরে বিরাজিত রহিয়াছেন, কিন্তু জড়জগতের অখণ্ডনিয়মবদ্ধ একই রূপ কাৰ্য্যপ্রণালী বিস্ময় উদ্দীপনে অসমর্থ হইয়। স্বষ্টির মধ্যে র্তাহাকে প্রচ্ছন্ন করিয়া ফেলে। শ্রদ্ধা ভক্তি মায়া মমতা, স্নেহ বাৎসল্য প্রভৃতি বিবিধ সদগুণে যিনি আমারদের অন্তদেশ স্বসজ্জিত করিয়া দিলেন, যেহেতু আমরা সহজে তাহাকে পূজা করিতে পারিবর্তাহার পবিত্র নাম জগৎময় বিতরণ করিব, র্তাহার '