পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

twोष sw* s রামানন্দের কথোপকথন। ృసిల్ఫి -ே রামানন্দ বলিলেন, প্রেমভক্তি উত্তম সাধন । 萨 “রায় কহে প্রেমভক্তি সৰ্ব্ব সাধ্যসার ।” ক্ষুধা তৃষ্ণ না থাকিলে আহার পানে যেমন আনন্দ হয় না, সেইরূপ হৃদয়ে প্রেমভক্তি না থাকিলে নানা উপচারে পূজা করিলেও হৃদয় সুখ-বিদ্রুত হয় না । ‘‘ভক্তিরসভাবিত। মতি’ অর্থাৎ ভক্তি রসসিক্ত চিত্ত যদি কোথা ও পাও ক্রয় কর, একমাত্র লালসাই তাহার মূল্য । কোটি জন্মের স্বকৃতির দ্বারাও তাহ পাওয়া যায় না । শ্রবণ করিয়া চৈতন্য বলিলেন, ইহা ও হয়, আর ও উপরের সাধন বল । রায় বলিলেন, দাস্য প্রেম উত্তম । বতে অম্বরীমের প্রতি দুৰ্ব্বসার উক্তি এই, অবশেষ থাকে ? একটু আগে বল। তবে সখ্য প্রেম সাধনার সার। ইহাও উত্তম, আর একটু উচ্চ সাধন বল । বাৎসল্য প্রেমই শ্রেষ্ঠ । ইহাও উত্তম, আরও একটু আগে বল । রায় কহিলেন, কান্তভাব সাধনার সার ।

  • রায় কহে কান্ত ভাব প্রেম সাধাসার ।”

ঈশ্বর প্রাপ্তির উপায় অনেক, যার পক্ষে যে উপায় উপযুক্ত তার পক্ষে তাহাই । শ্ৰেষ্ঠ । পূর্ব পূর্ব রস অর্থাৎ শান্ত দাস্য " அடி_ _ . করিয়া কেবল ভক্তিমাৰ্গ অনুসরণ করাতে র্তাহার নিজেব ক্ষতি না তইলেও তাহার অনুবন্ত্ৰীগণের বিশেষ অপকার ত ইয়াছে । সম্প্রদায়ে জ্ঞানালোচনার তত অ{Wর দেখা যায় না । জ্ঞানভাক্তর সামঞ্জস্যই পূর্ণধৰ্ম্ম । নিৰ্ম্মল জ্ঞানের অব স্থাই মুক্তর অবস্থ। । জ্ঞানশূন্য অন্ধ গুক্তিতে যে ধৰ্ম্ম- | জীবনে নান। বিকৃতি ঘটিয়া অনর্থ উপস্থিত হয়, আমাদের দেশের বৈষ্ণব সম্প্রদায় তাহার প্রমাণ স্তল । এমন কি চৈতন্যের জীবনেও ধৰ্ম্মোন্মত্তত উপস্থিত না হইয়াছিল এমন নহে । শ্ৰীমদ্ভাগ- । ষঃবগণ মাধুর্য্যভাব বলিয়াছেন। যাহার নাম শ্রবণ মাত্ৰেতে জাব নিৰ্ম্মল প- | বিত্র হয়, তাহার দাসদিগের আর কি ! চৈতন্য বলিলেন, আর ।

ে "_" " : এপ্রকার লোক পৃথিবীতে আছে জানি

সখ্য বাৎসল্য রসের গুণ কান্তভাব মাধুর্য রসে মিলিত হইয়াড়ে । ক্ষিতি, জল, অগ্নি, বায়ু, আকাশ এই পঞ্চভূতের গুণ যেমন পরস্পর মিলনের দ্বারা মৃত্তিকাতে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইয়াছে অর্থাং শব্দ স্পর্শ রূপ রস গন্ধ এই পাচগুণ ক্ষিতিতে একাধারে মি লিত হইয়াছে, সেইপ্রকার শান্ত দাস্য সখ্য বাৎসল্য এই চারি রস কান্তভাবে সন্নিবিষ্ট হওয়ায় ইহা মাধুর্য্য রস নামে অভিহিত হইয়াছে । সতী যেমন প্রাণ পতির প্রতি একান্ত অনুরাগিণী, মানব হৃদয় যখন সেই প্রকার একনিষ্ঠ হইয়া ঈশ্বরের ভজনা করে, তখন তার জীবন সার্থক হয়। এইভাবের উপাসনাকেই বৈ “কৃষ্ণ প্রাপ্তির উপায় বহুবিধ হয়। কৃষ্ণ প্রাপ্তি তারতম্য বহুত আছয় ॥ কিন্তু যার যেই রস সেই সৰ্ব্বোত্তম । তটস্থ হয়ে বিচারিলে অাছে তারতম্য ॥ পূৰ্ব্ব পূৰ্ব্ব রসের গুণ পরে পরে হয় । এক দুই গণনে পঞ্চ পর্য্যন্ত বাঢ়য় ॥ গুণাধিক্য মাধুর্য্যাধিক্য বাড়ে সৰ্ব্বরসে । শান্ত দাস্য সখ্য বাংসল্যের গুণ মধুরেতে বৈসে । আকাশাদির গুণ যেন পর পর ভূতে । দুই ভিন গণনে বাঢ়ে পঞ্চ পৃথিবীতে ॥ পরিপূর্ণ কৃষ্ণ প্রাপ্তি এই প্রেম হইতে । এই প্রেমার বশ কৃষ্ণ কহে ভাগবতে ॥” চৈতন্য বলিলেন, হে রামানন্দ ! ইহা SS SAAA AAAA AAAAS A SAS SSAS S S S S S S S S SLLLSLS S L SSSS - শ্রেষ্ঠ সাধন নিশ্চয় বুঝিলাম, যদি ইহা ভাবে সাধকের কি দুৰ্গতি হয়, তিনি নিজে তাছা অন্ত- ' ভব করিতে পারেন নাই । জ্ঞানানুশীলন পরিত্যাগ । হইতে উচ্চ সাধন থাকে, আমাকে অনুগ্রহ পূর্বক বল । রায় বলিলেন, ইহা অপেক্ষ। উচ্চ সাধন জানিতে ইচ্ছা করে, তাম না । “প্ৰভূ কহে এই সাধ্যাবধি সুনিশ্চয় । কৃপা করি কহ যদি আগে কিছু হয় ৷ রায় কহে ইহার আগে পুছে হেন জনে । এতদিন নাহি জানি আছয়ে ভুবনে ॥”