পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N)b" তত্ত্ববোধিনী পত্রিক

  • २ कन्न, २ छाँगं
  • ..-- ــ ۔ r===

কেবল সেই মূলাধার কিরূপ ইহা লইয়াই যত কিছু বিবাদ বিসম্বাদ । এ প্রশ্নের মীমাংসা কে করিবে ? অবশ্য—জ্ঞান, তা ভিন্ন আর কে ? জ্ঞানকে জিজ্ঞাসা কর— জ্ঞান কি বলে ? জান যখন বলিতেছে যে, দৃশ্য আবির্ভাব-সকলের মূলাধার অাছেই আছে” তখন তাহাতেই প্রমাণ হইতেছে যে, সেই মূলাধার জ্ঞানের নিকটে অপ্রকাশ নাই; কেননা, মূলাধার জ্ঞানে প্রকাশ পাওয়াতেই জ্ঞান বলিতেছে “মূলাধার আছেই আছে” নতুবা আর কিসের জোরে জ্ঞান ওরূপ কথা বলিতে সাহসী হইবে ? ঈশ্বর তাহার আপনারই প্রদত্ত মনুষ্যজ্ঞানে আপনি আবিভূতি হ’ন ; রাজা যেমন র্তাহার আপনার প্রদত্ত প্রিয়-জনের ভবনে আপনি আতিথ্য গ্রহণ করেন— সেইরূপ । জ্ঞানে প্রকাশিত আছেন ইহাতে তার সন্দেহ মাত্ৰ নাই,—জিজ্ঞাস্য শুধু কেবল এই যে, তিনি জ্ঞানে কিরূপে প্রকাশ পাইতেছেন ? যদি বল যে, মূলাধার দৃশ্য বস্তুরূপে জ্ঞানে প্রকাশ পাইতেছেন, তবে সে কথার কোন অর্থ নাই; কেননা যাহা চক্ষে দৃষ্ট হয় তাহ দৃশ্য আবির্ভাব-মাত্র, তাহা মূল বস্তুকে আশ্রয় করিয়াই আবিভূত হয়, তাহ৷ স্বয়ং মূল-বস্তু নহে । যদি বল যে, মৃলাধার শূন্য-রূপে জ্ঞানে প্রকাশ পাইতেছেন, তবে সেরূপ কথার ও কোন s অর্থ নাই ; কেননা শূন্য কিছুই নহে— । যাহা কিছুই নহে তাহার প্রকাশ অসম্ভব । অতএব জগতের যিনি মূলাধার তিনি স্বয়ম্ভ আত্মা রূপেই জ্ঞানে প্রকাশিত আছেন – এ ভিন্ন আর গত্যন্তর নাই। স্বয়ম্ভ আত্মা— অর্থাৎ তিনি আমাদের ন্যায় অপু র্ণ আত্মা নহেন, কেননা অপূর্ণ অায়। অনেক অংশে ’অন্যের উপর নির্ভর করে ; যিনি মূলাধার পুরুষ তিনি অন্য কাহারে উপর নির্ভর করেন না—র্তাহারই উপর সমস্ত জগৎ নির্ভর করে। এইরূপ দেখা যাইতেছে যে, জগতের যিনি মূলাধার তিনি পরিপূর্ণ নিরবলম্ব স্বয়ম্ভ, পরমাত্মা-রূপে অtমাদের জ্ঞানাভ্যন্তরে নিরন্তর প্রকাশিত আছেন ; অথচ অনেক সময়ে আমরা আমাদের বুদ্ধির দোষে এইরূপ মনে করি—যেন আমাদের নিকটে তিনি অপ্রকাশ রহিয়াছেন । আমরা আমাদের অভ্যাস-দোমে চক্ষের উপলব্ধি বা হস্তের উপলব্ধিকেই উপলব্ধি মনে করি, জ্ঞানের উপলব্ধিকে ধর্তব্যের মধ্যেই ধরি না ; আমরা সচ্চিদানন্দ পরমাত্মাকে জ্ঞানে উপলব্ধি করিয়া ও মনে করি—যেন আমরা তাহাকে উপলব্ধি করিতেছি না। পর মাত্মা আমাদের জ্ঞানাভ্যন্তরে এরূপ সমস্তের মূলাধার—মনুষ্যের । নিগুঢ় ভাবে প্রকাশ পাইতেছেন যে, আমরা তাহাকে দেখিয়া ও দেখি না ; কিন্তু তাহা বলিয়া এরূপ বলিতে আমরা অধিকারী নহি যে, তিনি আমাদের জ্ঞানে প্রকাশ পাইতেছেন না। বণিক যেমন টাকা দিয়া টাকা উপার্জন করে, শিষ্য যেমন বুদ্ধি দিয়া বুদ্ধি উপার্জন করে— আপনার অপরিস্ফট বুদ্ধি দিয়া গুরুর পরিপক্ক বুদ্ধি উপার্জন করে ; মনুষ্য সেইরূপ জ্ঞান দিয়া জ্ঞান-স্বরূপের দর্শন লাভ করে—স্কুদ্র জ্ঞান দিয়া পরিপূর্ণ জ্ঞা নের দর্শন লাভ করে | পরমাত্মার দশনলাভের এরূপ সহজ উপায় সত্ত্বে ও শুষ্ক বৈজ্ঞামিকের জ্ঞান দিয়া অজ্ঞান ক্রয় করেন –আলোক দিয়া অন্ধকার ক্রয় করেন; র্তাহাদের জ্ঞানের ফল এই যে, পরমাশচর্য্য বিচিত্র জগতের মধ্যে র্তাহার। কেবল অজ্ঞান-অন্ধকারই দর্শন করেন । তাহারা বিপুল বিদ্যা বুদ্ধি ব্যয় করিয়া