পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ ১৮১১ গা রত্রী-চিন্ত ۹ مواد ജ-= স্ত্রীলোক লজ্জাবশতঃ কাপড় ছাড়িতে না । পারে তাছাকে সকলে সাধু গৃহস্থ ইত্যাদি যাত্রিরা পাপী বলে । এই স্ত্রী উলঙ্গ চষ্টয়া দর্শন করে না । এ বড় মহাপাতকী ৷ অম্বরনাথে যে মসলমানরা থাকিত তাঙ্গার এবং যে দুই জন ইংরাজ কাশ্মীর চষ্টতে দেখিতে আসিয়াছিল তাচার, পরম্পর গল্প করিয়া তালি দিয়া হাসিত । বলিত ইছারা কি করিতেছে । এইরূপ তীর্থযাত্র। দেখিয়া শিবনারায়ণ যাহা বলিয়াছেন শুন । অন্মরনাথ গুহার মধ্যে যাইয়। যাত্রির কি দর্শন করিত ? ঐ সকল পাহাড়ের উপর কেবল বার মাস বরফ জমিয়া থাকে । সেই অম্বরনাথ গুহার সম্মুখে পাহাড়ের ভিতর কয়েক স্থান ফাটিয়া গিয়াছে । সেই ফাট। পথের উপর হইতে বরফ গলিয়। গলিয়া ঐ পাহাড়ের ছিদ্র দিয়া ঐগুছার মধ্যে কয়েক স্থানেতে পড়িয়। বরফের জল জমিয় যায় । কোন স্থানে ছোট কোন স্থানে বড় কোন স্থানে নিচু কোন স্থানে উচু কিন্তু দুইট বরফের লিঙ্গাকার ওখানে জমিয়া যায় । তাহার একটাকে পাৰ্ব্বতী ও একটাকে শিবলিঙ্গ বলে । পাণ্ডারা সেই বরফকে সেই দিবস উত্তমরূপে পালিস করিয়া লিঙ্গাকারে পরিণত করিয়া অর্থাৎ অম্বর নাথ এবং পাৰ্ব্বতীকল্পনা করিয়া রাখে এবং যাত্রিদিগকে বলিয়া দেয় যে, তোমর। ইহাকে দর্শন কর । যাত্রিরা সেই কথা শুনিয়া সেই বরফের পাৰ্ব্বতী এবং শিবলিঙ্গের কাছে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করে এবং ভক্তি পূৰ্ব্বক তাহার চরণের ধূলা লয়। পাণ্ডার যাত্রিদিগকে বলে যে, আমি কেমন তোমাদের ইষ্টগুরু শিব ও পাৰ্ব্বতী ঈশ্বরকে তোমাদিগকে প্রত্যক্ষ দর্শন করাইলাম । বাত্রিরা ও প্রসন্ন হইয়া ধন্যবাদ দেয় এবং টাকা পয়সা দেয় । ক্রমশঃ । তিনি গায়ত্রী-চিন্ত । (গত পৌষ মাসের পত্রিকার ১৬৪ পৃষ্ঠার পর ) যিনি এই সৃষ্টিতে প্রেমরূপে বিরাজিত, যাহার প্রেম কি তৃণ কি পৰ্ব্বত জগতের প্রত্যেক পদার্থে দেদীপ্যমান–র্তাহাকে কি স্বষ্টিতে দেখিতে পাওয়া যায় ? কখনই না । সুর্য চন্দ্র তারক তাহাকে প্রকাশ করিতে পারে না, তিনি সৃষ্টির অতীত। তিনি স্বষ্টির অন্তরালে থাকিয়া আমাদিগকে প্রীতি করেন-–যেন মাতা সন্তানের জন্য সাতিশয় স্নেহ সহকারে সোপকরণ বহুবিধ আহারীয় দ্রব্য গুহে প্রস্তু ত রাখিয়। তথা হইতে অন্তৰ্হিত হইয়াছেন । জড়জগৎ, পশু পক্ষাদি তাই াকে জানে না, মানবাত্মাও বহু অনুসন্ধান করিয়াও তাহাকে পায় না । শ্ৰুতি স্মৃতি মন ও বাক্য তাছাকে অন্বেষণ করিতে গিয়া পরাস্ত হইয়া ফিরিয়া আইসে। তবে তিনি আমাদিগের আত্মাতে দেখা দেন, তাই আমরা তাহাকে দেখিতে পাই । স্বয়ংজ্যোতিঃ । যেমন সুর্য্যমণ্ডল প্রখর জ্যোতিঃপুঞ্জ আকারে উদিত হইয়। আমাদিগের চক্ষুতে আলোক প্রেরণ করে তবে আমরা সূর্যাকে দেখিতে পাই, সেইরূপ পরমেশ্বর স্বয়ং প্রেম সত্য আশ্রয় কারণ প্রভূতিরূপে আত্মাতে আবিভূতি হইয়া আমাদিগের আত্মার চক্ষুতে র্তাহাকে দেখিবার উপযুক্ত আলোক অর্থাৎ ক্ষমতা প্রদান করেন তবে আমরা তাহাকে উপলব্ধি করি। ইন্দিয় প্রশাস্ত, চিত্ত নিৰ্ম্মল এবং রাগদ্বেষাদি রজোগুণ ও প্রমাদ আলস্যাদি তমোগুণ বিবর্জিত হইলে তাঁহার দর্শন তাহার সহবাস করিবার জন্য স্পৃহা সহজেই সমুদিত হয় । তখন তিনি আমাদিগের সমক্ষে অপার শান্তি-সমুদ্র পিতা মাত৷ স্বহৃৎ জ্ঞান প্রেম-দাতা রূপে আবিভূত