পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

φfυπ Σν» και ষষ্টতম সাম্বংসরিক ব্রাহ্মসমাজ -

వd

দিকে বিক্ষিপ্ত হইয়া, একদিকে শুষ্ক জ্ঞান, আর এক দিকে অন্ধ ভক্তি, এবং আর-এক দিকে জ্ঞান-শূন্য প্রাণ-শূন্য অনর্থক বাহ্যা ড়ম্বর—এই তিন বিরোণী স্রো ত তিনদিকে । প্রবাহিত হইয়। আমিতেছে । এক সম্প্রদায় জ্ঞানের পক্ষপাতী—ভক্তির বিরোধী ; আর-এক সম্প্রদায় ভক্তির পক্ষপাতী -জ্ঞানের বিরোধী ; আর এক সম্প্রদায় শূন গৰ্ত্ত যাগ যজ্ঞাদির পক্ষপাতী—জ্ঞান এবং ভক্তি উভয়ই তাছাদের মৌপিক তাড়ম্বর-মাত্র । কোন এক অশুভ মুহুর্তে আর্য্য-ধৰ্ম্মের কোন কর্দম পিণ্ডে বিনিৰ্ম্মিত । অবশ্রাম চলিতেছে—রাশি রাশি, অর্থের পুজি হইতেছে—কিন্তু তাহার মধ্যে জ্ঞানও নাই—প্রাণও নাই ; দেখিবে যে, ক্ষুদ্র প্রাণ কৰ্ম্ম-কার্যের মূৰ্ত্তিই স্বতন্ত্র ; তাহার হৃদয় শুষ্ক কাষ্ঠে বিনিৰ্ম্মিত, মস্তিষ্ক জ্ঞান সকলেরই পুজার সামগ্ৰী—কিন্তু শুষ্ক জ্ঞান কিছুই নছে । পুষ্পকে সকলেই মাথায় করিয়া পূজা করে, বক্ষে করিয়া যত্ন করে ; কিন্তু শুষ্ক এক অলক্ষিত কোণে বিচ্ছেদানলের ক্ষুদ্র । ७कछि শমুলিঙ্গ নিপতিত झङ्केशोप्छ-कालক্রমে সেই এক বিন্দু অগ্নি-কণা প্রজ্বলিত হইয়া উঠিয়। সমস্ত ভারতভূমি ছারখার করিয়া দিল--তবুও তাহার উদর-পূর্তি হইতেছে না ; সৰ্ব্বনাশের বাকি রাখে নাই— তবুও তাছার আকাঙ্ক্ষ। মিটিতেছে না— আরো সৰ্ব্বনাশ চায় । নিজের বলে আর্য্যভূমিকে যতদূর দগ্ধ করিবার তাহ করিয়াছে —এখন দেশ-বিদেশ হইতে আহুতি যাচিয়৷ আনিতেছে। ধৰ্ম্মের মূলগত বিচ্ছেদ কাজে কিরূপ ফলিয়া উঠিয়াছে তাহার যদি দৃষ্টান্ত দেখিতে চাও তবে ভারতবর্ষের অধুনাতন শোচনীয় অবস্থাটি একবার সজল-নয়নে নিরীক্ষণ কর ; হত্যাগৃহে অবরুদ্ধ গাভীবৃন্দকে বৎসেরা যেরূপ-নয়নে নিরীক্ষণ করে সেই রূপ নয়নে নিরীক্ষণ কর ; দেখিবে যে, জ্ঞানবল খুবই দাপাদাপি করিয়া বেড়াইতেছে কিন্তু সে জ্ঞান প্রাণশূন্য এবং অকস্মণা ; দেখিবে যে, প্রেম-ভক্তি খুবই মাতামাতি করিয়া বেড়াইতেছে—কিন্তু সে ভক্তি জ্ঞানশূন্য অন্ধ ভক্তি ; দেখিবে যে, বাহুবল খুবই ছাতি ফুলাইয় বেড়াইতেছে— কিন্তু তাহার ভিতরে ন৷ আছে অনুরাগ না আছে জ্ঞান ; বাণিজ্য ব্যবসায় কাজ কৰ্ম্ম পুপকে গৃহ হইতে ঝাটাইয়া ফেলিয় দেয়। কিন্তু সেই আদরের সামগ্ৰী প্রীতিভক্তি সৰ্ব্বজগতেরই আদরের সামগ্ৰী ; যখন অজ্ঞানের অন্ধকারমর গহবরে বাস করিয়া অন্ধ ভক্তি হইয়া বাহির হয়, তখন তাহা ভয়ের সামগ্ৰী ! পুষ্প সূর্যালোকে নৃত্য করে বলিয় তাহার বক্ষ স্বধার ভাণ্ডার; সপ অন্ধকারে বাস করে বলিয়। তাহার আপাদমস্তক বিষে পরিপূর্ণ। দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদের দেশে জ্ঞান-শূন্য অন্ধভক্তি, এবং প্রাণ-শূন্য নীরস জ্ঞান, পুরাকাল হইতে একাল পর্মান্ত ক্রমাগতই চলিয়া আসিয়াছে, আর, তাহার ফল হইয়াছে এই যে, কৰ্ম্ম, যাহা জ্ঞান এবং প্রাণ রূপী পিতামাতার পুত্র, সে কাহার কথা শুনিবে, তাহা ঠিক করিতে ন পারিয়া তাহার উভয় সঙ্কট উপস্থিত হইয়াছে । জ্ঞান এবং প্রাণের মধ্যে যদি বিরোধ না থাকে, তবে একের কথ। শুনিলেই দুয়ের কথা শোনা হয় ; পিতার অথবা মাতার কথা শুনিলে পিতা এবং মাতা উভয়েরই কথা শোনা হয় ; কিন্তু জ্ঞান এবং প্রাণের মধো যেখানে মৰ্ম্মাস্তিক বিরোধ, সেখানে একের কথা শুনিতে গেলে অন্যের কথা অমান্য করিতে হয় । এই জন্য জ্ঞান এবং প্রাণের পরস্পর বিরোধের অবস্থায় কৰ্ম্ম—কি আর করিবে, কৰ্ম্ম-বেচারী জ্ঞান এবং প্রাণ উভয়েরই নিকট হইতে সরিয়া