পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অহংকার মাথা তুলিয়া দণ্ডায়মান হয়, অমনি বিষয়-কামনা আসিয়া তাহার দপ চূর্ণ করিয়া দেয়। অহংকার সংগ্রামে জয়লাভ করিতে নিতান্তই অসমর্থ। শুদ্ধ কেবল আপনার কামনার চরিতার্থতাতেই যতক্ষণ পর্য্যন্ত মনুষ্যের লক্ষ্য আবদ্ধ থাকে, ততক্ষণ পর্য্যন্ত তাহার কামনাসকল বিপথে ধাবিত হইয়। বৈধ চরিতার্থতা হইতে বঞ্চিত হয়—ও বুদ্ধির কর্তৃত্বঅভিমানকে বৃথা করিয়া দেয় । সাধারণ জন-সমাজের বৈধ কামনা-সকল যথোচিত চরিতার্থ হইলে আমারও বৈধ কামনাসকল যথোচিত চরিতার্থ হইবে—অতএব তাহারই প্রতি যত্ন নিয়োগ করা কর্তব্য, এইটিই শুভ বুদ্ধি। লোক-সমাজের বৈধ কামনা-সকলের চরিতার্থতায় সহায়তা করিতে হইলে আপনার বুদ্ধির অহংকার দমনে রাখিয়া সকলের নিকট হইতে সুবুদ্ধি গ্রহণ করা আবশ্যক— পূৰ্ব্বতন আচাৰ্য্যদিগের নিকট হইতে, বৰ্ত্তমান সাধু মণ্ডলীর নিকট হইতে, এবং সাধারণতঃ সকল ব্যক্তির নিকট হইতেই সুবুদ্ধি ও সুপরামর্শ গ্রহণ করা আবশ্যক ; করা এবং তাহার অভিপ্রায় শিরোধার্য্য করা সৰ্ব্বাগ্রে আবশ্যক । ইহারই নাম পরমাত্মার জন্য কাৰ্য্য করা—ইহাই পরমার্থ। পরমার্থ-পথেই মনুষ্যের বৈধ কামনা-সকল উপযুক্ত চরিতার্থতা লাভ করিতে পারে—স্বার্থ-পথে তাহা কোন ক্রমেই সম্ভবে না ।


س-----===========------

  • २ कछ. २ छात्र

মাসিক ব্রাহ্মসমাজ । শ্রদ্ধাস্পদ শ্ৰীযুক্ত মোহিনীমোহন চট্টোপাধ্যায় কর্তৃক প্রদত্ত উপদেশের সারাংশ । অতি মূঢ় ব্যক্তিরই নিকট এসংসার রমণীয় ভাবে প্রতিভাত হয় কিন্তু স্থির চিত্তে অল্পক্ষণ মাত্র জ্ঞানশক্তির চালনা করিলে মনুষ্য মাত্রেরই বোধ জন্মে যে এই আপাতমধুর সংসার বস্তুত বহু শোকসমাচ্ছন্ন। জর মৃত্যু হইতে ভয়, ব্যাধি বৈকল্য হইতে ভয়, হিংস্র জন্তু ও ততোধিক হিংস্র মনুষ্য হইতে ভয়, এবং সাধারণত প্রিয়বিয়োগ ও অপ্রিয়যোগে ভয়— এইরূপ নানাভয়ে মনুষ্য সর্বদা পীড়িত হইতেছে। সংসারে যে স্থখ দেখা যায় তাহা ও বস্তুত ড়ে থ নহে হুগের তাভাস মাত্র। মনু ম্যের দেহ এরূপে গঠিত মে কোন অনুকূল বিষয়ের উপস্থিতিতে ও যখন স্তখের উদয় হয় তৎক্ষণাং দেহে স্নায়লীয় বিপ্লব ঘটে, তাহার গৰ্বে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ দুঃখের বীজ নিহিত রহি য়াছে । ইহা যথার্থ যে—“দুঃখ যেন এবং সকলের সকল প্রকার শুভবুদ্ধি র্যা- | হাতে একাধারে বর্তমান—সকল শুভ । বুদ্ধির যিনি একমাত্র প্রেরয়িতা — সেই | সৰ্ব্বমূলাধার পরমাত্মার প্রতি লক্ষ্য নিবিষ্ট । দুদিন সুখ খদ্যোতিক হেন মনরে নিশ্চিত জেন সংসার কান্তরে” । দুঃখের প্রতি বিধান করিতে মনুষ্যের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি আছে । সংসারের ক্লেশ আলোচনা করিয়া যখন মনুষ্য উক্ত প্রবৃত্তির দ্বার চালিত হয় তখন তাহাকে কে আশ্বাস দিতে পারে ? পৃথিবীতে এমন এক দল মনুষ্য আছেন তাহারা দুঃখের অন্ত জিজ্ঞাসুকে দুঃখের কখনই শেষ নাই এরূপ বলিয়া দুঃখের প্রতিবিধিৎসা ত্যাগ করিতে উপদেশ করেন । অনেক সাংসারিক জ্ঞানে মহা জ্ঞানী ব্যক্তি এই দলের অন্তভূত এবং তাহাদের কথায় শ্রাদ্ধাবান লোক