পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

n • כשל gfür দর্শন-সংহিতা—জ্ঞানতত্ত্ব Ե-Գ করিবে । তত্ত্বজ্ঞানীরা উহার অপক অবস্থায় উহাকে করায় স্থা করিতে গিয়া বারস্বার বিপদে পড়িয়াছেন। একটি বিষয়ে পাঠক নিশ্চিন্ত থাকুন;—স্বতন্ত্র-রূপী জড়বস্তু যে, আদবেই কিছু নহে—একেবারেই শূন্য, এরূপ কথা আমরা বলি না। সত্তাও যত প্রকার অসত্তা ও তত প্রকার,— যেমন আলোক অন্ধকার—শব্দ নিঃস্তব্ধতা-— জড়বস্তু শূন্য-আকাশ ইত্যাদি। আমাদের জ্ঞানাভ্যন্তরে উপস্থিত, হইতে হইলে— সভাই যে কেবল অহংসাপেক্ষ তাহা নক্ষে, অসত্তা ও অহংসাপেক্ষ । পাইতে হইলে আলোকও যেমন—অন্ধকার ও তেমনি, শব্দ ও যেমন নিঃস্তব্ধতা ও তেমনি, সকলই, অহংসাপেক্ষ । কিন্তু “স্বতন্ত্র-রূপী জড়বস্তু” শূন্য-আকাশাদির ন্যায় অসন্তা নহে, কেননা শূন্য অ|কাশদি জ্ঞানে প্রকাশ-নোগ্য—স্বতন্ত্ররূপী জড়বস্তু একেবারেই জ্ঞানের অগম্য। মায়াবাদ যদি এ কথা বলে যে, স্বতন্ত্র-রূপী জড়বস্তু কিছুই নহে, তবে জ্ঞানে প্রকাশ Fi y TT SMSMSSSSSSS SSAAAAS SAAAA AAAAMTSAAAAAS S যেন তাহাই সে বলে,—তেমনি, প্রকৃত মায়াবাদ• জগতের সমস্ত অসভাকে (শূন্যআকাশাদিকে) কি জ্ঞানের প্রতিভাস-মাত্র বলে না ? জড়-বাদী মনে করেন যে মায়াবাদার বুঝি এইরূপ মত যে, যখন একখানি বস্ত্রকে দৃষ্টির অগোচরে সিন্দুকের মধ্যে পুরিয়। রাপ যায় তখন বস্ত্র-খানি একে বারেই নাস্তি হই য:া । তিনি তবে বলুন না কেন যে, মায়াবাদীর মতা নুসারে বস্ত্র খানি তখন রুটি হইয়া যায় ! বস্ত্ৰ-খানি যদি শূন্য হইয়। যাইতে পারিল, তবে রুটি হইয়। যাইতে না পরিবে কেন ? শূন্যও যেমন—রুটিও তেমনি—দুইই তে৷ আমরা এই দণ্ডেই মায়াবাদের সহিত সং– । ত্ৰাব পরিত্যাগ করিলাম। ক্ষু প্রকৃত মায়াবাদ ওরূপ কথা বলে না । কিন্তু প্রকৃত মায়াবাদ কি জগতের সমস্ত বস্তুকেই জ্ঞানের প্রতিভাস-মাত্র বলে না ? মনে কর 1 = ബജബ= ബ

  • প্রকৃত মায়াবাদ এমন বলে না যে, অবিদ্যা ।

কিছুই নহে; তাহা এই বলে যে, অবিদ্যা সং এবং । অসৎ (কিছু এবং কিছু না) উভয়াত্মক ; অথবা যাহা একই কথা, সৎও নহে অসংও নহে-দুয়ের বা’র । বর্তমান মুহূৰ্ত্ত যেমন—যেই আছে সেই নাই, আছে অথচ নাই, তাহাকে জ্ঞানে ধরিতে ছুইতে পাওয়া যায় না—অবিদ্য৷ সেইরূপ একটি জ্ঞান-বিরোধী ব্যাপার। অবিদ্যাকে জ্ঞানে যেই তুমি ধরিবে—সেই তাহা বিদ্যা হইয়া দাড়াইবে, অবিদ্যা যে-কে-সেই পশ্চাতে পড়িয়া থাকিবে । অবিদ্যা যে-দণ্ডে যাহা—সেই দণ্ডে তাহা নহে—এইরূপ একটি স্ববিরোধী ব্যাপার। অবস্ত্র ; বস্ত্র ও যেমন জ্ঞানে প্রতিভাসিত হয়, অবস্ত্র ও তো তেমনি জ্ঞানে প্রতিভাসিত হয়; কোনটিই তো আর জ্ঞান-ছাড়া নহে। পূর্বে নয় বস্ত্রখানি দৃশ্য বস্তু-রূপে প্রতিভাসিত হইয়াছিল – এখন নয় শূন্য আকাশ-রূপে প্রতিভাসিত হইল—উভয়পক্ষেই উহা জ্ঞানের প্রতিভাস ভিন্ন আর কিছুই নহে। মায়াবাদ এরূপ কথা বলে না যে, কোন-একটি বস্তু যখন জ্ঞানের প্রতিভাস-রাজ্য হইতে একেবারেই বহি স্কৃত হয়, তখন তাহা জ্ঞানের এক প্রকার প্রতিভাস হইতে আর-এক-প্রকার প্রতিভাসে পরিণত হয় । না, বস্ত্র বা আর কোন কিছু জ্ঞান-বহির্ভূত হইলে তাহ নিখিল প্রতিভাস রাজ্য হইতে বহিস্কৃত হইয়। গিয়া ঐকান্তিক স্ববিরোধী অবস্থায়—ঐকান্তিক অচিন্তনায় অবস্থায়—নিপতিত হয় ; সে অবস্থা-হইতে উদ্ধারের এক উপায় কেবল—কোন-না-কোন জ্ঞানের সহিত সম্বন্ধ-যুক্ত হওয়া। এখন জিজ্ঞাস্য এই যে, কোন-বস্তুকে নিখিল জ্ঞান-রাজ্য হইতে বহিস্কৃত বলিয়া জানা না যায়—না যাক, ভাবা যাইতে পারে তো ? সে বিষয়ে ;