পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. : دv۰د پیfپي: যে তোমার প্রসন্ন আনন দর্শন কবিয়া জীব নের সার্থকতা সম্পাদন করি । এইরূপ যখন যে প্রীতি ঈশ্বরের দিকে বহমান হইয়াছে তাহাই আবার উচ্ছসিত হইয়া জগতে বিক্ষিপ্ত হইয়া পড়ে, তখন সাধকের মনে ঘোর পরিবর্তন আসিয়া পড়ে। তখন তিনি স্বদেশের জন্য স্বজাতির জন্য, সমগ্র জগৎ সমগ্র মনুষ্য জাতির জন্য সমগ্র প্রাণীর জন্য ব্যাকুল হইয় পড়েন । তখন তাহার প্রার্থন হইতে স্বার্থপরতার সুগন্ধ তিরোহিত হইয়া যায়, তখন তিনি সকলের কল্যাণ কামনা করেন, আপনার জীবন পরের হিতার্থে ব্যয় করিতে থাকেন। অমঙ্গল সত্ত্বেও পরহিতকর কার্য্য হইতে পরামুখ হন না, আপনার প্রাণও যাউক তথাপি তহরি মুখ হইতে "তসুিন প্রীতিস্তস্য ওীতি ক ! ৫ হার প্রিয়কাৰ্য্য সাধন করাই তাহ! উপাসনা এই মহাবাক্য জলদগম্ভীর fi আপনার । সহিত মণিষ্টত স্থাপনের দ্বিতীয় অবস্থা । স্থপরতামূলক প্রাগন একাকীই কারণ তাহা আপনার হিতের জন্য প্রার্থনা । অন্যের সহিত তাছার সম্ভ:} } বিশেষ সম্বন্ধ কি। আমরা এই প্রার্থনা ৷ মণ্ডপে নিজ নিজ স্বার্থ হইতে মনকে প্রত্যাহৃত করিতে পারিয়াছি তাই ইহা স্বগের সুষমা ধারণ করিয়াছে । আমর বিগত-বিবাদ পরমেশ্বরের উপাসনায় প্রবৃত্ত হইয়াছি সেই জন্যই অবাতকম্পিত দীপ স্থির রহিয়াছে। ব্যক্তিগত ভাব আমারদের মধ্য হইতে তিরোহিত হইয়াছে। আমর শাস্তস্বরূপ ঈশ্বরের ধ্যান ধারণায় প্রবৃত্ত । इहल्ली কি সংসারের কুটিল, কামনাকে মনে স্থান দিতে পারি? যদি সামান্য বিবাদ । হয় না । নহে । সে অবস্থায় মন নিশ্চল স্থির হ্রদের শিখার নায় আমারদের লক্ষ্য র্তাহার প্রতি | উপাসন ও ইহার ক্রম _ ১২৯ কলহ আমারদের মনকে অধিকার করে তবে এত দিন যে আমরা পূর্ণ স্বরূপ পরব্রহ্মকে ধরিয়া রছিলাম তাহার স্বার্থকতা কোথায় রছিল ? যদি পৃথিবীর নিদাৰলে আমারদের চিত্তচাঞ্চল্য উপস্থিত হইল তবে কোথায় ব্রহ্মজ্ঞান আমারদের মধ্যে লব্ধপ্রবেশ ছইল। কোথায় চিত্তস্থৈৰ্য্য মনের দৃঢ়তা আমাদের মধ্যে স্থান পাইল। সকলের এক লক্ষ্য সকলের এক গতি ললিয়। আমরা সকলে মিলিয়; শান্ত ভাবে শাস্তস্বরূপের পূজার অধিকারী হুইয়। বিমল তৃপ্তি অতুল্য চিত্ত প্রসাদ লাভ করিয়া বিগতপাপ বিগততাপ হইতেছি । তিনিও আমারদের হৃদয় so স্বরূপের উজ্জ্বলবিভায় আমারদের অন্ত দেশ জ্যোতিষ্মান করিতেছেন । কিন্তু ইহা অপেক্ষ এক শ্রেষ্ঠ যোগ নিবদ্ধ করিলার অধিকার তিনি আমাদিগকে প্রদান করিয়াছেন । সে অবস্থায় তিনি জধাণদের বাক্যমনের অবিষয়ীভূত থাকিয় স্বপ্রকাশরুপে আমারদের সমক্ষে উপস্থিত হইয়া আমারদের অহংজ্ঞান চূর্ণ করিয়! দেন। তখন আমরা তাছার বিষয় চিন্ত৷ করিতে করিতে আত্মহারা হইয়! যাই । ব্রাহ্মধৰ্ম্ম পবিত্র ব্রাহ্মধৰ্ম্ম সেই গবিত্রতম সঙ্গমে আমারদের হস্ত ধারণ করিয়া লইয়। যাইতেছেন। এ অবস্থায় বাহুিরের কোন বিষয়ই আমারদিগকে আকর্ষণ করিতে সমর্থ সে অবস্থা ধৰ্ম্মোন্মাদের অবস্থ: ন্যায় অবস্থান করে । ব্রাহ্মধৰ্ম্ম উদার গম্ভীর স্বরে বলিতেছেন । প্রণরোধ: শরোহ্যাত্মা ব্ৰহ্ম ভল্লক্ষ্য ট্যয়ন্ত্র স্বপ্রমান ৰেম্বণাং শবং তন্মছে। ভবেৎ৷ প্রণব ধনুঃস্বরূপ, জীবাত্ম শরস্বরূপ পরব্রহ্ম লক্ষ্য-স্বরূপ, এমাদশূন্য হইয়। সেই