পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"" ভবানীপুর পঞ্চত্রিংশ সাৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ । কোথায়। ব্রাহ্মধৰ্ম্ম বলিতেছেন “তোমার যে প্রিয় সে নিতান্ত মরণশীল”। পুথিবীর উপর কত তরঙ্গ উঠিয় আপনা হইতে মিশাইয়া যাইতেছে, কত জলবৃদ্ভদ উথিত হইয়া পরক্ষণে বিলীন হইয়া যাইতেছে । অথচ আমরা জলবুদ্ধদের সঙ্গে প্রতি স্থাপন করিতে, ধৰ্ম্ম ও ঈশ্বরকে ছাড়িয়া কেবল তাহার সেবা করিতে সঙ্কুচিত হই না। পৃথিবীকে স্বদেশ ভ্ৰমে সেবা করি, আত্মার অনস্তগতি ক্ষণকালের জন্য বিস্মৃত হই, এখানকার ধন সম্পদ সৰ্ব্বস্ব মনে করি, সম্পদ বিপদের আস্তরালে তাহার হস্তকে প্রত্যঙ্গ অনুভব করি না । এই জন্যই এখানকার প্রহেলিক ভেদ করিয়া আত্মস্বরূপ অবগত হইতে পারি ন; } সম্মুখে | উজ্জ্বল অনন্ত ব্রহ্মধাম, এ প্রবাসের বাহিরে । আত্মার নিজ নিকেতন, এখনকার ক2 ক্লেশ শোক তাপ অত্যুর শিক্ষা সোপান, ধৰ্ম্ম ঈশ্বর আয়ার নিজস্ব সম্পত্তি, ইছ স্পষ্ট অনুভব করিত্রে পরিলে মন আর ঘোর বিষাদের আলয় হয় না। সকলই জ্যোতি"ায় সকলই শোভাময় হইয় উঠে। ধৰ্ম্ম শিক্ষায় মনুষ্যের জ্ঞান প্রস্ফটিত হয়, ধৰ্ম্ম শিক্ষায় তাহার প্রেম চরিতার্থ হয়। ধৰ্ম্মশিক্ষায় তাহার গন্তব্য পথ আলোকিত হয়, ধৰ্ম্মশিক্ষায় মনের মালিন্য দূরীভূত হয় । শরীর মন আত্মার মধ্যে ঐক্য স্থাপিত হয়, ঈশ্বরের বিমল মুখচ্ছবি প্রতিভাত হয়, বিপদ সম্পদের সোপান হয়। R ভবানীপুর পঞ্চত্রিংশ সাম্বৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ । ৯ই বুধবার ১৮৩৯ শক। উদ্বোধন। যিনি এই জগতের হষ্টিকর্তী, পিত, পাতা, যাহার মহিমা এই দুলাক ও আর অমর | তু ভূলোকে, যিনি অধোতে, যিনি উর্ধেতে, যিনি পশ্চাতে, যিনি সম্মুখে, যিনি দক্ষিণে যিনি উত্তরে, যাহাকে আর্মর তাহার সৃষ্টিতে কেবল পবোক্ষরূপে অনুভব করি, এমত নহে, অমর যাহাকে হৃদয়-মন্দিরে আত্মার অভ্য স্তরে, “হিরপুয়ে পরে কোযে” প্রত্যক্ষ বিদ্য মান দেখি, যিনি ভক্তের হৃদয়ের প্রিয়তম ধন, যিনি হৃদয়ে সমাসীন থাকিয়া ধৰ্ম্মামৃত পান করিবার পিপাস! প্রদান করিয়| তামাদিগকে ত{হার দিকে আকর্ষণ করিতেছেন । যিনি রস ও রূপ তৃপ্তিহেতু, ধান্তকে পাইলে জাগর; গরম তৃপ্তি, পরম আনন্দ পরম শাস্তুি সম্ভে{গ করি, — প্রকৃত জীবন লাভ জন্য অমৃতের দুর নিয়তই উন্মুক্ত রাখিয়া ছেন, যিনি প্রেমদন, ৮ীর এক নিমেদের করুণা মনেতে ধরণ ব; রক্যেতে বর্ণন! ক৷রয় শেষ করা যায় না, সেই পরম করুণা ময় অশেষ মন্ত্র লালয় পরমেশ্বরের করিতে অমর। এখানে সকলে সম্মিলিত হইয়াছি । আইস সকলে বিশ্বাস প্রেম ও ভক্তি ভরে তাহার প্রতি চিত্ত সমাপন করি, তাঙ্কাকে হৃদয়ে প্রত্যক্ষ করি, ও তাহার ধ্যান ধারণাতে নিযুক্ত হই । উপাসনা উপদেশ। আমরা যাহার উপাসনার জন্য অ} এখানে জামিয়া িতিনি মই তোমহীয়ান ক্ষুদ্র তথাচ তামাদের স্টাস্থাকে জানিবার পিপাসা । কিন্তু আমাদের জ্ঞান লাভের পাচটা মাত্র দ্বার। আমরা তদ্বারা বাহ্য বিষয় রূপরসার্দিই গ্রহণ করিতে পারি। এ দিকে আবার পরীক্ষায় দেখা যায় যে ভূতে যত গুলি ভৌতিক গুণ কম সেই ভুতই অপেক্ষাকৃত ব্যাপক। পৃথিবীতে রূপাদি পাচটা গুণ আছে কিন্তু জলে গন্ধ