পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বিতীয় কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&)ჯ) তাহারা অজ্ঞান নিদ্রায় অভিভূত রক্তি* মাছে ! দেশহিতৈনি পুরুষ এবং দয়াশীল রাক্ষ ইহারদিগের জ্ঞানে িদয়ের উপায় ধাৰ্য্য ল; করিয়া কি প্রকারে মনঃস্থির রাখিতে পণ । রেন ? মা হইলে এ দেশের মঙ্গলোমত জানা অন্য কোন চেষ্টা সফল হইবে না। কিন্তু ষ্টতার উপায় কর। কি বস্তীর্ণ কার্য্য ! ক্রোশ ব: দ্বিক্রোশন্তে পাঠশালা স্থাপন ব্যতীত স - ধারণ ৰূপে বিদ্যাজ্যোড়ি সম্ভব মহে । কিন্তু বঙ্গল পাঠশালা সক তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ভ্যাস করা সুলভ নহে, আর পৃথিবীর ভিন্ন প্রান্তবাসী পরজাতীয় ভাষাশিক্ষাসুলভ,ইছা কি প্রকারে মনুষ্যের মনোগত হয়? পরদে এ অসাধারণ অজ্ঞান নিরীকরণ : শীয় ভাষা মাত্র অভ্যাসে যে কাল ব্যয় হয়, সে কাল মধ্যে স্বদেশীয় ভাষায় বিবিধ বিদ্যার সংস্কার হইতে পারে । যে অলপ ব্যক্তির স্বচ্ছন্দ অবস্থা, সুতরাং জ্ঞানাজ্জনের যথেষ্ট কাল প্রাপ্তির উপায় আছে, তাঙ্কার।

Վ

ब; 3ि झ् 3:; ; লের বর্তমান অবস্থ ২ ত কাল থাকিবে, তত্ব- , কাল এ অংশ, অষ্ট ক্ষুদ্র পরিমাণুেও সার্থক কহবার কে:ম সম্ভাবন নাই । অতএব তৎ পরিবর্ত্তে উৎকৃষ্ট বিদ্যালয় সকল সংস্থা - পন করা, বঙ্গ ভাষায় বিবিধ বিদ্যা বিষয়ক উত্তমোগুম গ্রন্থ সকল প্রস্তুত করা, এবং ছাত্রাদগকে তাহার উপদেশ প্রদানের নিমিত্তে সুযোগ্য কৃতবিদ্য শিক্ষক সকল নিযুক্ত কর; ই হ'র তাবশ্যক উপায় হইয়াছে । কেহ কেহ বলিয়া থাকেন যে ইংলওঁীয় ভাষায় নানাবিধ পুস্তক প্রস্তুত আছে,ও তাহার সুনিপুণ শিক্ষক সকল অনায়াসে প্রাপ্ত হয়,অতএব এদেশীয় লোককে বাঙ্গালার পরিবর্তে সাধারণ ৰূপে ইংলণ্ডীয় ভাষার উপদেশ করা উচিত। অনেক ইংলণ্ডীয় পুরুষ এবং আমারদিগের স্বদেশস্থ কোন কোন ইংলণ্ডীয় ভাষাভিজ্ঞ যুবাও এই মত প্রকাশ করিয়াছেন, কিন্তু ইছার পর অঙ্গীক মতও অার নাই । এ ভ্রম খগুনের নিমিত্তে এই মাত্র বিবেচনা করা উচিত যে আত্ম ভাষায় কি পর ভাষায় জ্ঞান উপাঙ্গন সুলভ | হয় ? এবিধয় আমারদিগের কোন সংশয় স্থলই বোধ হয় ন! — ইহা প্রশ্নেয়ও যোগ্য নহে । শিশুর রসনা মাতৃ স্থঙ্ক পানের সহিত যে ভাষার অনুশীলন করে, বিদ্যারম্ভের পূর্বকালেই যে ভাষার অর্থ ভাগ তাহার কণ্ঠগত হয়,এবং তরুণ বা প্রৌঢ় কালে সাধ্যপর যত্বেও যাম্বা বিস্মৃত হইতে যদিও বহু অংশে কৃতাৰ্থ হইতে পারে, কিন্তু দেশময় যে লক্ষ লক্ষ দরিদ্র সন্তান ভিাবে শীর্ণব যে সকল মধ্যবৰ্ত্তী গৃহস্থ বালকেরা দুরবস্থ হইয়া ক্ষুণ্ণ ভাবে কাল যাপন করে, যাহারদিগের পিতা মাতা কেবল আপন পুত্রদিগের ভাবী উপাজ্জনের প্রত্যাশায় প্রাণ ধারণ করেন, সে সকল বালকের পরের ভাষায় ব্যুৎপন্ন হইয়। বিদ্যা লাভের সময় নাই, তাদৃশ বহু মূল্যে জ্ঞানীজন করিবার উপায়ও নাই । সকল দেশেরই এই প্রকার ভাব, এ নিমিত্তে ইংলগু দেশে উপায়ক্ষম ব্যক্তি দিগের নান ভাষা শিক্ষার জন্য নগর বিশেষে যেৰূপ মহা মহা বিদ্যাগার বর্তমান আছে, তদ্রুপ সৰ্ব্বসাধারণের বিদ্যাভ্যাস নিমিত্তে গ্রামমধ্যে দেশ ভাষার পাঠশাল। সকল স্থাপিত আছে। এদেশের বিষয়েও রাজ পুরুষদিগের সেই নিয়মের অনুবৰ্ত্তীর্ণ হওয়া অাবশ্যক । দ্বিতীয়তঃ ইহাও বিবেচনার যোগ্য যে সাক্ষ্ম ভাষা অপেক্ষ পরড়াবা শিক্ষার নিমিত্তে চতুগুণ ধনের প্রয়োজন । ইংরাজী বিদ্যালয়ের, সাধারণ ছাত্রদিগের জ্ঞাৱাভ্যাসে যে ব্যয় হয়, অভাষায় বালকেরা: ভাষার তুর্থ অংশের এক অংশ ব্যয়ে তুল্য স্বৰূপ সুচারু পরিচ্ছ#পরিধাৰে সঙ্গীভূত কখনই হইতে পারে না।" এইক্ষণেক্ষেপ বিদ্য শূন্য পুরুষেরা ও জানাধিকারাঞ্চিত অৰলার পুরাণাদি অধ্যয়ন মাঃগরিয়াও সুস্পষ্ট ৰূপে জগত মাছেৰে পৃঞ্চিী বায়ু লোক অসমর্থ হয়, সেই পৈতৃক ভাষা আ- কীর মন্তকোপরি অবস্থিষ্টি করিড়েছে,পূর্ব