পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড).pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তত্ত্ববোধিনী পত্রিক পর্যন্তও জীবিত থাকিতে পারে, যেহেতু অবস্থা ও জুলৰ বিশেষে সেই শরীরাভ্যন্তরিক পরিবর্তন किग्रा औख द बिजटव ग*,4 इग्र । ৰনিচ লম্পর্ণ নিয়াহারে, কত দিন পর্য্যন্ত লৰিত থাকা যায় তাহ নিশ্চয় বলা যায় না, কিন্তু কত পরিমাণে শারীরিক-ক্ষয় হইলে প্রাণ নাশ হয় তাহা এক প্রকার বলা যাইতে পারে । (Choga) কোস নামক সুবিখ্যাত শারীরবিwন বিহু পণ্ডিত পরীক্ষা করিয়া দেখিয়াছেন a শরীরের প্রায় দুই পঞ্চমা শ ক্ষয় হইলে মৃত্যু gইয়া থাকে, অর্থাৎ য হার শরীরের গুরুত্ব ১ • • এক শস্ত সের, অনশনে তাহার ৪৭ চলিশ সের ক্ষয় হইয়। যখন ৬ • ষাট সের অবশিষ্ট থাকে তখনই মৃতু্য শরীরের দুই পঞ্চমাংশের ক্ষয় চষ্টবাৰ পুর্বেই চরাচর অনেকেরই মৃত্যু হয়, কিন্তু উঠা অপেক্ষ। অধিক ক্ষয় হওয়৷ পৰ্য্যন্ত অত্য প জীব জীবিত থাকে যাহারদিগের শরীরে অধিক মেদ, (Fat) আছে, কখন কখন তাহ:র শরীরের দুই পঞ্চমাংশের কিঞ্চিৎ অ}প ক ক্ষয় হইলে ও জীবিত থাকিতে পারে । fক উসঃ শোণিত, কি শীতল শোণিত, সকল জীবই শরীরের দুই পঞ্চমাংশের ক্ষয় হইলে পঞ্চস্থ প্রাপ্ত হয়, কিন্তু সম্পূর্ণ নিরশনে উষ্ণশোণিত-জীবের যত শীঘ্র শরীরের দুই পঞ্চমাংশের ক্ষয় হয়, শীভল-শোণিত-জীবদিগের তত শীঘ্র হয় না । মনুষ্য পশু পক্ষী প্রভূতি উষ্ণশোণিত -জীব গণ সম্পূর্ণ নিরশনে যত দিন জীবিত থাকে, সৰ্প ভেক মৎস্য প্রভূভি শীতল-শোপিতে র তদপেক্ষা তেইশ বা চব্বিশ গুণ অধিক কাল জীবিত্ত থাকিতে পারে । সম্পর্ণ নিরশনে মনুষ্য কত দিন জীবিত থাকিভে পারে তাহ অন্যান্য পশুfদগের উপরি পরীক্ষ। করিয়া দেখিয়া কোন নিশ্চয় সিদ্ধান্ত করা জায় না ৰটে, কিন্তু উক্তয়েই এক রূপ শারীরিক নিয়মের অ- ; ধীন, শুদ্ধ কোন কোন বিষয়ের তারতম্য আছে মাত্র । এজন্য অন্যান্য উষ্ণ-শোণিত জীবদিগের উপর পরীক্ষা করিয়া দেখিলে মনুষ্য যে কত দিন পর্য্যস্ত নিরশনে জীৰিতথাকিতে পারে, তাহা এক প্রকার সভোর সন্নিকট অনুমানিক সিদ্ধান্ত “কলা রাইতে পারে। যেহেতু মনুষ্যও উষ্ণ-শোণিত জীব শ্ৰেণীভূক্ত। পমার সাহেব পরীক্ষা করিয়। দেখিয়tছেন, ষে সম্পর্ণ নিরশনে নিরামিষ-ভোজী পশু ও পক্ষি অপেক্ষা মাংস-ভোজীরা অধিক কাল'জীবিত থাকিতে পারে । যেহেতু মাংসাহারির এক ৰার অহার করিলে শীঘ্ৰ ক্ষুধার্ত হয় মা,এবং অপাহরেই তাহারদিগের শরীরের পুষ্টি সাধন হয়,নিরা | Nの> মিষ-তোজির প্রায় নিয়তই অtহায় করে, অধিক পরিমাণে আহার না করিলে তাহারদিগের শারীরিক পুষ্টি সাধন হয় না । কোসা নামক শরীয়-বিধান-বিং পণ্ডিত সৰ্ব্ব সমেত ৪৮ অtটচল্লিশ ট। পক্ষি ও পশু সস্পর্ণ অনশনে রাখিয়া দেখিয়াছেন, যে তাহারা গড়ে ৯। দিবস পর্য্যন্ত, উৰ্দ্ধ সংখ্যা হ১ এক বিংশতি দিন, ও স্বান সংখ্যা ২ দুই দিন জীবিত ছিল । তাহারদিগের মধ্যে অ েগ্র শাবক, পরে যুব ও সৰ্ব্ব শেষে বুদ্ধগণ পঞ্চস্থ পাইয়াছিল । অন্যান্য জীবদিগের ন্যায় মনুষ্যদিগেরও সেই রূপ, নিরশনে আগে শিশু, তৎপরে যুব, ও সৰ্ব্বশেষে বয়েধিক গণ পঞ্চ-স্তু প্রাপ্ত হয় ; কোন কোন জীব নিরশনে অধিক দিন জীবিত থাকিতে পারে। লাটিল নামক এক সাহেব একটি উর্ণনভকে অলপীন দ্বারা এক টী বে;তলের ছিপির গায় বদ্ধ করিয় রাখিয়াছিলেন, ৪ চরি ম স পরে সেই পিনটা খুলিয়া দিয়া দেখিলেন যে তখনও সেই উ নাভী জীবিত রহিয়াড়ে । সুবিখ্যাত শরীর-বিধান-বিং পণ্ডিত (Muller) মুলার সাহেব লিখিয়াছেন, যে একটা রশ্চিক সম্পূর্ণ অনশনে প্রায় এ ক বৎসর পর্ম স্তু জীবিত ছিল, রণ্ডিলেট সাহেব একটা মৎস্য ৩ তিন বৎসর ও রুডল ফাই সাহেব একটা মৎস্য ৫ পাঁচ বৎসর সম্পূর্ণ নিরহারে জীবিত রাখিয় ছিলেন । সপ জীভি নিরশনে যে অনেক মাস পর্য্যন্ত জীবিত থাকিতে পারে তাক অনেকেরই বিদিত অাছে । রিডাই সাহেব সীল নীমক এক প্রকার জলজন্তুকে জল হইতে তুলিয়া সম্পর্ণ নির হারে রাখিয়াছিলেন, সেই নীল নিৰ্জ্জলে ও সম্পর্ণ নিরাহারেও ৪ চুরি সপ্তাহ জীৰিক্ত ছিল । সম্পর্ণ নিরশনে মনুষ্য সচরাচর প্রায় ৫ । ৭ দিবসে পঞ্চস্থ প্রাপ্ত হয়, কিন্তু ধাতু, বয়স, শারীরিক সুস্থতা, শ রীরিক ও মানসিক শ্রম, দেশের উষ্ণতা ইত্যাদি নানাবিধ তার স্থ। বিশেষে ইহু অপেক্ষা শীঘ্র যা বিলম্বে ও মৃত্যু হয় । সম্পর্ণ নিরশনে কেক কেহ দুই তিন দিবসের মধ্যেই লোকান্তর গমন করে, কেহ ৰ দুই তিন সপ্তাহের অধিকও জীবিত থাকে । সম্পূর্ণ মিরাহীরে অনেক মাস পর্যন্ত জীবিত ছিল, এমভ শত শত উদাহরণ, অনেক নেক পুস্তকে, সমাচার পত্রে, ও বিজ্ঞান পত্রিকাতে প্রাপ্ত হওয়া যায়, কিন্তু সেই সকল উদাহরণ সপ্রমাণার্থ বিজ্ঞান-শাস্ত্র ষেরূপ সটীক প্রমাণ চাহেন, বস্তুত তাহার কিছুই পাওয়া যায় না । এবং সেই সকল উদাহরণের মধ্যে কতক গুলিন এরূপ