পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড).pdf/৩৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sνιν তত্ত্ববোধিনী পত্রিক। আমি তোমাকে শত গো প্ৰদান কুরিতেছি, তুমি আমাকে তোমার একটি পুত্ৰ দিয়া এই বৃন্ধান্ত হইতে ইহাও অবগত হওয়া যাইতেছে যে পুৰ্ব্ব কালে ঋষিগণ অন্না নিস্কৃত কর। ঋষি তাহার বধ্যম পুত্র শুনঃশেফকে প্রদান করিলেন । রোহিত শুনঃশেফকে লইয়। পিতা হরিশ্চন্দ্রের নিকট আগমন করিয়া কহিল্গুেন, পিতঃ। আমি এই ব্যক্তিকে দিয়া নিস্কৃতি পাইতেছি, অতএব আমার পরিবৰ্ত্তে তুমি ইহাকে বলিদান কর । হরিশ্চন্দ্র সন্মত হইয়। রাজস্থয় যজ্ঞ আরম্ভ করলেন । যজ্ঞের সকল আয়োজন হইলে পর, শুনঃশেফটক ঘূপে বন্ধন করে এমত লোক ছিল না, ইত্যবসরে শুনঃশেফের পিতা উপস্থিত হইয়া কfছলেন, অীমাকে আর এক শত গে। প্রদান কর, আমি ইহাকে যপে বন্ধন করিতেছি । হরি শচন্দ্র তাহাতে সম্মত হইলে, অজগৰ্ত্ত স্বীয় । পুত্রকে যুপে বন্ধন করিলেন । পরে অগ্নি প্রদক্ষিণাদি সমাপন হইলে,বলিচ্ছেদ করিতে কেহই সন্মত হইল না, তাহাতে অজীগর্ভ পুনরায় কহিলেন, আমাকে অপর এক শত গো প্রদান কর, আমি বলিচ্ছেদ করিতেছি। রাজা পুনৰ্ব্বার তাহাক শত গে। প্রদান করলেন এবং অজীগাওঁ শুনঃশেফকে কাটিবার নিমিত্ত আসি শাণিত করিতে আরম্ভ করিলেন। এই সময়ে শুনঃশেফ মনে মনে চিন্ত৷ করিতে লাগিলেন, ইহার যথার্থই আমাকে বধ করিতে উদ্যত হইয়াছে, অতএব আমি এক্ষণে দেবতাদিগকে স্মরণ কবি । তিনি এথমে প্রজাপতিকে অভিবাদন করিলেন । প্রজাপতি কহিলেন, তুমি অগ্নির আরাধন কর, তিনিই তোমাকে মুক্ত করবেন। শুন শেফ এই ৰূপ একাদিক্ৰমে সকল দেবতার আরাধনা করিলে পর দেবতারা তুষ্ট { | | | ভাবে ক্লিষ্ট হইলে সস্তান বিক্রয় করিতেম। : অপর ঐতরেয় ব্রাহ্মণে ইহা উক্ত হইয়াছে যে দেবতাগণ প্রথমে মনুষ্যকেই যজ অর্থাৎ বলি ৰূপে গ্রহণ করিতেন, পরে মনুষ্য হইতে মেধ অশ্বেতে গমন করিল, তদবধি যজ্ঞেতে অশ্ব ই বধ্য হইল, পরে দেৱতাগণ । অশ্বকে গ্রহণ করিলে মেধ অশ্বকে পরিত্যাগ করিয়া গাভিকে অবলম্বন -রিল, এই হেতু গো যজ্ঞেতে বধ্য হইল,তৎপরে মেধ মেযেতে এবং মেষ হইতে পৃথিবীতে প্রবেশ করিল। এই নিমিত্তে ভূমিজাত তণ্ডলাদি শস্য পুরোডাশ অর্থাৎ পিষ্টক ৰূপে যজ্ঞেতে প্রদত্ত হইতে লাগিল এবং পুৰ্ব্বোক্ত পশু সকল অমেধ্য ও পরিত্যক্ত হইল । এই উপন্যাস দ্বারা ইহা স্পষ্টই প্রতিপন্ন হইতেছে যে বৈদিক আৰ্য্যগণ ক্রমে ক্রমে পশু বধ ও মাংসাহার প্রথা পরিহার করিয়াছিল। | ইহ পূর্বেই উল্লিখিত হইয়াছে যে প্রায় বৈদিক সকল যজ্ঞেতেই সোমরসের আবশাক হইত। অপর সোম যজ্ঞ নামে একটি আবার স্বতন্ত্র যজ্ঞ ছিল, সেই যজ্ঞে ঋষিগণ সোমকে দেবতা ৰূপে আরাধনা করিতেন, এবং মহানন্দের সহিত সোমরস পাম করিয়া উৎসব করতেন । বেদের প্রায় সার্বত্রই সোম লতার মাহাত্ম্য বর্ণনা দেখিতে পাওয়া যায় । বাস্তবিক সোম লতার রস হইতে ঋষিগণ অতিশয় উৎকৃষ্ট মদ্য প্রস্তুত কুরিতেন এবং সেই মদ্য অতি উপাদেয় দ্রব্য বলিয়। তাছারা যজ্ঞ কালীন দেবতাদিগের উদ্দেশে অভিযুক্ত করিতেন । সোমুলত হিন্দুস্থানের উর্বর ক্ষেত্রে জন্মে না। হিমা হইলেন। শুন শেষ্ণের বন্ধন শিথিল হইল লয় পৰ্ব্বভইতাহার আক্ষর স্থান। এই পৰ্ব্বতে এবং হরিশ্চন্দ্রের উদ্ধর সুস্থ হইল। " | ७श नकल श्रें८ष्ठ शषिश्नभं ङांशंदक श्रांश्