পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (পঞ্চম কল্প দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড).pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ' পুণা শিখরে আরোহণ করিবসেখানে এমন প্রেম, এমন আনন্দ, যে তাই আমরা এখান হইতে দেখিতে পাইলে আমাদের নেত্র তাহার জ্যোতিঃ ধারণ করতে পারেন । ঈশ্বর আমাদের উপকারের জন্যই সেই অা শর প্রদর্শন আমাদের সম্মুখে আবিষ্কত , করিয়া রাখেন নাই ; তাহ যদি অমর এথান হইতে দেখিতে পাইতাম, তবে জা মাদের এ জীবনের প্রতি কিছু মাত্র আস্থা থাকিত না । চির বিচ্ছেদের পর বন্ধুর সহিত । সাক্ষৎ হইলে তাহাকে আলিঙ্গন করিবার সময় আমাদের পদ-তলের কঙ্কর-সকল কি মনে থাকে? অনস্ত কালের অবস্থা দে । খিতে পাইলে - Tানকার মুখ সকল কঙ্করের নায় ই মনে হইত ! ঈশ্বর অ মাদিগকে এক ক্ষুদ্র উদ্যানের রক্ষণাবেক্ষণের ভার দিয়াছন। ইহাতে ই আমাদের সমুদয় মন সমর্পণ করতে হইবে, ভাবি বিষয়ে আমাদের চিত্ত বিক্ষিপ্ত হইলে এখানকার কার্যোর স্থির ব্যাঘাত জন্মিতে পারে । অর্ণবপোত নাবিক প্র বল বা ত্যাঘাত সময়ে পোত রক্ষ<ার্থেই তৎপর থাকে ; অপনার দেশ, পরিবার, বন্ধু, বান্ধব, ইহাদের প্রতিই একান্ত মনঃসংযোগ করে না; পোত, পাল, ঝঞ্চ, তরঙ্গ, এই সকলের প্রতি ই দৃষ্টি রাখে ; কিন্তু তাঙ্গর দেশ তাচার গৃহ দৰ্শন করিতে ই হবে, তাহার পরিবারের মাহিত সাক্ষাৎ করতে হুইৰে, এই জ্ঞান থকাতে তাহার যত্ন আরো প্রবল হয়, তাহার উৎসাহ দ্বিগুণীভূত হয়, বল এবং আশার সঞ্চার হয় আমাদেরও সেই প্রকার। এই সংসার দুদিবসের বিস্ন রাশি অতিক্রম করবার জন্য আমাদের সমুদয় চেষ্ট সমর্পণ করিতে হইবে ; কিন্তু আমাদের যথার্থ ধামের প্রতি লক্ষ্য থাকিলে আমর। আরে। সাহস, উৎসাহ ও বলু পাই । আমর। এখান হইতে যদিও দেখিতে ন পাই ; কিন্তু আমাদের জন্য অনন্ত জীবন রহিয়াছে ; আমরা ভবিষ্যতে যে প্রকার পবিত্র, ষে প্রকার বলীয়ান, যে প্রকার উন্নত হইব, তাহা ঈশ্বরই জানিতেছেন । আমরা যেমন সুৰ্য্য মণ্ডলীর মধ্যে এক লোৰ হইতে লোকাস্তরে উপনীত হইব, í t . & তেমনই জালেভে গ্রেমেতে বলেতে উন্নত হইতে থাকিব, আমরা পবিত্র চরিত্র পুণ্য কীৰ্ত্তি দেবতাদিগের প্রেম অস্বাদন করতে পাইব, ঈশ্বরের সুপ্ৰসন্ন মুখজ্যোতিঃ আরো উজ্জলৰূপে দর্শন করিব ; ইহা তাবিতে গেলে আমাদের আত্মা আদ্র হয় এবং ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা উজ্বলিত হয় । এই অশি। এই বিশ্বাসের জন্য কি ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত নহে? তিনি যে আমাদিগকে তুণের ন্যায় করিয়া দেন নাই, যে প্রাতঃকালে উজ্বল বেশে উত্থিত হইব এবং সন্ধর সময় উৎপাটিত, শীর্ণ ও শুষ্ক হইয়। চিরকলের জন্য চলিয়। যাইব; তাহার জন্য ঈশ্বরকে কত ধন্যবাদ দিতে হয় । যখন আমরা জানিতে পারি যে ঈশ্বর আমাদিগকে অমৃতের অধিকারী করিয়াছেন ; তিনি আমাদের আত্মাকে জ্ঞান ধৰ্ম্মে গ্রী তিতে উন্নত করিয়া আপনাকে দান করিবেন ; তখন আমাদের কৃতজ্ঞতা স্রোতকে কে প্রতিরোধ করিতে পারে ; পরলোকে বিশ্বাস ব্যতীত আমাদের সমুদয় আশ ভ. রশ বিনাশ প্রাপ্ত হয় } ঈশ্বর আমোদিগকে এই সমুদয় আশ্চর্য শক্তি দিয়া ও এখানে ষ্ট র্তাহার প্রেম দান করিয়। কি আমাদিগকে বিনাশ করিয়া ফেলিখেন ? আমাদের উচ্চ জাশী, উন্নত-ভাব সকল কি একেবারে নির্বাণ হইয়। যাইবে ? ঈশ্বর কি এই ৰূপ করিবেন? আমরা ইহা মনে ও করিতে পারি না । আমর। অনন্ত উন্নতি লাভের অধিকারী, জ্ঞানে ধৰ্ম্মে প্রেমে বলে আমরা বৰ্দ্ধমান হইতে থাকিব । যদি ইহ জীবনের সুখের জন্য ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত হয়, তবে অনন্ত জীবনের জন্য আরো কত কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত । আমরা কি এক এক বার জ্ঞাননেত্র উন্মীলন করিয়। অামাদের সমুদয় জীবন পর্যবেক্ষণ করিব না ? ঈশ্বর আমাদিগকে যে সকল অমুল্য দান দিয়া ছেন, তাহ একবারে। স্মরণ করিব না ? অণমর কি পশুর ন্যায় অচেতন হইয়। অস্থায়ী বিষয়েই উন্মত্ত থাকিব ? ঈশ্বর ষদি অামারদিগকে কোন বন-পুষ্পের ন্যায় কতক