পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (সপ্তম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>?b" অন্যবিধ হইবে । মনুষের জীবন ঈশ্বরের প্রেমাম্পদ কৰ্ম্ম-ভূমি ও আনন্দের বিহারস্থান । মনুষ্যের মুখী যেমন সুন্দর, মনোহর ও প্রীতিকর ; প্রভাতের সুর্য্যও সেন্ধপ মনোহর মতে,বসস্তের পুষ্পও সেন্ধপ কাস্তিযুক্ত নহে, শরতের চন্দ্র ও সেন্ধপ সুন্দর মচে । যে মৃত্তিকায় সমুদায় জগৎ নিৰ্ম্মিত হইয়াছে, মনুষ্যের শরীরে সেই মৃত্তিকাই দেখিতে পাওয। মায, কিন্তু সেই শরীর ভেদ করিয়া যে ক্ত্যেifত বিনির্গত চইতেছে, তাঙ্ক আর কোন পদার্থে দৃষ্টি-গোচর হয় না । মনুয্যের মুখইতে যে মক্তত্ত্বের চিত্ন-সকল প্রকটিত ইয়া আছে, "rশষ্ট মনুষ্যকে পৃথিবীর সমুদায় পদার্থ হইতে পৃথক কবিয়। দিতেছে । তিনি পৃথিবীর রাজা হইয়া জন্ম গ্রহণ করিয়াছেন , সমস্ত পৃথিবী তাছা পরিচারণা করিতেছে—তথাপি র্তাহার তৃপ্তি নাই। তাঙ্গর উন্নত আশার নিকট পুথিবীর সমুদায় পদার্থ অতীব ক্ষুদ্র বোধ হয় । সেই উন্নত আশাই তাঙ্গর মহত্ত্বের প্রধান চিত্র , সেই তুপ্তির অভাবই তাহার ভবিষ্যৎ উন্নতির পূর্ব লক্ষণ ; বক্তমান অবস্থা অতিক্রম করিবার জন্য ঠাচার যে ব্যগ্রত, তাহাই তাহার অলৌকিক জীবনের চিকু , কমে ক্রমে অগ্রসর হওয়tঙ্গ তাহার স্বাভাবিক গতি । তিনি এ ৰূপ উন্নতিশীল প্রকৃতি লইয়৷ জন্ম গ্রহণ করিযহেন যে, তাহার সংসর্গে নির্জীব পৃথিবীও দিন দিন উন্নত বেশে অলংকৃত হইতেছে । মনুষ্যের গতি কেন এ প্রকার হইল ? পুর্ণ স্বৰূপ পরমেশ্বর জীবনের আদর্শ হইয়া প্রতি মনুয্যের অন্তরে বিরাজমান আছেন । মনুয্য জানিয়াই হউক, আর না জানিয়াই হউক, সেই আদর্শের সহিত আপনার জীবনের মিল করিবার জন্য ব্যস্ত হইয়া পরিভ্রমণ করিতেছে। এক বার পৃথিবীর পৃষ্ঠোপরি তত্ত্ববোধিনী পত্রিক ‘ਂਢ-ਛਾ איtש א,זיקאי י שסהר - ব্যস্ত, সকলেই ধাবমান । সম্রাটের প্রাগদ, কনকের শস্য ক্ষেত্র, ছাত্রের বিদ্যালয়, পণ্ডিতের পুস্তকাগার, বণিকের বিপণি ও শিল্পীর শিম্পশাল অনুসন্ধান কর; সকলেই সেই হৃদয়গত অাদর্শে উত্থান করিবার জন্য ব্যস্ত হইয়া আছেন । মধুমক্ষিক জগতের কি উপকার করিতেছে, না জানিয়াই যেমন মধুচক্র নির্মাণ ও মধু সঞ্চয করে, সেই ৰূপ অনেকে কোথায় যাইতেছি এবং কোৰ পথে যাইতেছি, তাহা ন জানিয়াই ধাবমান হইতেছে । তাঙ্গার লক্ষোর প্রতি দৃষ্টিপাত করে নাই, কেবল হৃদয়ের ব্যাকুলতা অনুভব করিতেছে এবং ধন মান ইন্দ্রিয় সুখ প্রভৃতি পার্থিব উপকরণ সকল আহরণ করিয়া সেই ব্যাকুলত। শান্তি করিবার চেষ্টা পাইতেছে । দীন গ্রীন পৃথিবীর কি সাধ্য যে সেই গভীর ব্যাকুলঙ্গ পরিতৃপ্ত করিতে পারে পৃথিবীর অতুল ঐশ্বৰ্য্য, প্রভূত সুখ সমৃদ্ধি, অসূলভ তোণ সামগ্রী একটি আত্মার ও সেই গভীর ব্যাকুলতাতে পর্য্যাপ্ত হয় না। যখন সেই পূর্ণ আদর্শ হৃদয়কে ব্যাকুলিত করে, তখন দরিদ্র পর্ণ কুটীর ও সম্রাটু সিংহাসন সমভাবে পরিত্যাগ করেন। তখন বিদ্বানু ও মুখ সমভাবে ক্ৰন্দন করিয়া উঠেন । তখন পুরুষ ও স্ত্রী সমভাবে আৰ্ত্তনাদ করেন । সেই আদর্শের আকর্ষণ এমনি প্রবল যে, তাঙ্গার নিকটে পৃথিবীর সমুদায় আকর্ষণ ছিন্ন ইয়া যায়—এবং সেই আদর্শের অনুরোধ এমনি প্রবল যে, তাহার জন্য সমুদায় সংস্রষ্ট সুন্দর হইয় উঠে । তাঙ্গার আকর্ষণে পিতা পুত্রকে ও পুত্র পিতাকে পরিত্যাগ করিতে পারেন । তাহার আকর্যণে স্বামী পত্নীকে ও পত্নী স্বামীকে পরিত্যাগ করিতে পারেন। তাছার আকর্ষণে