পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (সপ্তম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উনচত্বারিংশ সী ংবৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ آمده و به حصعگ দের শোকানলের শাস্তি বারি। তিনিই এই সংসার মরুভূমির একমাত্র ছায়া। ওঁহাকে জানাই জ্ঞান শিক্ষার পরিসমাপ্তি । উাহাকে প্রীতি করাই সাধু ভাবের পরাকাষ্ঠী। উাহার অজ্ঞা প্রতিপালন করাই একমাত্র ধৰ্ম্ম। উীচার অনন্ত জ্ঞানই আমাদের জ্ঞান শিক্ষার অাদর্শ ; তাহার মঙ্গল ভাবই আমাদের সাধুত লাভের আদর্শ ; র্তীক্ষার ইচ্ছাই আমাদের ধৰ্ম্মানুষ্ঠানের অ|দর্শ। তাহার মুক্ত ভাবই আমাদের মুক্তি লাভের আদর্শ। তাহার শুদ্ধ অপাপবিদ্ধ স্বৰূপ আমাদের পবিত্রতার আদর্শ । তিনি আমাদের জীবনের অনুকরণীয় সম্পূর্ণ আদর্শ। তাহারই অভিমুখে গমন করিবার | | | নিমিত্ত মনুষ্য-সমাজ ব্যাকুল হইয়া পরি- | ভ্রমণ করিতেছে । এই পূর্ণ আদর্শে উত্থান করিবার জন্য মনুষ্য জাতি ক্রমাগত প্রস্তুত হইতেছে ; এবং পরিণামে প্রত্যেক মনুষ্যই এই লক্ষ্য স্থানে উত্তীর্ণ হইবে । পৰ্ব্বত হইতে নদী-সকল পৃথিবী পৃষ্ঠে পতিত হইয়া যতই ঘূর্ণমাণ হউক, পরিশেষে সমুদ্র ব্যতীত সে তার কোথাম বিশ্রাম পাইবে মনুষ্যের জীবন-স্রোত সরল পথ পরিত্যাগ করিয়া ইতস্তত যতই ! পর্যটন করুক, পরিণামে সেই পূর্ণ জীবনের সমুদ্রেই তাহার শেষ গতি হইবে—তাকার সন্দেহ নাই । কিন্তু সেই সৌভাগ্যের দিন আপন হইতে কখনই উপস্থিত হইবে না ; অামারদিগকেই ক্রমে ক্রমে অগ্রসর হইয়া সেই সৌভাগ্য উপাৰ্জ্জন করিতে হইবে । যদি অবহেলা করি, অবশ্যই তাহার প্রতিফল ভোগ করিতে হইবে। এখন যিনি অন্ধকারে নিমগ্ন হইয়া নিশ্চিন্ত আছেন ; তিনি জ্যোতির জন্য ব্যাকুলিত হইবেন । যিনি অজ্ঞানের পরিচারণায় নিযুক্ত আছেন, তিনি জ্ঞানের জন্য আৰ্ত্তনাদ করিবেন । যিনি პ ი ჯ smanstm ইচ্ছা পূর্বক প্রবৃত্তির দাসত্ব শৃংখল পরিধান করিয়া আছেন, সেই শৃংখল ভঙ্গ করিবার নিমিত্ত উহাকে রোদন করিতে হইবে । যে স্বেচ্ছাচার সুখের আলয় বলিয়া বোধ হইতেছে, তাছাই যন্ত্রণার নিদান হইয়া উঠিবে। যে পাপাচার সুমিষ্ট বলিয়া সেবিত হইতেছে, তাহাই গরল তুল্য হইয়া হৃদয়কে দগ্ধ করিতে থাকিবে । যে মিথ্য ও অন্যায় জীবনের অবলম্বন বলিয়া প্রণয়-ভাজন হইয়াছে, তাহাই বিনাশের হেতু হইয়া উঠিবে। প্রবৃত্তির সেবা এখন যতই সুস্বাস্তু উক, স্বেচ্ছাচার এখন যতই দিষ্ট লাগুক, অজ্ঞান এখন যতই সান্থনা দিউক, মিথ্যা এখন লজ্জ ও সন্ত্রমকে যতই রক্ষা করুক, অন্যায়াচবণ এখন যতই সুখের হউক , এক পলকে সকলই বিপর্য্যস্ত হইবে । তখন দেখিবে, সেই সত্য ব্যতীত আর গতি নাই, সেই প্রেম ব্যতীত অার পথ নাই, সেই ধৰ্ম্ম ব্যতীত আর উপায় নাই ; সেই ঈশ্বর ব্যতীত আর ভরসা নাই । ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং । " পরিশেষে নিম্ন-লিখিত কয়েকটা ব্রহ্মসঙ্গীত গীত হইয়া সমাজ ভঙ্গ চঞ্চল সঙ্গীত । রাগিণী কেদার—তাল চোতাল ৰহিছে কৃপা-পবন তোমার, যার হিল্লোরে দুখ পলায়, সুখ-সাগরে তরঙ্গ উঠে । মন্দ মন্দ বরিযে অমৃত, যাতনা অপহৃত প্রেম-কুসুম ফুটে । সেবিয়ে করুণা-বাত, সুখেতে নিশা প্রভাত, মুক্ত হইয়ে মন-উৎস ছুটে । কেবলি তারি গুণে জীবন ধর্যে আছি, নহিলে হৃদয় টুটে ।