পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (সপ্তম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NՖ) e चख==T ா حساسی جسب سمجستجمیrچیےبچےسےچs পূর্বক ঈশ্বরের উপাসনা করিতেন, সেই | ব্যক্তি ছিলেন। সেই সকল শান্ত সকল শব্দ উচ্চারণ পূর্বক আমরা এখনও ঈশ্বরের উপাসনা করিতেছি--তথম স্বদেশপ্রেমাগ্নি জামারদিগের হৃদয়-মধ্যে কি ৰূপ প্রজ্বলিত ইয়া উঠে । হে ব্রাহ্মগণ ইহা তোমারদিগের পৈতৃক ধন ; এই পৈতৃক ধনকে তোমরা কখন অবহেলা করিও না । প্রচারে যত্নবান হও, তাছা হইলে অচিরাৎ ব্রাহ্মধৰ্ম্মের অtধ্যাত্মিক জয়পতাৰণ ভারতরাজ্যে উড়ীন হইবে । ঈশ্বর-স্বৰূপ-প্রতিপাদক এ ৰূপ বাক্য অন্য কোন জাতির ধৰ্ম্ম-গ্রন্থে প্রাপ্ত হওয়া যায় না। অামারদিগের দেশের বৈষ্ণবদিগের ধৰ্ম্মগ্রন্থে যেমন বৈকুণ্ঠের কথা আছে, তেমনি অন্য অন্য জাতির ধৰ্ম্ম-গ্রন্থে এ ৰূপ উল্লেখ আছে যে পরমেশ্বর সর্বস্থান অপেক্ষ এক বিশেষ স্থানে অধিকতর প্রকাশমান আছেন । উপনিষদে ঈশ্বর-স্বৰূপ সম্বন্ধে এ ৰূপ চীন ভাব দৃষ্ট হয়.না । উপনিষৎকারেরা বলিয়া গিয়:ছেন যে ঈশ্বর "বিভূং সৰ্ব্বগতং সুস্থক্ষাং" । ঋষির বলিয়। গিয়াছেন যে ঈশ্বর ,জ্ঞান স্বৰূপ ও মঙ্গল স্বৰূপ কিন্তু সৃষ্ট মনের গুণ সকল ভাঙ্গতে কিছুই নাই। র্তাহারা বলিয়, গিয়াছেন যে ঈশ্বর "অমনোই তেজস্কশঙ্কণে মমুখ মমাত্রং " "তিনি মন রহিত তেজ রহিত, প্রাণ রচিত, মুর্থ রতি, উপমা রঞ্জিত" এ রূপ মহোচ্চ তাবে অন্য কোন জাতির ধৰ্ম্ম-বক্তা উত্তীর্ণ হইতে পারেন নাই। “সত্যং জ্ঞান মনন্তং ব্রহ্ম" “যতোবাচো নিবর্তন্তে অপ্রাপ্য মনসা সহ ” এই সকল অপ্রমেয় গতীর ভাব-পুর্ণ বাক্য যাহারা উচ্চারণ করিয়া গিয়াছেন, যাহার সেই সকল বাক্য-প্রতিপাদ্য পরমেশ্বরের প্রতি এমত প্রীতি প্রকাশ করিয়া গিয়াছেন যাহা অন্য লোকে প্রকাশ করিতে সমর্থ হয় না, তাহারা কি মহাত্মা প্রকৃতি স্বাগদিগের যে দোষ থাকুন না কেন ভাগরদিগের কতক গুলিন অসাধারণ গুণও ছিল । তাছারদিগের চরিটী গুণ অনুকরণ করিবার যোগ্য। প্রথমতঃ ঋষিরা ঈশ্বর-মত-প্রাণ ও ঈশ্বর-গত-চিত্ত ছিলেন, শঙ্কার পরমাত্মাতে ক্রীড়া ও পরমাত্মাতে এই পৈতৃক ধনের সাহায্য লইয়া ব্রাহ্মধৰ্ম্ম | রমণ করিতেন । র্তাহারা ঈশ্বরের সহিত আত্মার নিগুঢ় যোগ সম্পাদনে অতীৰ যত্নৰাৰু ছিলেন । র্তাগর ঈশ্বর-স্মরণকে নিশ্বাস প্রশ্বাসবই সহজ ও স্বভাব-সিদ্ধ করিতে চেষ্টা করিতেন। আমাদিগেরও এই ৰূপ যোগ সম্পাদনে যত্নবান হওয়া কৰ্ত্তব্য । পরমাত্মার সহিত সকল বস্তুর স্বাভাবিক যোগ আছে, তিনি যদি আপনাকে সকল বস্তু হইতে পৃথক করিয়া লয়েন, তাহা হইলে এখনই সকল বস্তু বিনাশ-দশা প্রাপ্ত হয়। সেই আত্মার আত্মার সঙ্গে আত্মারও স্বতবতঃ নিগূঢ় যোগ আছে পরমাত্মা যদি জীবাত্মা হইতে আপনাকে পৃথক করিয়া লয়েন, তাহা হইলে জীবাত্মা এখনই বিনাশদশা প্রাপ্ত হয়। সচরাচর যাহাকে যোগ বলে, তাহা অার কিছুই নহে, কেবল পরমেশ্বরের সহিত জীবাত্মার যে স্বাভাবিক যোগ আছে, তাহ উজ্জ্বল ৰূপে সর্বদা অনুত্তৰ করা । কিন্তু এই রূপ যোগ অভ্যাস করিতে গিয়া যেন আমারদিগের অন্যান্য মহাৰ কৰ্ত্তব্য সকল বিস্মৃত না হই। আমারদিগের মনে যেন এই সত্য সর্বদা জাগৰুক থাকে ষে সংসারই সমাধির পরীক্ষা-ক্ষেত্র। সাংসারিক কাৰ্য সম্পাদন কালে যদি ঈশ্বরস্মরণ আমারদিগের মনে প্রদীপ্ত থাকে, তবে তাহাই যথার্থ যোগ । এ বিষয়ে শ্রেষ্ঠতম ঋষিরা যাঙ্গ কহিয়া গিয়াছেন, তাহাই করা কৰ্ত্তব্য “আত্মত্রীড় আত্মরতি ক্রিয়াবানেৰ ব্রহ্মবিদাং বরিষ্ঠঃ " যিনি পর্যাঞ্জাতে ক্রীড়া