পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (সপ্তম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

る○a তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ৭ ৰূপ ***াগ ബഞ്ഞ মধ্যে હાફે ৰূপ সমন্ধ যে, জীবাত্মার মঙ্গল জ্ঞান ও বিশ্বাসের অনুযায়ী কাৰ্য করা | কৰ্ত্তব্য,—কৰ্ত্তব্যের ইকা একটি স্বতঃসিদ্ধ ভাব যে পর্যন্ত না পরমাত্মার মঙ্গল ভাবের সঙ্কিত আপনার যোগ সংস্থাপন করিতে পারে, সে পৰ্যন্ত উহা সংসার-ভারে প্রপীড়িত হইয়া মৃতবৎ হইয়া থাকে, এই জন্য এ অবস্থায় উহা আছে কি নাই তাঙ্গ লক্ষ্য হওয়া ভার । দশন-শাস্ত্র বিশেষের আলোচনা দ্বার: আপাততঃ মনে হইতে পারে যে, যত আমরা | | | | | | | ! মুল-নিয়ম । এক্ষণে, স্বাধীন ইচ্ছা কাছাকে বলে—তাহা স্পষ্ট বুঝা যাইতে পারিৰে । স্বাধীন শব্দের অর্থ আপনার অধীন—অা মার অধীন ; যে ইচ্ছা আত্মার অধীন তাহ কাজেই আত্মার নিজের গুণ-সকলের সহিত ঈশ্বরের সহিত সংযুক্ত হইব ততই আমা- ৷ দের স্বাধীনতার নির্বাণ হইবে ; কিন্তু সত্য এই যে, যত আমরা ঈশ্বরের সহিত জ্ঞানপ্রেম-ইচ্ছাভে সম্মিলিত হইব ততই আমরা স্বাধীন হইব । শিশু যেমন মাতার ক্রোড়ে গিয়া স্বাধীন হয়, বালক যেমন ক্রীড়া-ক্ষেত্রে গিয়া স্বাধীন হয়, যুব যেমন বয়স্য দলের মধ্যে গিয়া স্বাধীন হয়, জীবাত্মা সেই ৰূপ পরমাত্মার সন্নিধানে গিয়াই স্বাধীন হয় । প্রতি মনোনিবেশ করা যাইতেছে । আত্মার অভ্যস্তরে স্বাধীন ইচ্ছার অবয়ব অন্বেষণ করিতে গেলে আমরা দেখিতে পাইব যে প্রথমতঃ, আয়ামাত্রেই অগ্ৰে নিয়ম স্থির করে পশ্চাৎ সেই নিয়ম পালন করে— এই ৰূপে কাৰ্য্য করে । যথা, আমি যদি অগ্রে এই ৰূপ নিয়ম করি যে “আমি চলিব" এবং পশ্চাৎ যদি সেই নিয়ম পালন করি অর্থাৎ তদনুসারে চলি, তবেই সেই কাৰ্য্যকে বলা যাইতে পারে—আত্মার কার্য কি না আমার আপনার কার্ষ্য ; কিন্তু যদি আমি সুয়ুপ্ত অবস্থায় শয্যা ছাড়িয়া স্থানান্তরে গমন করি, তাহ হইলে সে কার্য্য আমার আপন নিয়মানুসারে না হওয়াতে তাঙ্গ কখনই আমার আত্মার কার্য্য বলিয়া নি#िझे रुझेरङ श्राटद्र ब्री । विठीशङः श्राপন নিয়মানুসারে কার্য্য করিতে হইলে, ঐক্য হইতে চায় ; ইচ্ছা ব্যতিরেকে আত্মার আর কি কি গুণ ? না জ্ঞান এবং প্রীতি; অতএব স্বাধীন ইচ্ছার একটি অব্যর্থ লক্ষণ এই যে তাহা জ্ঞান ও প্রীতি শ্রদ্ধাদি তাবের সতি স্বভাবতঃই ঐক্য চয়। এই জনা কোন প্রাচীন ঋষি তৈক্তিরীয় উপনিষদের এক । স্থান এই ৰূপ কহিয়াছেন যে,"শ্রদ্ধয়া দেয়ং অশ্রদ্ধয়া আদেয়ং" শ্রদ্ধার সহিত দান করিবে অশ্রদ্ধার সহিত দান করিবে না ;–শ্রদ্ধার সহিত দান করাই যে স্বাধীন ইচ্ছার কার্য্য এবং অশ্রদ্ধার সহিত দান করা যে সে ৰূপ স্বাধীন ইচ্ছা যে কি-ৰূপ–এক্ষণে তাহার । নহে, ইহা সকল মনুষ্যেরই মনে স্বভাবতঃ প্রতীয়মান হয় । অতএব সত্য-জ্ঞান মুলক শ্রদ্ধা বা বিশ্বাসের অনুযায়ী আচরণকেই স্বাধীন কাৰ্য্য বল যাইতে পারে । এক্ষণে ইহা স্পষ্ট ৰূপে প্রতিভাত হুইবে যে, ঈশ্বরের মঙ্গল স্বৰূপে যখন আমাদের অগ্রদ্ধ রহিয়াছে, তখন র্তাহাতে আত্মা সমপণ করাই আমাদের স্বাধীন ইচ্ছার কার্য্য এবং তাহার বিপরীতাচরণ করাই পরাধীন তার লক্ষণ । আমাদের স্বতঃসিদ্ধ জ্ঞানের যাহা প্রধান লক্ষ্য তাহাকেই যেমন বলা যায়--পারমার্থিক সত্য, সেইৰূপ জামাদের স্বাধীন ইচ্ছার যাহা প্রধান লক্ষ্য তাহাকেই বলা যায়— পারমার্থিক মঙ্গল । আমাদের স্বতঃসিদ্ধ জ্ঞান যেমন দেখাইয়া দেয় যে, সকলের মুলে এক জন মহান পুরুষ বর্তমান আছেন—যিনি পরম সত্য , সেইৰূপ আমাদের