পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (সপ্তম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Տ Գs অজ্ঞতা অবগত হইতেছি, এবং আপনার সেই অজ্ঞতার মধ্য দিয়া পূর্ণ-জ্ঞান পরমেশ্বরের আশ্রয়ে নির্ভর করিতেছি ; অনন্তর তাহার প্রসাদে বুদ্ধির অতীষ্ঠ মুল-সত্য সকল আমাদের আত্মাতে দিন দিন উজ্জ্বল-তর ভাবে দীপ্তি পাইতেছে, মূল-সত্য সকল দ্বারা অ|যাদের বুদ্ধি সংশোধিত হইতেছে, এবং সেই বিশুদ্ধ বুদ্ধির চালনা দ্বারা আমাদের ঐ সমৃদ্ধি বৰ্দ্ধিত হইয়া অবস্থার উন্নতি হইতেছে । এই রূপ দেখা যাইতেছে যে, পরমেশ্বর যেমন আমাদের জ্ঞানের স্রষ্টা, সেই ৰূপ তিনি আমাদের জ্ঞানের পালন কৰ্ত্ত ও প্রবদ্ধয়িত ; কিন্তু পূৰ্বে আমাদের অনিচ্ছায় আমরা ঈশ্বর-প্রসাদে অজ্ঞান হইতে জ্ঞান লাভ করিয়াছি, এক্ষণে আমাদের ইচ্চ চাই যত্ন চাই প্রার্থনা চাই, তাহ হইলে ঈশ্বর-প্রসাদে প্রজ্ঞ। আমাদের বুদ্ধির মলিন মুখকে উজ্জ্বল করিয়া পুনৰ্বার আম দিগকে জ্ঞান দান করিবে ; এই ৰূপ করিয়া আমরা অনন্তকাল পুনঃ পুনঃ উচ্চ-তর জ্ঞান লাভ করিয়া কুতার্থ হইতে থাকিব । আমাদের প্রথম শৈশবাবস্থায় আমরা প্রকৃতির সুকোমল ক্রোড়ে নিমগ্ন হইয়া থাকি, আমাদের আত্মা তখন অজ্ঞানান্ধকারে অাবৃত থাকে; এবং ক্ষুধা হইলে ক্ৰন্দন, হস্ত পদ পরিচালনা, প্রকৃতি আমাদের হইয়া এই সকল কাৰ্য্য অবিশ্রাস্ত সম্পন্ন করিতে থাকে । ক্রমে আমাদের অন্তঃকরণে জ্ঞান আবিভূর্ত হয় ; ক্রমে আমরা জানিতে থাকি যে, এই বস্তুটিতে আমার ক্ষুধা-নিবৃত্তি হয়, আমার ক্ষুধা নিবৃত্তির পক্ষে মাতাই আমার সহায় । পূৰ্বে ক্ষুধা হইত এবং স্তন্য পান দ্বারা তাহা নিবৃত্ত হইত, এই পর্য্যস্ত ; কিন্তু এক্ষণে ক্ষুধtশান্তির কারণ কি তাহার আভাস অামা দের জ্ঞানে অপে অপে প্রতিভাত হইতে থাকে ; কারণ-ভাব বস্তু-ভাৰ জাতি-ভাব তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা १ क•ा, १ छोश এই সকল ভাব ভিতর হইতে কাৰ্য্য করিতে ভাব পরিস্ফুট ছয় । পুৰ্বে প্রকৃতি যাহা করিত তাহাই হইত ; এক্ষণে আমরা আপনারা আমাদের সন্মুখস্থিত দ্রব্যাদি সকলের প্রতি কিয়ং পরিমাণে মনোনিবেশ করি: শৈশবস্থায় প্রবৃত্তি চরিতার্থ হইলেই যথেষ্ট হইত, বাল্যাবস্থায় তদ্ব্যতিরেকে স্বার্থ সাধনের চেষ্টা আসিয়া আমাদের সঙ্গ গ্রহণ করে; এক্ষণে “এ বস্তু তোমার নহে এ বস্তু আমার"--এই ৰূপে ক্রীড়া সমগ্ৰী বিশেষে আমরা আপনার স্বত্ব বলবৎ করিতে সচেষ্ট হই ; ক্রমে ক্রমে আমাদের এইৰূপ অভ্যাস হয় যে, উপস্থিত প্রবৃত্তির উত্তেজনাকে আপাততঃ আগ্রাহ্য করি, এবং যাহাতে স্ব স্ব প্রবৃত্তি-সকল আমাদের ইচ্ছানুসারে চরিতার্থ হইতে পারে তদুপলক্ষে নানা প্রকার দ্রব্য সঙ্গহ করিতে চেষ্টান্বিত হই। বাল্যকালে অধিকাংশ আমরা কেবল আপনারই উদ্দেশে কার্য্য করি: বিদ্য শিক্ষা দ্বারা আমরা আপনারই মনের উন্নতি সাধন করি, ক্রীড়া এবং ব্যায়ামাদি দ্বারা আমরা আপনারই শরীরের উন্নতি সাধন করি, তদ্ব্যতীত পরিবারের ভরণ পোষণ, জন সমাজের জীবৃদ্ধি সাধন, বাল্যকালে এসকল লইয়া আমাদিগকে ভারগ্রস্ত হইতে হয় না ; পরে বয়োবৃদ্ধি সহকারে পরিবার, সমাজ, দেশ, এই সকল লইয়া নানা চিন্তায় নানা কার্য্যে ব্যাপৃত হইয়া পড়িতে হয় ! এসময়ে আমাদের আপনারদের যে কতটুকু বল এবং কি যে দুর্বলতা তাহার সবিশেষ পরিচয় প্রাপ্ত হওয়া যায় ; এবং আপনার সেই অকিঞ্চনতার মধ্য দিয়া ঈশ্বরের নিরতিশয় মহত্ত্ব আমাদের জ্ঞানমেত্রে উজ্জ্বলতর রূপে প্রকাশ পাইতে থাকে। এই ৰূপে মনুষ্যের জীবন প্রাকৃতিক মঙ্গল হইতে স্বাধিক মঙ্গলে এবং স্বাধিক মজল হইতে